কলকাতা, 11 জুন: ওয়াজাহাত খানকে হেফাজতে নিতে কলকাতায় এল হরিয়ানা ও অসম পুলিশের বিশেষ দল ৷ ইতিমধ্যেই আলিপুর আদালতের নির্দেশে তাকে 16 জুন পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে । তবে ওয়াজাহাতকে নিজেদের হেফাজতে নিতে মরিয়া হরিয়ানা ও অসম পুলিশ ।
সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, তার করা একাধিক পোস্টের মাধ্যমে কলকাতার পাশাপাশি হরিয়ানা ও অসমের বিভিন্ন জায়গায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটেছে। বহু মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত এসেছে । একাধিক জায়গায় আগুন জ্বলেছে । ফলে তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এই সব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান হরিয়ানা ও অসম পুলিশের তদন্তকারীরাও ।
এদিকে মঙ্গলবারই তাকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। আদালতে উপস্থিত ছিল হরিয়ানা এবং অসম পুলিশও । তবে তাকে প্রথম গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ ৷ তাই প্রাথমিকভাবে ওয়াজাহাতকে তাদের হেফাজতেই পাঠানো হয় ৷ কলকাতা পুলিশের তরফে আদালতে বলা হয়, ওয়াজাহাতের নেপথ্যে কোনও সংগঠন কাজ করছে কি না তা তদন্ত করে দেখা অত্যন্ত প্রয়োজন। তদন্তের স্বার্থে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে অসম এবং হরিয়ানা পুলিশ । জানা গিয়েছে, ওয়াজাহাতকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আবারও আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে অসম এবং হরিয়ানা পুলিশ ।
গত মাসে আইনের ছাত্রী শর্মিষ্ঠা পানোলিকে দেশব্যাপী হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে গুরগাঁও থেকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। সেই ঘটনায় তীব্র নিন্দার ঝড় ওঠে । বলা হয়, শর্মিষ্ঠা বিতর্কিত মন্তব্যের পর ক্ষমা চেয়েছিলেন কিন্তু তারপরেও তাঁকে কেন গ্রেফতার করল পুলিশ । এরপরেই শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা এই ওয়াজাহাত খানকেও গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ । কারণ ওয়াজাহাতের বিরুদ্ধেও দেশব্যাপী হিংসা ছাড়ানোর অভিযোগ রয়েছে । এমনকী তিন বছর আগে সামাজিক মাধ্যমে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগও সামনে এসেছে ।