ETV Bharat / state

অর্থ দফতরের অনুমোদন ছাড়াই মিলবে তিনটি প্রকল্পের টাকা, ঘোষণা নবান্নের

Nabanna New Announcement: লোকসভা ভোটের আগে অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর নিয়মে সরলীকরণ করল রাজ্য সরকার ৷ অর্থ দফতরের অনুমোদন ছাড়াই এবার মিলবে তিনটি প্রকল্পের টাকা ৷ আর এই নিয়ম কার্যকর হবে মার্চ থেকেই ৷ এমনটাই ঘোষণা করেছে নবান্ন ৷

Nabanna
নবান্ন
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 26, 2024, 3:03 PM IST

কলকাতা, 26 ফেব্রুয়ারি: তিনটি সামাজিক প্রকল্পে প্রাপকের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর নিয়মে সরলীকরণ করল রাজ্যের অর্থ দফতর । এবার অর্থ দফতরের অনুমোদন ছাড়াই টাকা দেওয়া যাবে তিন প্রকল্পের ৷ এমনটাই জানালো নবান্ন ৷ আগামী মার্চ মাস থেকেই কার্যকর হবে এই নিয়ম, যা মেনে প্রাপকের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হবে । লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষকবন্ধু ও জয় বাংলা পেনশন স্কিমের ক্ষেত্রে চালু হচ্ছে এই নিয়ম । এই তিনটি প্রকল্পের যারা উপভোক্তা তাদের নিদিষ্ট সময় মেনে যাতে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছয়, সেই কারণে এই নয়া সিদ্ধান্ত ।

অর্থ দফতরের অনুমোদন পেতে দেরি হওয়ার কারণে কয়েক বছর ধরে অনেক দেরিতে টাকা পাচ্ছিলেন উপভোক্তারা । এই নিয়ে মানুষের মনে ক্ষোভ রয়েছে । সামাজিক প্রকল্পে টাকা পাঠাতে গেলে অর্থ দফতরের অনুমতি নিতে হয় সংশ্লিষ্ট ওই দফতরগুলিকে । সংশ্লিষ্ট দফতরগুলি থেকে ফাইল এসে অর্থ দফতরে পড়ে থাকে । এর ফলে মানুষ এই সামাজিক প্রকল্পগুলির টাকা অনেক দেরিতে পাচ্ছিলেন । এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীও বারবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন । তবুও এই সমস্যা থেকে রেহাই মিলছিল না ৷ তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে অর্থ দফতরের অনুমতি ছাড়াই টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে বলে খবর ।

বর্তমানে সামাজিক প্রকল্পের টাকার উপরেই গ্রামের গরীব পরিবারগুলি নির্ভরশীল । দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় সরকার এই রাজ্যের 100 দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে । ফলে সমস্যায় পড়েছে সাধারণ মানুষ । রাজ্য সরকারের এই তিনটি সামাজিক প্রকল্প পরিচালিত হয় তিনটি দফতরের মাধ্যমে । লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের নোডাল এজেন্সি সমাজকল্যাণ দফতর । কৃষকবন্ধু প্রকল্পের নোডাল এজেন্সি কৃষি দফতর ৷ আর জয় বাংলা পেনশন প্রকল্পের নোডাল দফতর হচ্ছে ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস দফতর । এই তিন দফতর থেকে ফাইল পাঠাতে হতো অর্থ দফতরে । এবার থেকে আর অর্থ দফতরে ওই ফাইল পাঠাতে হবে না ।

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের জনপ্রিয় প্রকল্পগুলির উপর ভরসা করছে সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস । শিক্ষক ও পৌর নিয়োগ দুর্নীতি-সহ একাধিক ইস্যুতে শাসকদল জর্জরিত । বর্তমানে সন্দেশখালির ঘটনাতে সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে নষ্ট হয়েছে । তাই লোকসভা নির্বাচনের আগে এই তিনটি প্রকল্পতে বেশি জোর দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস । লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের উপভোক্তা হচ্ছে মহিলারা । কৃষক বন্ধু প্রকল্পের উপভোক্ত হচ্ছে কৃষকরা । আর জয় বাংল প্রকল্পে পেনশন পান তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতির বয়স্করা । এই ভোটাররাই সংখ্যায় অনেক বেশি । তাই এই প্রকল্পগুলির টাকা নির্দিষ্ট সময়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দিয়ে ওই ভোটারদের মন জয় করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস বলে মনে করছে রাজনৈতিকমহল ।

আরও পড়ুন:

