ETV Bharat / state

এক হাতে বই, অন্য হাতে ছাতা পড়ুয়াদের ! বিপজ্জনক অবস্থায় হিঙ্গলগঞ্জের প্রাথমিক স্কুল - SCHOOL MISERABLE CONDITION

Hingalganj School Condition: খসে পড়ছে চাঙড় ৷ বেহাল দশা ক্লাসরুমের ৷ ছাদের চাঙড় ভেঙে যে কোনও মুহূর্তে ঘটতে পারে বিপত্তি ৷ প্রাণে বাঁচতে অগত্যা ছাতা হাতে ক্লাস করছে পড়ুয়ারা ৷ হিঙ্গলগঞ্জের দুলদুলি পুকুরিয়া আদিবাসী প্রাথমিক স্কুলের অবস্থা এমনই ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 21, 2024, 4:45 PM IST

Updated : Jun 22, 2024, 6:26 AM IST

Hingalganj School Condition
হাতে ছাতা নিয়ে ক্লাস করছে পড়ুয়ারা (নিজস্ব চিত্র)

হিঙ্গলগঞ্জ, 21 জুন: জরাজীর্ণ স্কুলঘর ৷ খসে পড়ছে চাঙড় ৷ ফাটল ধরেছে ছাদেও । যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় বিপদের ঘটতে পারে ! তবে বিপদ মাথায় নিয়েই স্কুলে চলছে পড়াশোনা । আর তার জন্যে অভিনব পন্থা বেছে নিয়েছে পড়ুয়ারা । এক হাতে বই । অন্য হাতে ছাতা নিয়ে পড়াশোনায় ব্যস্ত কচিকাঁচারা । হিঙ্গলগঞ্জের দুলদুলি পুকুরিয়া আদিবাসী প্রাথমিক স্কুলে এলেই চোখে পড়বে এমন আশ্চর্য দৃশ্য । কিন্তু এমন দশা কেন ?

হিঙ্গলগঞ্জের প্রাথমিক স্কুলের অবস্থা নিয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকদের বক্তব্য (নিজস্ব ভিডিয়ো)

প্রধান শিক্ষকের দাবি, "স্কুল সংস্কারের জন্য বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি । তাই অগত্যা ছাতাতে ভরসা পড়ুয়াদের ।" জানা গিয়েছে, এলাকায় একমাত্র আদিবাসী স্কুল হল হিঙ্গলগঞ্জের দুলদুলি এলাকার এই স্কুলটি ৷ অন্য এলাকায় আদিবাসী স্কুল রয়েছে । কিন্তু সেখানে যেতে হলে অন্তত কয়েক কিলোমিটার হেঁটে পৌঁছতে হবে পড়ুয়াদের । তাই হাতের কাছে হওয়ায় পুকুরিয়ার এই আদিবাসী স্কুলটিতেই পড়াশোনা করেন জনা পঞ্চাশেক পড়ুয়া ।

স্কুলটির বেহাল অবস্থা জরাজীর্ণ ক্লাসঘরের দিকে চোখ রাখলেই স্পষ্ট হয় । সূত্রের খবর, বেশ কয়েকদিন আগে স্কুলের একটি অংশে ছাদের চাঙড় ভেঙে পড়ে ৷ বাকি অংশও বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে । তাও যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে । বৃহস্পতিবারও স্কুল চলাকালীন সিমেন্টের চাঙড় ভেঙে পড়ে । অল্পের জন্য রক্ষা পায় ছাত্র-ছাত্রীরা । তারপরেও এক প্রকার প্রাণ হাতে করেই সেখানে পড়াতে হচ্ছে শিক্ষকদের ।

শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, "স্কুলভবন সারাই করা না হলে এই অবস্থায় পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া খুব বিপদের ।" স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঙড় খসে পড়ার পর থেকেই ছাতা ধরে ক্লাস করছে পড়ুয়ারা । এই অবস্থায় স্কুলে পড়ুয়াদের পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা । এমনকী, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা না হলে আগামী দিনে পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠাবেন না বলেও চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন । স্কুলের ছাদের চাঙড় ভেঙে পড়ার ঘটনায় যথেষ্ট ক্ষুদ্ধ অভিভাবকরা ।

গঙ্গা সরদারের সন্তান এই স্কুলের পড়ুয়া । তাঁর কথায়, "স্কুলের ছাদ ভেঙে পড়ছে সেটা খুব ভয়ের বিষয় । বাচ্চারা ক্লাস করে ৷ যখন তখন বিপদ হতে পারে । সেজন্যই আমরা ঠিক করেছি স্কুল মেরামত করা না হলে বাচ্চাকে আর স্কুলে পাঠাব না । বাচ্চারা বাধ্য হচ্ছে ছাতা মাথায় দিয়ে পড়তে । এখানে আর স্কুল নেই । অনেক দূরে স্কুল আছে । তাই বাধ্য হয়ে এখানেই পড়াতে হচ্ছে ।"

