শিলিগুড়ি, 11 জুন: আচমকা ক্লাস চলার মাঝে স্কুলে বেজে উঠছে ঘণ্টা । তবে এটা ক্লাস শেষ হওয়ার বা স্কুল ছুটি হওয়ার নয় । এটা হল, ওয়াটার বেল। ওই ঘণ্টার আওয়াজ শুনেই সমস্ত খুদে পড়ুয়ারা জলের বোতল থেকে পান করতে হবে জল । খুদে স্কুল ছাত্রছাত্রীদের এই তীব্র দাবদাহ থেকে বাঁচাতে এমনটাই অভিনব উদ্যোগ নিতে দেখা গেল শিলিগুড়ির এক সরকারি প্রাথমিক স্কুল কর্তৃপক্ষকে ।
দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও তীব্র দাবদাহ চলছে । তাপমাত্রা 35 ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ৷ গরমে নাজেহাল সাধারণ মানুষ । গরম থেকে রেহাই পেতে ছায়া আর একটু শীতলতার খোঁজে প্রত্যেকে । আর এই অসহ্য গরম মানেই ডিহাইড্রেশন । প্রাপ্তবয়স্করা তাও নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে অনেকটাই সচেতন । কিন্তু খুদেরা ? তাও যদি আবার তারা হয় স্কুল পড়ুয়া !

এমনিতেই শিশুদের মধ্যে জলপান করার প্রবণতা কম । আর স্কুলে থাকলে অনেকেই আবার ঠিকমতো পর্যাপ্ত জলপান করে না । যার ফলে অনেককেই অসুখে ভুগতে হয় । এই বিষয়টি মাথায় রেখে এক অভিনব উদ্যোগ নিল শিলিগুড়ির নেতাজি বয়েজ প্রাইমারি স্কুল ।

স্কুল চলাকালীন নির্দিষ্ট সময় অন্তর ঘণ্টা বাজানো হয় । আর সেই ঘণ্টা বাজলেই প্রত্যেক পড়ুয়াদের জলপান করতেই হবে । সেটা এক্কেবারে বাধ্যতামূলক । এমনকি স্কুলের শিক্ষকরাও পঠনপাঠনের মতো সেই বিষয়ে কড়া নজর রাখেন । স্কুল কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অভিভাবকরাও ।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক কাঞ্চন দাস বলেন, "আমরা নির্দিষ্ট দুটো সময়ে ঘণ্টা বাজাবো । ওই ঘণ্টা বাজলেই ছাত্রদের জল পান করতেই হবে । এই গরমে পর্যাপ্ত জলপান না-করলে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে । যে কারণে এই ওয়াটার বেলের উদ্যোগ । আসলে শিশুরা সময়মতো পর্যাপ্ত জলপান করে না । স্কুলে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে অনেকে ভুলে যায় । তারা যাতে এই প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ না-হয়ে পড়ে, সেজন্য এই ওয়াটার বেলের মাধ্যমে পানীয় জলপান করানো হয় ।"

এক ছাত্রের মা প্রীতি দাস বলেন, "খুব ভালো উদ্যোগ । আমার ছেলেই জল কম পান করে । স্কুলে থাকলে ঠিকমতো জল পান করত না । আর যা গরম পড়েছে, তাতে পর্যাপ্ত জল পান না-করলে অসুস্থ হতেই পারে । স্কুল কর্তৃপক্ষ যে ওয়াটার বেলের মাধ্যমে ছাত্রদের জলপান করানো বাধ্যতামূলক করেছে, সেটাকে সত্যি সাধুবাদ জানাই ।"