ETV Bharat / state

কালো ব্যাজে বিচারের দাবি, 'অযোগ্যদের সঙ্গে কাজ করব না'; সাফ বার্তা শিক্ষকদের - SSC RECRUITMENT SCAM

শনিবার স্কুল খুললেও শিক্ষকদের হাজিরা কম ৷ তাঁদের দাবি, অযোগ্য শিক্ষকদের বরখাস্ত করুক সরকার ৷ এদিকে যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা নিয়ে ধন্দ জারি ৷

Teacher wearing black badge demanding justice for Untainted Teachers
হুগলির বাঁশবেড়িয়া স্কুলে শিক্ষকদের হাজিরা কম, পঠনপাঠন নিয়ে সমস্যায় স্কুল (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : April 19, 2025 at 6:58 PM IST

3 Min Read

বাঁশবেড়িয়া, 19 এপ্রিল: অযোগ্য শিক্ষকদের হাতে বরখাস্তের চিঠি ধরাতে হবে ৷ তাঁদের বেতন বন্ধ করতে হবে ৷ সরকার এই দু'টি পদক্ষেপ করলে তবে আপাতত স্কুলে ফিরলেও ফিরতে পারেন যোগ্য শিক্ষকরা ৷ শনিবার এমনটাই জানালেন হুগলির বাঁশবেড়িয়া গ্যাঞ্জেস হাইস্কুলের শিক্ষক অরিন্দম সিংহ ৷ শুক্রবার গুড ফ্রাইডের ছুটির পর এদিন বেশ কিছু স্কুল খুলেছে ৷ কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নয়া নির্দেশের পর স্কুলে শিক্ষকদের উপস্থিতি হার অনেকটাই কমে গিয়েছে ৷

এই প্রসঙ্গে শিক্ষক অরিন্দম সিংহ বলেন, "অযোগ্যদের যতক্ষণ না বরখাস্তের চিঠি দেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা স্কুলে আসব না ৷ এই বার্তা আমরা মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে দিতে চাই ৷ একজন অযোগ্য শিক্ষকের সঙ্গে এক সারিতে বসে কাজ করার মানসিকতা আমাদের নেই ৷ কারণ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না নির্দেশ দিয়েছেন, শুধুমাত্র যোগ্য শিক্ষকরা স্কুলে আসবে ৷ আর অযোগ্যদের 12 শতাংশ সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে হবে ৷"

হুগলির বাঁশবেড়িয়া স্কুলে শিক্ষকদের হাজিরা কম, পঠনপাঠন নিয়ে সমস্যায় স্কুল (ইটিভি ভারত)

এদিন হুগলির বিভিন্ন স্কুলে যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ 2016 কমিটির সদস্যরা কালো ব্যাজ পরে আসেন ৷ তাতে লেখা, জাস্টিস ফর আনটেন্টেড টিচার্স অ্যান্ড নন টিচিং স্টাফ অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে 2016 সালের এসএসসি প্যানেল বাতিল হয়েছে ৷ এর ফলে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে বাঁশবেড়িয়া গ্যাঞ্জেস হাইস্কুলে ৷

এই স্কুলের পনেরো জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়ে যায় ৷ স্বভাবতই ক্লাস চালাতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ ৷ বাঁশবেড়িয়া গ্যাঞ্জেস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বিশাল তিওয়ারি বলেন, "আমার স্কুলে 15 জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছিল ৷ তাঁদের মধ্যে আজ আট জন এসেছেন ৷ বাকি সাত জনের সঙ্গে আমি যোগাযোগ করেছিলাম, তাঁরা আসবেন কি না কোনও ঠিক নেই ৷ 21 তারিখ এসএসসি যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করলে তারপর হয়তো তাঁরা স্কুলে আসতে পারেন ৷ যাঁরা আজ স্কুলে এসেছেন, তাঁরা রেজিস্টারে স্বাক্ষর করেছেন ৷ কিন্তু তাঁরা মন থেকে খুশি নন ৷ আমাদের শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা অনেকটাই কম ৷"

3 এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বাতিল হয়ে যায় 2016 সালের পুরো এসএসসি প্যানেল ৷ চাকরি যায় 25 হাজার 752 জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর ৷ এরপর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ শীর্ষ আদালতে বাড়তি সময় চেয়ে আবেদন জানায় ৷ এই মামলায় গত 17 এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, নতুন নিয়োগ করতে হবে চলতি শিক্ষাবর্ষে 31 ডিসেম্বরের মধ্যে ৷ কিন্তু স্কুলে পড়ুয়াদের কথা ভেবে আপাতত শুধুমাত্র যোগ্য শিক্ষকরাই স্কুলে যেতে পারবেন ৷