স্কুলের প্রধান শিক্ষক রুদ্রপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, "ক্লাসঘরে ছাদ থেকে চাঙড় ভেঙে ভেঙে নীচে পড়ছে । সেই কারণেই বাচ্চারা ছাতা মাথায় দিয়ে পড়াশোনা করতে বাধ্য হচ্ছে । আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি গত কয়েক বছর ধরে কয়েকবার জানিয়েছি । রিপোর্টও দিয়েছি । কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেরকম কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি ।"

হিঙ্গলগঞ্জ, 21 জুন: জরাজীর্ণ স্কুলঘর ৷ খসে পড়ছে চাঙড় ৷ ফাটল ধরেছে ছাদেও । যে কোনও মুহূর্তে বড়সড় বিপদের ঘটতে পারে ! তবে বিপদ মাথায় নিয়েই স্কুলে চলছে পড়াশোনা । আর তার জন্যে অভিনব পন্থা বেছে নিয়েছে পড়ুয়ারা । এক হাতে বই । অন্য হাতে ছাতা নিয়ে পড়াশোনায় ব্যস্ত কচিকাঁচারা । হিঙ্গলগঞ্জের দুলদুলি পুকুরিয়া আদিবাসী প্রাথমিক স্কুলে এলেই চোখে পড়বে এমন আশ্চর্য দৃশ্য । কিন্তু এমন দশা কেন ?

হিঙ্গলগঞ্জের প্রাথমিক স্কুলের অবস্থা নিয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকদের বক্তব্য (নিজস্ব ভিডিয়ো)

প্রধান শিক্ষকের দাবি, "স্কুল সংস্কারের জন্য বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি । তাই অগত্যা ছাতাতে ভরসা পড়ুয়াদের ।" জানা গিয়েছে, এলাকায় একমাত্র আদিবাসী স্কুল হল হিঙ্গলগঞ্জের দুলদুলি এলাকার এই স্কুলটি ৷ অন্য এলাকায় আদিবাসী স্কুল রয়েছে । কিন্তু সেখানে যেতে হলে অন্তত কয়েক কিলোমিটার হেঁটে পৌঁছতে হবে পড়ুয়াদের । তাই হাতের কাছে হওয়ায় পুকুরিয়ার এই আদিবাসী স্কুলটিতেই পড়াশোনা করেন জনা পঞ্চাশেক পড়ুয়া ।

স্কুলটির বেহাল অবস্থা জরাজীর্ণ ক্লাসঘরের দিকে চোখ রাখলেই স্পষ্ট হয় । সূত্রের খবর, বেশ কয়েকদিন আগে স্কুলের একটি অংশে ছাদের চাঙড় ভেঙে পড়ে ৷ বাকি অংশও বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে । তাও যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে । বৃহস্পতিবারও স্কুল চলাকালীন সিমেন্টের চাঙড় ভেঙে পড়ে । অল্পের জন্য রক্ষা পায় ছাত্র-ছাত্রীরা । তারপরেও এক প্রকার প্রাণ হাতে করেই সেখানে পড়াতে হচ্ছে শিক্ষকদের ।

শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, "স্কুলভবন সারাই করা না হলে এই অবস্থায় পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া খুব বিপদের ।" স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঙড় খসে পড়ার পর থেকেই ছাতা ধরে ক্লাস করছে পড়ুয়ারা । এই অবস্থায় স্কুলে পড়ুয়াদের পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা । এমনকী, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা না হলে আগামী দিনে পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠাবেন না বলেও চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন । স্কুলের ছাদের চাঙড় ভেঙে পড়ার ঘটনায় যথেষ্ট ক্ষুদ্ধ অভিভাবকরা ।

গঙ্গা সরদারের সন্তান এই স্কুলের পড়ুয়া । তাঁর কথায়, "স্কুলের ছাদ ভেঙে পড়ছে সেটা খুব ভয়ের বিষয় । বাচ্চারা ক্লাস করে ৷ যখন তখন বিপদ হতে পারে । সেজন্যই আমরা ঠিক করেছি স্কুল মেরামত করা না হলে বাচ্চাকে আর স্কুলে পাঠাব না । বাচ্চারা বাধ্য হচ্ছে ছাতা মাথায় দিয়ে পড়তে । এখানে আর স্কুল নেই । অনেক দূরে স্কুল আছে । তাই বাধ্য হয়ে এখানেই পড়াতে হচ্ছে ।"

স্কুলের প্রধান শিক্ষক রুদ্রপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, "ক্লাসঘরে ছাদ থেকে চাঙড় ভেঙে ভেঙে নীচে পড়ছে । সেই কারণেই বাচ্চারা ছাতা মাথায় দিয়ে পড়াশোনা করতে বাধ্য হচ্ছে । আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি গত কয়েক বছর ধরে কয়েকবার জানিয়েছি । রিপোর্টও দিয়েছি । কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেরকম কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি ।"

Last Updated : Jun 22, 2024, 6:26 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.