কলকাতা, 10 জুন: সোশাল মিডিয়ায় বিতর্কিত পোস্ট করার জন্য গ্রেফতার হয়েছিলেন আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলি ৷ পরে তাঁকে জামিন দেয় কলকাতা হাইকোর্ট ৷ সেই নির্দেশ দিতে গিয়ে হাইকোর্টের তরফে কিছু পর্যবেক্ষণও দেওয়া হয় ৷ সেই নিয়েই আপত্তি তুলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ৷
তাই মঙ্গলবার এই আপত্তি নিয়ে রাজ্যের তরফে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় ৷ সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের কিছু অংশ বাদ দেওয়ার জন্য আর্জি জানানো হয় ৷ কিন্তু এখনই মামলা দায়েরের অনুমতি দেয়নি ডিভিশন বেঞ্চ ।
উল্লেখ্য, শর্মিষ্ঠা পানোলিকে ভিনরাজ্য থেকে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় আনে পুলিশ ৷ তাঁকে পেশ করা হয় আলিপুর আদালতে ৷ আদালত শর্মিষ্ঠাকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠায় ৷ এর পর জামিন চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শর্মিষ্ঠা ৷ হাইকোর্টের গ্রীষ্মাবকাশ বেঞ্চে মামলাটি ওঠে ৷
প্রথমদিন জামিন পাননি শর্মিষ্ঠা ৷ হাইকোর্ট রাজ্যের কাছে মামলার কেস ডায়েরি চেয়ে পাঠায় ৷ শুনানির দিন ধার্য হয় 5 জুন ৷ সেই অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার (5 জুন) মামলার শুনানি হয় হাইকোর্টের গ্রীষ্মাবকাশকালীন সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরীর বেঞ্চে ৷ তিনি শর্মিষ্ঠাকে জামিন দেন ৷ 10 হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁকে জামিন দেওয়া হয় ৷
জামিন দিতে গিয়ে বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ জানান বিচারপতি ৷ তার মধ্যে অন্যতম ছিল, শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে যান্ত্রিকভাবে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল বলে পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন বিচারপতি ৷ এছাড়াও আরও একাধিক পর্যবেক্ষণ ছিল সেই নির্দেশে ৷ সেই সব নিয়েই আপত্তি তুলেছে রাজ্য সরকার ৷ এখন দেখার এই নিয়ে মামলা দায়েরের অনুমতি কবে পায় রাজ্য ৷