কাটোয়া, 12 এপ্রিল: একদিকে রাজ্যের জেলায় চলছে শিক্ষকদের প্রতিবাদ। কিন্তু এই স্কুল থেকে কোন শিক্ষিকার চাকরি না-গেলেও পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে ক্লাস চালু রেখে প্রতিবাদে সামিল হলেন স্কুলের শিক্ষিকারা। ছবিটা কাটোয়া কাশীশ্বরী বালিকা বিদ্যালয়ের। একদিকে চলেছে ক্লাস, অন্যদিকে স্কুল গেটের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদে সামিল কয়েকজন শিক্ষিকা। শিক্ষিকাদের দাবি, তাঁরা স্কুল ছুটি নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন।
পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া মহকুমার কাটোয়া কাশীশ্বরী বালিকা বিদ্যালয়ে ছাত্রী সংখ্যা এক হাজারের কাছাকাছি। স্কুলে 23 জন স্থায়ী শিক্ষিকা ও 3 জন পার্শ্বশিক্ষক আছেন । এছাড়া আছেন দু'জন চুক্তিভিত্তিক শিক্ষিকাও। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে এই স্কুলের কোন শিক্ষিকার চাকরি বাতিল হয়নি। তবে একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে । তবুও রাজ্যে ঘটে যাওয়া শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর পুলিশি জুলুমের প্রতিবাদে স্কুলের শিক্ষিকারা ছুটি নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন।
শুক্রবার বেলার দিকে স্কুলের শিক্ষিকা মহামায়া মণ্ডল প্রথমে প্রতিবাদ জানিয়ে প্ল্যাকার্ড নিয়ে সরব হন ৷ এরপর আরও অন্যান্য শিক্ষিকারা একে একে প্রতিবাদে জানিয়ে ওই শিক্ষিকার সঙ্গে সামিল হন। এদিন স্কুল গেটের কাছে মাটিতে ত্রিপল পেতে ছাতা মাথায় হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে 12-13 জন শিক্ষিকা ঘটনার প্রতিবাদে সরব হন। এমনকি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাও কালো ব্যাজ পড়ে অন্যান্য শিক্ষিকাদের সমর্থন করে সামিল হন।
প্রতিবাদী শিক্ষিকা মহামায়া মণ্ডল বলেন, "স্কুল ছুটি নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকা নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে সরব হয়েছি । আমাকে সমর্থন করে অন্যান্য শিক্ষিকারাও যোগ দিয়েছেন।"
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা টিউলিপ দাস নন্দী বলেন, "শিক্ষকদের মধ্যে কে যোগ্য-অযোগ্য জানা নেই। হঠাৎ করে জানতে পারি অনেকের চাকরি নেই। কার দোষ কার দোষ নেই জেনে লাভ নেই । এটা দুঃখজনক ঘটনা। এর প্রতিবাদ করা উচিত।"