শিলিগুড়ি, 23 সেপ্টেম্বর: তীব্র গরম থেকে রেহাই পেতে পাহাড়ে গিয়েও শান্তি নেই। এখানেও পিছু ধাওয়া করছে দাবদাহ। সেপ্টেম্বর মাসের শেষে এই ধরনের গরম সাম্প্রতিক অতীতে কখনও দেখেনি 'শৈলরানি'। দার্জিলিং তো বটেই, সমতলেও তীব্র দাবদাহে কাহিল অবস্থা শহরবাসীর। সোমবার শিলিগুড়ির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 39 ডিগ্রি সেলসিয়াস। দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা 31.6 ডিগ্রি। তীব্র গরমে পড়ুয়াদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে স্কুলরে সময় এগিয়ে আনতে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে চিঠি লিখে অনুরোধ করেছেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ।
1993 সালে সেপ্টেম্বর মাসে পাহাড়ের তাপমাত্রা 30 ডিগ্রি সেলসিয়াসে তাপমাত্রা পৌঁছেছিল। এবার সেই রেকর্ড পার করল দার্জিলিং। 30 ডিগ্রি ছুঁয়েছে ট্যুইন সিস্টার কালিম্পংও। পাহাড়েও দিনরাত চলছে ফ্যান। হোটেলগুলোতে এসি ছাড়া কথা নেই। দিন বাড়তেই খাঁ-খাঁ করছে ম্যাল রোড। গরম থেকে বাঁচতে পাহাড়ে এসেও কোনও লাভ হয়নি পর্যটকদের। একই ছবি গ্যাংটকেও। এমনিতে শীতলতম গ্যাংটকে সোমবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা 28 ডিগ্রি। ফলে পুজোর আগে অন্যবার পাহাড়ে যে পরিমাণ পর্যটকের ঢল নামে তা এবার অনেকটাই কম। যদিও আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী চলতি সপ্তাহেই বৃষ্টি নামার সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতা থেকে আগত এক পর্যটক সীমা চক্রবর্তী বলেন, "গরম থেকে বাঁচতেই পাহাড়ে এসেছিলাম। এখানে এসেও দেখি ভালোই গরম। হোটেলে এসি চালিয়ে থাকতে হচ্ছে।"
হিমালয়ান হসপিটালিটি ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, "সেপ্টেম্বরের শেষে এই ধরনের গরম আগে দেখা যায়নি ৷ পাহাড়ে গরমে একটু অসুবিধাই হচ্ছে পর্যটকদের। তবে পর্যটকরা রয়েছেন। বুকিংও চলছে। আশা করছি এই সপ্তাহেই বৃষ্টি নামবে।"
সিকিম আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, "তাদংয়ে এদিন 31.2 ডিগ্রি তাপমাত্রা উঠেছে। রাতের দিকে কমবে। মঙ্গলবার বা বুধবার থেকে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।"
এদিকে তীব্র গরমের কারণে হাঁসফাঁস অবস্থা শহর শিলিগুড়িতে। আর তীব্র গরমে কষ্ট স্কুল পড়ুয়াদের। সেই কারণে এবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে স্কুল পড়ুয়ায়দের জন্য সকাল আটটা থেকে 11টা পর্যন্ত স্কুল করার আবেদন করলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। সেই দাবি জানিয়ে সোমবার চিঠি দিয়ে ওই আবেদন করেন শঙ্কর ঘোষ। তিনি বলেন, "পাহাড়ের পাশাপাশি শহরেও এবার খুব গরম। পড়ুয়াদের খুব কষ্ট হচ্ছে। সকাল 11টার স্কুল যদি আটটা থেকে 11টা পর্যন্ত করা যায় সেই আবেদন করেছি। সামনেই পুজোর ছুটি আছে। তার আগের ক'দিন সকালে স্কুল করলে পড়ুয়ারা উপকৃত হবে।"