দার্জিলিং, 10 এপ্রিল: পাচারের আগে বন দপ্তরের অভিযানে উদ্ধার বন্যপ্রাণ সামগ্রী। ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র-সহ তিন কুখ্যাত পাচারকারীকে গ্রেফতার করল বন দফতর । ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে । ফের একবার উত্তরের জঙ্গলে চোরাশিকার ও বন্যপ্রাণ সামগ্রীর পাচারকারী চক্র সক্রিয় হওয়ায় উদ্বেগে বন দফতর ।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কার্শিয়াং বনবিভাগের অধীন মারিওনবাড়ি চা বাগান সংলগ্ন সিপটিগুড়ির খেলাঘর এলাকায় অভিযান চালান শুকনা রেঞ্জের বন কর্মীরা। রেঞ্জার দীপক রসেইলির নেতৃত্বে ওই বিশেষ টিম অভিযান চালায় । অভিযানে, পাচারের সময় তিনটে স্কুটিতে করে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ওই বন্যপ্রাণ সামগ্রী সমেত তিন পাচারকারীকে গ্রেফতার করেন বন কর্মীরা।

এই বিষয়ে উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) ভাস্কর জেভি বলেন, "গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই অভিযান চালানো হয়েছিল । তিন পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে । ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"

অভিযানে উদ্ধার হয় একটি হাতির দাঁত, পাঁচটি হরিণের সিং, শিকারে ব্যবহৃত একটি ডবল ব্যারেল বন্দুক, 11টি কার্তুজ । এই ঘটনায় গ্রেফতার করা তিন পাচারকারীকে ৷ এর হল শিলিগুড়ি সংলগ্ন মাটিগাড়ার ফুলবাড়ির বাসিন্দা সঞ্জীব লামা ও পরিমল সিং এবং প্রধাননগরের মিলনমোড় সংলগ্ন শিশাবাড়ির বাসিন্দা কুমার প্রধান । ধৃতদের মধ্যে সঞ্জীব লামা এর আগে 2028 সালে মাদারিহাটে একইভাবে বন্যপ্রাণ সামগ্রী পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল । ধৃতদের বৃহস্পতিবার কার্শিয়াং আদালতে তোলা হবে । পরবর্তী তদন্তের জন্য সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে বন দফতরের তরফে।
রেঞ্জার দীপক রসেইলি বলেন, "আমাদের কাছে বেশ কিছুদিন ধরেই খবর আসছিল যে ফের চোরাশিকারের একটি চক্র সক্রিয় হয়েছে । তারা বন্যপ্রাণ সামগ্রী পাচারের পরিকল্পনা করছে । সেই মতো এই অভিযান চালানো হয় ।"