হাবরা (উত্তর 24 পরগনা), 19 মে: রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার পাচারের অভিযোগে হাতেনাতে গ্রেফতার গোডাউনের মালিক এবং তাঁর দুই সঙ্গী ৷ 106টি ভর্তি গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই গাড়ি আটক করেছে পুলিশ ৷ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর 24 পরগনার হাবরায় ৷ ঘটনার পিছনে বড় কোনও চক্রের যোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে হাবরা থানার তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরে হাবরার বদর এলাকায় ভারত সরকার অনুমোদিত একটি গোডাউন থেকে রাতে গ্যাস সিলিন্ডার পাচার করা হচ্ছিল ৷ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাবরা থানার পুলিশ রান্নার গ্যাসের কালোবাজারি রুখতে ফাঁদ পাতে ৷ সেই মতো সোমবার ভোররাতে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায় হাবরার ইছাপুর রোড সংলগ্ন এলাকায় ৷

সেই সময় বদর থেকে ইছাপুর রোড ধরে একটি গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই গাড়ি আসতে দেখে পুলিশ ৷ তখনই পুলিশের ওই দল গাড়িটিকে আটকায় ৷ অভিযোগ, সিলিন্ডারগুলির বৈধ নথি দেখতে চাইলে, তা দেখাতে পারেননি চালক এবং খালাসি ৷ এরপর গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় 106টি রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ ৷ সেই সঙ্গে গাড়ির চালক শহিদ হোসেন এবং খালাসি সাহেব আলি গাজিকে আটক করা হয় ৷
ধৃত শহিদের বাড়ি উত্তর 24 পরগনার রহড়ায় ৷ সাহেব আলি জেলার সীমান্তবর্তী হিঙ্গলগঞ্জের বাসিন্দা ৷ ধৃত দু'জনকে জেরা করে হদিশ মেলে গোডাউন মালিক কমল দাসের ৷ তাঁর গোডাউন থেকেই রাতের অন্ধকারে গ্যাসের সিলিন্ডারগুলি পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ ৷ পরে গোডাউন মালিককেও গ্রেফতার করে পুলিশ ৷

বিপুল পরিমাণ এই গ্যাস সিলিন্ডার কোথায় পাচার করা হচ্ছিল, তা ধৃতদের জেরা করে জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা ৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজেয়াপ্ত হওয়া ওই গ্যাস সিলিন্ডারের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কিংবা চালান কোনোটাই ছিল না ধৃতদের কাছে ৷ ধৃত কমল দাসের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ গ্যাস সংক্রান্ত বহু বেআইনি নথিপত্র উদ্ধার করেছে ৷
বিষয়টি নিয়ে বারাসত পুলিশ জেলার সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খাড়িয়া বলেন, "গ্রাহকদের সময় মতো গ্যাস পরিষেবা না-দিয়ে, গোডাউন মালিক কমল দাস চড়া দামে বাইরে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করছিলেন ৷ রান্নার গ্যাসের এই কালোবাজারির সঙ্গে আর কারা জড়িয়ে রয়েছে, তা ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জানার চেষ্টা করা হবে ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ৷"