হাওড়া, 24 মার্চ: বেলগাছিয়া ডাম্পিং গ্রাউন্ডের বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে এসে সোমবার তৃণমূলের ক্ষোভের মুখে পড়েন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ তাঁকে প্রবেশ পথে আটকে দেয় পুলিশ। শুভেন্দুর দাবি, এটি তাঁর সাংবিধানিক অধিকার খর্বের সামিল ।
এদিন শুভেন্দু পুলিশের ব্যারিকেড ঠেলে ঢোকার চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। বেরিয়ে এসে তাঁর অভিযোগ, "এই হলেন পুলিশ কমিশনার। উনি আমায় রক্তাক্ত করেছেন। শুধু আমাকেই নয়, আপনাদেরও রক্তাক্ত করেছেন। বুঝলেন তো ? আপনাদেরও । সবাই দেখছেন, আমায় সবার সামনে অপমান করা হচ্ছে । পুলিশ ডাকুন। এরা 'মাঙ্গা পুলিশ'। হাওড়া কমিশনার, মমতার পুলিশ । মানুষের পাশে দাঁড়াতে এলাম, আর আমায় বাধা দেওয়া হল ।"

শুধু ক্ষোভপ্রকাশ করেই থেমে থাকেননি শুভেন্দু । পুলিশের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, "দেখুন পুলিশ কী কাজ করেছে ! কী করছে ওরা ? আপনারা দল করুন, সরকার আপনাদের পরিবারের খেয়াল রাখছে না । কীভাবে মানুষ বেঁচে থাকবে ?" একাধিকবার তিনি বলেন, "আমি 100 জনকে ত্রাণ দিয়েছি। 100 পরিবারকে ত্রিপল দিয়েছি, 500 জনকে খাওয়াচ্ছি । ওরা খেলতে পারছে না, থাকতে পারছে না ।" শেষমেশ পুলিশ তাঁকে ও তাঁর সমর্থকদের এলাকা থেকে বের করে দেয় ।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও আইনি প্রশ্ন
বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের মানুষের দুর্দশার জন্য দায়ী শাসকদলের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক প্রতিবাদ করেছেন । তাঁদের অভিযোগ, পুলিশের অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ বিরোধী দলের অধিকার খর্ব করছে । অন্যদিকে তৃণমূলের কটাক্ষ, চারদিন পর শুভেন্দু অধিকারী গিয়েছিলেন নাটক করতে । মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আন্তরিকতা থাকলে এতদিনে ব্যবস্থা নিতেন ।" আইনজীবী মহলের একাংশ মনে করছেন, সংবিধানের 19(1)(ডি) অনুযায়ী যে কোনও নাগরিকের অবাধ চলাফেরার অধিকার থাকলেও আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায় রাজ্য প্রশাসনের ।