শিক্ষাকর্মী অর্থাৎ গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে কোনও ছাড়ই দেয়নি শীর্ষ আদালত ৷ তাঁদের চাকরি গিয়েছে ৷ এই অবস্থায় স্কুলগুলিতে পঠনপাঠন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে ৷ 21 এপ্রিল স্কুল সার্ভিস কমিশন সিবিআই-এর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছে ৷

বাঁশবেড়িয়া, 19 এপ্রিল: অযোগ্য শিক্ষকদের হাতে বরখাস্তের চিঠি ধরাতে হবে ৷ তাঁদের বেতন বন্ধ করতে হবে ৷ সরকার এই দু'টি পদক্ষেপ করলে তবে আপাতত স্কুলে ফিরলেও ফিরতে পারেন যোগ্য শিক্ষকরা ৷ শনিবার এমনটাই জানালেন হুগলির বাঁশবেড়িয়া গ্যাঞ্জেস হাইস্কুলের শিক্ষক অরিন্দম সিংহ ৷ শুক্রবার গুড ফ্রাইডের ছুটির পর এদিন বেশ কিছু স্কুল খুলেছে ৷ কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নয়া নির্দেশের পর স্কুলে শিক্ষকদের উপস্থিতি হার অনেকটাই কমে গিয়েছে ৷

এই প্রসঙ্গে শিক্ষক অরিন্দম সিংহ বলেন, "অযোগ্যদের যতক্ষণ না বরখাস্তের চিঠি দেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা স্কুলে আসব না ৷ এই বার্তা আমরা মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে দিতে চাই ৷ একজন অযোগ্য শিক্ষকের সঙ্গে এক সারিতে বসে কাজ করার মানসিকতা আমাদের নেই ৷ কারণ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না নির্দেশ দিয়েছেন, শুধুমাত্র যোগ্য শিক্ষকরা স্কুলে আসবে ৷ আর অযোগ্যদের 12 শতাংশ সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে হবে ৷"

হুগলির বাঁশবেড়িয়া স্কুলে শিক্ষকদের হাজিরা কম, পঠনপাঠন নিয়ে সমস্যায় স্কুল (ইটিভি ভারত)

এদিন হুগলির বিভিন্ন স্কুলে যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ 2016 কমিটির সদস্যরা কালো ব্যাজ পরে আসেন ৷ তাতে লেখা, জাস্টিস ফর আনটেন্টেড টিচার্স অ্যান্ড নন টিচিং স্টাফ অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে 2016 সালের এসএসসি প্যানেল বাতিল হয়েছে ৷ এর ফলে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে বাঁশবেড়িয়া গ্যাঞ্জেস হাইস্কুলে ৷

এই স্কুলের পনেরো জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়ে যায় ৷ স্বভাবতই ক্লাস চালাতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ ৷ বাঁশবেড়িয়া গ্যাঞ্জেস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বিশাল তিওয়ারি বলেন, "আমার স্কুলে 15 জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছিল ৷ তাঁদের মধ্যে আজ আট জন এসেছেন ৷ বাকি সাত জনের সঙ্গে আমি যোগাযোগ করেছিলাম, তাঁরা আসবেন কি না কোনও ঠিক নেই ৷ 21 তারিখ এসএসসি যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করলে তারপর হয়তো তাঁরা স্কুলে আসতে পারেন ৷ যাঁরা আজ স্কুলে এসেছেন, তাঁরা রেজিস্টারে স্বাক্ষর করেছেন ৷ কিন্তু তাঁরা মন থেকে খুশি নন ৷ আমাদের শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা অনেকটাই কম ৷"

3 এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বাতিল হয়ে যায় 2016 সালের পুরো এসএসসি প্যানেল ৷ চাকরি যায় 25 হাজার 752 জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর ৷ এরপর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ শীর্ষ আদালতে বাড়তি সময় চেয়ে আবেদন জানায় ৷ এই মামলায় গত 17 এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেয়, নতুন নিয়োগ করতে হবে চলতি শিক্ষাবর্ষে 31 ডিসেম্বরের মধ্যে ৷ কিন্তু স্কুলে পড়ুয়াদের কথা ভেবে আপাতত শুধুমাত্র যোগ্য শিক্ষকরাই স্কুলে যেতে পারবেন ৷

শিক্ষাকর্মী অর্থাৎ গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি কর্মীদের ক্ষেত্রে কোনও ছাড়ই দেয়নি শীর্ষ আদালত ৷ তাঁদের চাকরি গিয়েছে ৷ এই অবস্থায় স্কুলগুলিতে পঠনপাঠন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে ৷ 21 এপ্রিল স্কুল সার্ভিস কমিশন সিবিআই-এর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.