মেদিনীপুর, 13 এপ্রিল: সুতি, ধুলিয়ান ও জঙ্গিপুরের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে নিশানা খড়গপুরের বিজেপির বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের ৷ রাজ্যের মানুষের কষ্ট দেখে রাজ্যপাল উল্লসিত হচ্ছেন ৷ এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন তিনি ৷ সঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, সেই কারণেই রাজ্যপাল অ-আ-ক-খ শিখতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাচ্ছেন ৷
মেদিনীপুরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন খড়গপুরের বিধায়ক তথা কাউন্সিলর ৷ হিরণ কটাক্ষের সুরে বলেন, "বাংলার মানুষের যে আজকে এই দুঃখ-কষ্ট, তা দেখে উনি বোধহয় উল্লসিত হচ্ছেন ৷ সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অ-আ শিখতে যাচ্ছেন ৷"
সেখানেই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিতে তিনি বলেন, "রাজ্যে যিনি রাজ্যপাল তিনি কেরল নামে একটি রাজ্য থেকে এসেছেন ৷ তাঁর সময় নেই বাংলার মানুষের কষ্টের জন্য ৷ বাংলার মা-বোনেরা যে কাঁদছেন, বাংলার মা-বোনেদের ইজ্জত লুটিয়ে যাচ্ছে, বাংলার ভাই-বোনদের রক্ত বইছে, গরিব মানুষের ঘর জ্বলছে, সেদিকে তাকানোর সময় নেই ৷ বরং তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ছুটে যাচ্ছেন অ-আ-ক-খ শিখতে ৷"
হিরণের অভিযোগ, বাংলার মানুষের কথা ভাবার সময় বর্তমান রাজ্যপালের নেই ৷ এ প্রসঙ্গে রাজ্যের পূর্ব রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের প্রশংসা করেন হিরণ ৷ তিনি বলেন, "এর আগে যিনি রাজ্যপাল ছিলেন, জগদীপ ধনখড়, তিনি তবুও চেষ্টা করে গিয়েছেন বাংলার সুদিন ফিরিয়ে আনার ৷ বাংলার মানুষের কষ্টের কথা দিল্লিতে গিয়ে বলেছেন ৷ কিন্তু, এই রাজ্যপালের সেই সময় নেই ৷"
উল্লেখ্য, ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান, সুতি ও জঙ্গিপুরে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছে ৷ সেখানে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো হয়েছে ৷ রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সোশাল মিডিয়ায় অভিযোগ করেছেন, ধুলিয়ানের প্রায় চারশোর বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন ৷ তাঁরা স্থানীয় একটি স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন ৷ তাঁদের বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগও উঠেছে ৷