কলকাতা, 25 ফেব্রুয়ারি: ঘোষণা করেছিলেন আগেই ৷ এবার তাতেই পাকাপাকি শিলমোহর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, আগামী 30 এপ্রিল, অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করবেন তিনি ৷ তার আগের দিন, অর্থাৎ 29 এপ্রিল থেকে মন্দির প্রাঙ্গণে শুরু হবে বিশেষ যজ্ঞ । এদিন মন্দিরের জন্য ট্রাস্টি বোর্ডও গঠন করা হয় ৷
দীঘায় সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্যের সঙ্গে এবার বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে হাজির জগন্নাথ মন্দির । প্রতি বছর বাংলার বহু মানুষ পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিতে যান । এবার থেকে দিঘাতেই সমুদ্রস্নানের পাশাপাশি জগন্নাথ দেবের দর্শন লাভ করতে পারবেন ভক্তরা ।
মঙ্গলবার দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের জন্য ট্রাস্টি গঠন করা হয়েছে । এদিন ক্যাবিনেটের বৈঠকে ওই ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের বিষয়টি পাশও করানো হয় । মুখ্যমন্ত্রী জানান, মুখ্যসচিবের নেতৃত্ব মোট 11জন অফিসার, ইসকন, কালীঘাট মন্দির, পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশনের একজন করে প্রতিনিধি-সহ মোট 27 জনের ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হল । আগামী পরশু মন্দিরের বিষয়ে ট্রাস্টি বোর্ড বৈঠক করবে । সেখানে মন্দিরের উদ্বোধন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হবে । জগন্নাথ ধামের জমি এবং বাড়ি হিডকোর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে । বাকি সিদ্ধান্ত ট্রাস্ট নেবে ।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, মন্দিরের উদ্বোধন সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত ট্রাস্টি বোর্ডের বৈঠকে চূড়ান্ত হবে । তাঁর কথায়, "আমি অযথা হাইপ তুলতে চাই না । আমার যতটুকু ক্ষমতা, তার মধ্যে থেকেই আমি কাজ করতে চাই ।"
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, প্রতি বছর দিঘায় লক্ষ লক্ষ মানুষ বেড়াতে যান । এবার এই জগন্নাথ মন্দির দিঘার পর্যটন ক্ষেত্রকে আরও সমৃদ্ধ করবে । ধর্মীয় বিশ্বাস ও সমুদ্রস্নানের টানে পর্যটনের নয়া গন্তব্য হয়ে উঠতে চলেছে দিঘা ৷
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গঙ্গাসাগর মেলার প্রসঙ্গও তোলেন । তিনি বলেন, "আমরা গঙ্গাসাগরে পাঁচ-ছ’দিন ধরে নজরদারি চালাই, যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে ।" পাশাপাশি, কুম্ভমেলার সময় পদপিষ্ট হয়ে বহু মানুষের মৃত্যুর বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি । তাঁর দাবি, "এই ধরনের ধর্মীয় সমাবেশের জন্য সঠিক পরিকল্পনা থাকা দরকার ।"
এখন দিঘার এই নতুন মন্দির কবে সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য পুরোপুরি খুলে দেওয়া হবে, তা জানতে আগ্রহী রাজ্যবাসী ।