কলকাতা, 17 এপ্রিল: বিকেলে হঠাৎ কালো মেঘে আকাশ ঢেকে গেল ৷ ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামল শহরজুড়ে ৷ এতদিন ধরে আবহাওয়া অফিস ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিলেও তা মিলছিল না ৷ তাই গরমের মধ্যে খানিক হতাশ হচ্ছিল কলকাতাবাসী ৷ বৃহস্পতিবার বিকেলের এই বৃষ্টিতে প্রাণ জুড়িয়েছে কলকাতার ৷ অবশেষে লক্ষ্মীবারে প্রত্যাশাপূরণ হল ৷
আগামিকাল, শুক্রবার রাজ্যের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে ৷ দুই বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, হুগলি, দক্ষিণ 24 পরগনা, দুই মেদিনীপুর এবং হাওড়ায় 7-11 সেন্টিমিটার বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস ৷
কলকাতা ছাড়া ঝেঁপে বৃষ্টি নেমেছে হুগলি, মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অংশে ৷ বিকেল পর্যন্ত কলকাতায় বৃষ্টি না হলেও আকাশে কালো মেঘের ঘনঘটা ছিল ৷ বৃষ্টি নামে সন্ধ্যার মুখে ৷ সংলগ্ন অঞ্চলগুলিও বৃষ্টির ছোঁয়া থেকে বাদ পড়েনি ৷ দমদম, বিধাননগর, বেলঘড়িয়া, ব্যারাকপুরেও বৃষ্টি হয়েছে ৷ ফলে অফিস ফেরত জনগণ কিংবা ব্যস্ত মানুষ অসুবিধায় পড়লেও ঝড়বৃষ্টির আচমকা দাপটকে স্বাগত জানিয়েছে সবাই ৷ এদিকে ঝড়-বৃষ্টি বজ্রপাতের কারণে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সুপারজায়ান্টের সুপারকাপের প্রস্তুতি ব্যাহত হয়েছে ৷
হুগলিতে দুপুরের পর থেকেই ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে ৷ সঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হয়েছে ৷ চন্দননগরে কালবৈশাখীর দাপটে ভেঙে পড়েছে আস্ত একটি গাছ ৷ উপড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি ৷ এর ফলে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়ে যাতায়াতে সমস্যা দেখা দিয়েছে ৷ বৃষ্টির কারণে হুগলিতে খেলাও ভেস্তে গিয়েছে ৷ মেদিনীপুর শহরেও তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়েছে বিকেল থেকে ৷ সঙ্গে রয়েছে বজ্রপাতের চোখরাঙানি ৷
উত্তর 24 পরগনা এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের জন্য লাল সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস ৷ শিলাবৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় 60 থেকে 70 কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল আলিপুর ৷ এ ছাড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া এবং নদিয়ায় ঘণ্টায় 60 কিলোমিটার বেগে হওয়া বইবার সম্ভাবনাও জানানো হয়েছিল ৷