  1. 'বিডিওদের ঘুম এবার ভাঙাতে হবে', আদিবাসী সংগঠনের অভিযোগে ক্ষুব্ধ মমতা
  2. একশো দিনের কাজের টাকা মেটাতে 2 হাজার 650 কোটি বরাদ্দ রাজ্য সরকারের
  3. 10 মার্চ জনগর্জন সভা, ব্রিগেড থেকেই ভোট প্রচার শুরু তৃণমূলের

কলকাতা, 26 ফেব্রুয়ারি: তিনটি সামাজিক প্রকল্পে প্রাপকের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর নিয়মে সরলীকরণ করল রাজ্যের অর্থ দফতর । এবার অর্থ দফতরের অনুমোদন ছাড়াই টাকা দেওয়া যাবে তিন প্রকল্পের ৷ এমনটাই জানালো নবান্ন ৷ আগামী মার্চ মাস থেকেই কার্যকর হবে এই নিয়ম, যা মেনে প্রাপকের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হবে । লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষকবন্ধু ও জয় বাংলা পেনশন স্কিমের ক্ষেত্রে চালু হচ্ছে এই নিয়ম । এই তিনটি প্রকল্পের যারা উপভোক্তা তাদের নিদিষ্ট সময় মেনে যাতে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছয়, সেই কারণে এই নয়া সিদ্ধান্ত ।

অর্থ দফতরের অনুমোদন পেতে দেরি হওয়ার কারণে কয়েক বছর ধরে অনেক দেরিতে টাকা পাচ্ছিলেন উপভোক্তারা । এই নিয়ে মানুষের মনে ক্ষোভ রয়েছে । সামাজিক প্রকল্পে টাকা পাঠাতে গেলে অর্থ দফতরের অনুমতি নিতে হয় সংশ্লিষ্ট ওই দফতরগুলিকে । সংশ্লিষ্ট দফতরগুলি থেকে ফাইল এসে অর্থ দফতরে পড়ে থাকে । এর ফলে মানুষ এই সামাজিক প্রকল্পগুলির টাকা অনেক দেরিতে পাচ্ছিলেন । এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীও বারবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন । তবুও এই সমস্যা থেকে রেহাই মিলছিল না ৷ তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে অর্থ দফতরের অনুমতি ছাড়াই টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে বলে খবর ।

বর্তমানে সামাজিক প্রকল্পের টাকার উপরেই গ্রামের গরীব পরিবারগুলি নির্ভরশীল । দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় সরকার এই রাজ্যের 100 দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে । ফলে সমস্যায় পড়েছে সাধারণ মানুষ । রাজ্য সরকারের এই তিনটি সামাজিক প্রকল্প পরিচালিত হয় তিনটি দফতরের মাধ্যমে । লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের নোডাল এজেন্সি সমাজকল্যাণ দফতর । কৃষকবন্ধু প্রকল্পের নোডাল এজেন্সি কৃষি দফতর ৷ আর জয় বাংলা পেনশন প্রকল্পের নোডাল দফতর হচ্ছে ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস দফতর । এই তিন দফতর থেকে ফাইল পাঠাতে হতো অর্থ দফতরে । এবার থেকে আর অর্থ দফতরে ওই ফাইল পাঠাতে হবে না ।

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের জনপ্রিয় প্রকল্পগুলির উপর ভরসা করছে সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস । শিক্ষক ও পৌর নিয়োগ দুর্নীতি-সহ একাধিক ইস্যুতে শাসকদল জর্জরিত । বর্তমানে সন্দেশখালির ঘটনাতে সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে নষ্ট হয়েছে । তাই লোকসভা নির্বাচনের আগে এই তিনটি প্রকল্পতে বেশি জোর দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস । লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের উপভোক্তা হচ্ছে মহিলারা । কৃষক বন্ধু প্রকল্পের উপভোক্ত হচ্ছে কৃষকরা । আর জয় বাংল প্রকল্পে পেনশন পান তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতির বয়স্করা । এই ভোটাররাই সংখ্যায় অনেক বেশি । তাই এই প্রকল্পগুলির টাকা নির্দিষ্ট সময়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দিয়ে ওই ভোটারদের মন জয় করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস বলে মনে করছে রাজনৈতিকমহল ।

আরও পড়ুন:

  1. 'বিডিওদের ঘুম এবার ভাঙাতে হবে', আদিবাসী সংগঠনের অভিযোগে ক্ষুব্ধ মমতা
  2. একশো দিনের কাজের টাকা মেটাতে 2 হাজার 650 কোটি বরাদ্দ রাজ্য সরকারের
  3. 10 মার্চ জনগর্জন সভা, ব্রিগেড থেকেই ভোট প্রচার শুরু তৃণমূলের
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.