কলকাতা, 25 এপ্রিল: মতুয়া ঠাকুর বাড়ির মন্দিরের তালাভাঙা এবং মারধর সংক্রান্ত মামলায় বনগাঁর বিদায়ী সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ও তাঁর পরিবারকে রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারবে না পুলিশ ৷ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে আদালত ৷
সেইসঙ্গে, সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে মতুয়া মহাসংঘের পাঠানো আগের নোটিশ খারিজ করল উচ্চ আদালত ৷ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নতুন করে নোটিশ পাঠাতে হবে পুলিশকে ৷ 72 ঘণ্টা আগে পাঠাতে হবে সেই নোটিশ ৷ মতুয়া ঠাকুর বাড়ির মন্দিরের তালাভাঙা, মারধর, শ্লীলতাহানির অভিযোগে সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয় ৷ পালটা মমতা বালা ঠাকুরের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছিল শান্তনু গোষ্ঠী ৷ কিন্তু অভিযোগ, পুলিশ শান্তনু ও তাঁর বাবাকে তলব করলেও মমতা বালাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি ৷
বুধবাার মামলার শুনানি চলাকালীন এই নিয়ে অসন্তুষ্ট হয় হাইকোর্ট। এছাড়া যেভাবে এফআইআর-এ নাম না-থাকা সত্ত্বেও শান্তনু ঠাকুরের বাবাকে ডাকা হয়েছে তাতে পুলিশের ভূমিকাতেও অসন্তোষ দেখান বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত । এরপরই তিনি জানান, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে তাঁদের ৷ সেইসঙ্গে উচ্চ আদালতের অনুমতি ছাড়া নিম্ন আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট জমা করতে পারবে না রাজ্য ৷ 10 মে হবে মামলার পরবর্তী শুনানি ৷
আদালতের পর্যবেক্ষণ, "পুলিশ সকলের অভিযোগের প্রতি সমান নজর দিলে জটিলতা বাড়ত না ৷" উত্তরে রাজ্যের দাবি, "সেদিন দরজা ভাঙার ছবি প্রায় তৎক্ষণাৎ সমস্ত সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয় । মারধরের ছবিও প্রচারিত হয় ।" এমনকি সিআরপিএফ জওয়ানরাও ভাংচুর চালায় বলে অভিযোগ জানান রাজ্যের তরফে ৷
এরপরই আদালতের তরফে বলা হয়, ভাংচুরের কোনও ভিডিও বা স্টিল ছবি নেই কেন পুলিশের কাছে? কীসের ভিত্তিতে পুলিশ এত ধারা যুক্ত করল? দুটো অভিযোগ দায়ের হলেও অনুসন্ধান ছাড়াই কীভাবে এফআইআর করল পুলিশ? সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি ।
আরও পড়ুন: