ETV Bharat / state

একাত্তরের যুদ্ধে সীমান্তে পৌঁছে দিয়েছেন গোলাবারুদ, প্রয়োজনে ফের মাঠে নামতে প্রস্তুত বৃদ্ধ - MAN RECALLS 1971 WAR EXPERIENCE

একাত্তরে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধে কাঁধে করে গোলাবারুদ সীমান্তে নিয়ে গিয়েছিলেন । লুকিয়ে থাকতেন বাড়ির পুকুরে তৈরি বাংকারে ৷ অভিজিৎ বোসকে অভিজ্ঞতা শোনালেন জলপাইগুড়ির সারদাপ্রসাদ দাস ৷

ETV BHARAT
দুটো যুদ্ধের সাক্ষী জলপাইগুড়ির সারদাপ্রসাদ দাস (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : May 15, 2025 at 2:23 PM IST

4 Min Read

জলপাইগুড়ি, 15 মে: জলপাইগুড়ির ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাস ৷ দুটো যুদ্ধের সাক্ষী সেই ছেলেবেলায় ৷ 1965 ও 1971 সালে ৷ গুলিবর্ষণ থেকে বাঁচতে বাংকারে থাকতে হয়েছে ৷ একাত্তরের যুদ্ধের সময় তিনি অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ৷ তখন বন্ধুদের সঙ্গে কাঁধে করে গোলাবারুদ সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছিলেন সেনাবাহিনীকে । বর্তমানে এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে আবারও মাঠে নামতে প্রস্তুত 70 বছরের সারদাপ্রসাদ দাস । তবে জঙ্গি দমনে অপারেশন সিঁদুরকে পূর্ণ সমর্থন জানালেও, তিনি আর যুদ্ধ চান না ৷ তাঁর কথায়, যুদ্ধ মানেই অভাব, অনাহার ও সাধারণ মানুষের হাহাকার ৷

জলপাইগুড়ির দক্ষিণ বেরুবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের বাসিন্দা সারদাপ্রসাদ দাস ৷ বর্তমানে তিনি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রতিরক্ষা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ৷ পহেলগাঁওয়ে পাকিস্তানি জঙ্গিদের নারকীয় হত্যালীলার পর ভারতের অপারেশন সিঁদুর ও তার পরবর্তী অধ্যায়ে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষদেরও ৷ তবে যুদ্ধকে খুব কাছ থেকে দেখা সারদাপ্রসাদ দাস, যে কোনও কঠিন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ৷ ইটিভি ভারতের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি জানালেন, প্রয়োজনে ছোটবেলার মতোই আবারও যুদ্ধে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন সেনাবাহিনীকে ৷ একইসঙ্গে তিনি স্মৃতিচারণ করলেন যুদ্ধকালীন অভিজ্ঞতার ৷

একাত্তরের যুদ্ধের অভিজ্ঞতা ইটিভি ভারতকে শোনালেন বৃদ্ধ (নিজস্ব ভিডিয়ো)

সারদাপ্রসাদ দাসের বাড়ি নলজোয়া পাড়ায় ৷ 1971 সালের ডিসেম্বর মাসে সেখান থেকে মাত্র 5 কিলোমিটার দূরে চিলাডাঙা এলাকায় শুরু হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ৷ বাড়ির পুকুর পরিষ্কার করে সেখানেই বাঙ্কার বানানো হয়েছিল বলে জানালেন সারদাপ্রসাদ । গোলাগুলির সময় সেই বাংকারে তাঁরা লুকিয়ে থাকতেন ৷

সারদাপ্রসাদ দাস জানান, একাত্তরের যুদ্ধের সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল জলপাইগুড়ি সীমান্ত । জলপাইগুড়ি জেলার বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনির ভারতীয় সেনাবাহিনী ও বিএসএফের ভূমিকা ছিল অপরিসীম । জলপাইগুড়ি জেলাতেই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায় । বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ভারতীয় সেনা ও সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা সেই সময় জীবন বাজি রেখে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ৷ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বসবাসকারীরা সেই যুদ্ধে সেনাকে যথাসাধ্য সাহায্য করেছেন ৷ তাঁদেরই অন্যতম সারদাপ্রসাদ দাস ।

ETV BHARAT
জলপাইগুড়ির সারদাপ্রসাদ দাস (নিজস্ব চিত্র)

সারদাপ্রসাদ ইটিভি ভারতকে তাঁর সেই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার কাহিনি শুনিয়ে বলেন, "চিলাডাঙায় বাংকার তৈরি করে গোলাগুলির সময় তার ভেতরে ঢুকে থাকতাম । 1965 সালের যুদ্ধের পর অভাব-অনটন দেখা দিয়েছিল ৷ এরপর 1971 সালে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি যুদ্ধ ঘোষণা করলেন । মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করার নির্দেশ দেন তিনি ৷ বিএসএফ ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাশে থাকতে বলেন ৷ সেই সময় সীমান্ত পর্যন্ত গোলা কাঁধে করে পৌঁছে দিয়েছিলাম । আমি ও আমার বন্ধুরা মিলে সাহায্য করেছিলাম বাহিনীকে ।"

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মানিকগঞ্জ হাইস্কুলে তখন অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সারদাপ্রসাদ দাস ৷ স্কুলের শিক্ষক তথা স্বাধীনতা সংগ্রামী সুধাংশু মজুমদারের অন্ধ ভক্ত ছিলেন । তাঁর কথায়, "আমাদের মাস্টারমশাই সুধাংশু মজুমদার স্বাধীনতা সংগ্রামী, ক্লাসে ইতিহাস পড়াতেন । আমাদের নেতাজির পাঠ পড়িয়েছিলেন ৷ তার পর থেকে আমাদের মধ্যে জাতীয়তাবোধ জন্মায় । আমরা নেতাজি-পাগল হয়ে যাই । সুধাংশু মজুমদার 1958 সালে বেরুবাড়ি আন্দোলনের নেতা ছিলেন । সীমান্তের মানুষজন তাঁকে ভগবান বলতেন । আমরাও সেনাকে সাহায্যের জন্য ব্রতী হই তাঁরই অনুপ্রেরণায় ।"

ETV BHARAT
দুটো যুদ্ধের সাক্ষী বৃদ্ধ (নিজস্ব চিত্র)

যুদ্ধের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে সারদাপ্রসাদ জানান, "খোলা সীমান্ত হওয়ার সুবাদে যুদ্ধের সময় এপারে আশ্রয় নিতে শুরু করেন শরণার্থীরা । তাঁদের সাহায্য করা, খাওয়ানো সবই করতেন মাস্টারমশাই । স্কুলের বন্ধু নাজির হুসেন হক, বিধান রায়কে সঙ্গে নিয়েই সেনাকে সাহায্য করা শুরু করেছিলাম । মানিকগঞ্জ থেকে পাকিস্তান বর্ডারে সিং রোড, কৈরি হাটখোলা, জদরভাঙা, বড় শশিতে কাঁধে করে গোলা নিয়ে যাওয়া হত ।"

আজ এই বৃদ্ধ বয়সেও যুদ্ধ হলে সেই আগের ভূমিকায় কাজ করতে এতটুকু পিছপা নন সারদাপ্রসাদ দাস ৷ তাঁর কথায়, "জঙ্গিদের উদ্দেশে সরকার যে পদক্ষেপ করেছে তা একদম সঠিক ৷ আমি ফরওয়ার্ড ব্লক দল করি । জাতীয় স্বার্থে ফরওয়ার্ড ব্লকের নীতি মেনেই ভারত সরকার জঙ্গি দমনে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে আমরা পূর্ণ সমর্থন করি । আমরা মাঠে নেমেই আছি । যদি ভবিষ্যতে আবার প্রয়োজন হয়, তাহলে বিএসএফ বা সেনাবাহিনী সবাইকে আমরা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত । এটা আমাদের দলীয় ক্ষেত্রেও সিদ্ধান্ত ৷ আর আমি ব্যক্তিগত ভাবেও আগামীতে আবারও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব ।"

যুদ্ধ হলে সারদাপ্রসাদ দাস একেবারে ময়দানে নেমে বাহিনীর পাশে থাকবেন বলে স্পষ্ট জানালেও তিনি আসলে যুদ্ধের বিপক্ষে ৷ তিনি বলেন, "আমরা দেখেছি যুদ্ধের পরিণতিতে মানুষের অভাবের সীমা থাকে না । সে সময় অনেকে পালিয়ে গেল পরিবার পরিজন ছেড়ে । অনেকে মারা গেলেন । আমরা চাইছি, মৌলবাদী শক্তি যা করছে, তা অবিলম্বে বন্ধ হোক ৷ আলোচনার মাধ্যমে একটা সমাধান করে যাতে যুদ্ধ বন্ধ করা যায়, সেটাই তাঁদের বোঝানো উচিত । সেটাই কাম্য ।"

জলপাইগুড়ি, 15 মে: জলপাইগুড়ির ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাস ৷ দুটো যুদ্ধের সাক্ষী সেই ছেলেবেলায় ৷ 1965 ও 1971 সালে ৷ গুলিবর্ষণ থেকে বাঁচতে বাংকারে থাকতে হয়েছে ৷ একাত্তরের যুদ্ধের সময় তিনি অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ৷ তখন বন্ধুদের সঙ্গে কাঁধে করে গোলাবারুদ সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছিলেন সেনাবাহিনীকে । বর্তমানে এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে আবারও মাঠে নামতে প্রস্তুত 70 বছরের সারদাপ্রসাদ দাস । তবে জঙ্গি দমনে অপারেশন সিঁদুরকে পূর্ণ সমর্থন জানালেও, তিনি আর যুদ্ধ চান না ৷ তাঁর কথায়, যুদ্ধ মানেই অভাব, অনাহার ও সাধারণ মানুষের হাহাকার ৷

জলপাইগুড়ির দক্ষিণ বেরুবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের বাসিন্দা সারদাপ্রসাদ দাস ৷ বর্তমানে তিনি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রতিরক্ষা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ৷ পহেলগাঁওয়ে পাকিস্তানি জঙ্গিদের নারকীয় হত্যালীলার পর ভারতের অপারেশন সিঁদুর ও তার পরবর্তী অধ্যায়ে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষদেরও ৷ তবে যুদ্ধকে খুব কাছ থেকে দেখা সারদাপ্রসাদ দাস, যে কোনও কঠিন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত ৷ ইটিভি ভারতের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি জানালেন, প্রয়োজনে ছোটবেলার মতোই আবারও যুদ্ধে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন সেনাবাহিনীকে ৷ একইসঙ্গে তিনি স্মৃতিচারণ করলেন যুদ্ধকালীন অভিজ্ঞতার ৷

একাত্তরের যুদ্ধের অভিজ্ঞতা ইটিভি ভারতকে শোনালেন বৃদ্ধ (নিজস্ব ভিডিয়ো)

সারদাপ্রসাদ দাসের বাড়ি নলজোয়া পাড়ায় ৷ 1971 সালের ডিসেম্বর মাসে সেখান থেকে মাত্র 5 কিলোমিটার দূরে চিলাডাঙা এলাকায় শুরু হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ৷ বাড়ির পুকুর পরিষ্কার করে সেখানেই বাঙ্কার বানানো হয়েছিল বলে জানালেন সারদাপ্রসাদ । গোলাগুলির সময় সেই বাংকারে তাঁরা লুকিয়ে থাকতেন ৷

সারদাপ্রসাদ দাস জানান, একাত্তরের যুদ্ধের সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল জলপাইগুড়ি সীমান্ত । জলপাইগুড়ি জেলার বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনির ভারতীয় সেনাবাহিনী ও বিএসএফের ভূমিকা ছিল অপরিসীম । জলপাইগুড়ি জেলাতেই মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল বলে জানা যায় । বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ভারতীয় সেনা ও সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা সেই সময় জীবন বাজি রেখে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ৷ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বসবাসকারীরা সেই যুদ্ধে সেনাকে যথাসাধ্য সাহায্য করেছেন ৷ তাঁদেরই অন্যতম সারদাপ্রসাদ দাস ।

ETV BHARAT
জলপাইগুড়ির সারদাপ্রসাদ দাস (নিজস্ব চিত্র)

সারদাপ্রসাদ ইটিভি ভারতকে তাঁর সেই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার কাহিনি শুনিয়ে বলেন, "চিলাডাঙায় বাংকার তৈরি করে গোলাগুলির সময় তার ভেতরে ঢুকে থাকতাম । 1965 সালের যুদ্ধের পর অভাব-অনটন দেখা দিয়েছিল ৷ এরপর 1971 সালে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি যুদ্ধ ঘোষণা করলেন । মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করার নির্দেশ দেন তিনি ৷ বিএসএফ ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাশে থাকতে বলেন ৷ সেই সময় সীমান্ত পর্যন্ত গোলা কাঁধে করে পৌঁছে দিয়েছিলাম । আমি ও আমার বন্ধুরা মিলে সাহায্য করেছিলাম বাহিনীকে ।"

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মানিকগঞ্জ হাইস্কুলে তখন অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সারদাপ্রসাদ দাস ৷ স্কুলের শিক্ষক তথা স্বাধীনতা সংগ্রামী সুধাংশু মজুমদারের অন্ধ ভক্ত ছিলেন । তাঁর কথায়, "আমাদের মাস্টারমশাই সুধাংশু মজুমদার স্বাধীনতা সংগ্রামী, ক্লাসে ইতিহাস পড়াতেন । আমাদের নেতাজির পাঠ পড়িয়েছিলেন ৷ তার পর থেকে আমাদের মধ্যে জাতীয়তাবোধ জন্মায় । আমরা নেতাজি-পাগল হয়ে যাই । সুধাংশু মজুমদার 1958 সালে বেরুবাড়ি আন্দোলনের নেতা ছিলেন । সীমান্তের মানুষজন তাঁকে ভগবান বলতেন । আমরাও সেনাকে সাহায্যের জন্য ব্রতী হই তাঁরই অনুপ্রেরণায় ।"

ETV BHARAT
দুটো যুদ্ধের সাক্ষী বৃদ্ধ (নিজস্ব চিত্র)

যুদ্ধের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে সারদাপ্রসাদ জানান, "খোলা সীমান্ত হওয়ার সুবাদে যুদ্ধের সময় এপারে আশ্রয় নিতে শুরু করেন শরণার্থীরা । তাঁদের সাহায্য করা, খাওয়ানো সবই করতেন মাস্টারমশাই । স্কুলের বন্ধু নাজির হুসেন হক, বিধান রায়কে সঙ্গে নিয়েই সেনাকে সাহায্য করা শুরু করেছিলাম । মানিকগঞ্জ থেকে পাকিস্তান বর্ডারে সিং রোড, কৈরি হাটখোলা, জদরভাঙা, বড় শশিতে কাঁধে করে গোলা নিয়ে যাওয়া হত ।"

আজ এই বৃদ্ধ বয়সেও যুদ্ধ হলে সেই আগের ভূমিকায় কাজ করতে এতটুকু পিছপা নন সারদাপ্রসাদ দাস ৷ তাঁর কথায়, "জঙ্গিদের উদ্দেশে সরকার যে পদক্ষেপ করেছে তা একদম সঠিক ৷ আমি ফরওয়ার্ড ব্লক দল করি । জাতীয় স্বার্থে ফরওয়ার্ড ব্লকের নীতি মেনেই ভারত সরকার জঙ্গি দমনে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে আমরা পূর্ণ সমর্থন করি । আমরা মাঠে নেমেই আছি । যদি ভবিষ্যতে আবার প্রয়োজন হয়, তাহলে বিএসএফ বা সেনাবাহিনী সবাইকে আমরা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত । এটা আমাদের দলীয় ক্ষেত্রেও সিদ্ধান্ত ৷ আর আমি ব্যক্তিগত ভাবেও আগামীতে আবারও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব ।"

যুদ্ধ হলে সারদাপ্রসাদ দাস একেবারে ময়দানে নেমে বাহিনীর পাশে থাকবেন বলে স্পষ্ট জানালেও তিনি আসলে যুদ্ধের বিপক্ষে ৷ তিনি বলেন, "আমরা দেখেছি যুদ্ধের পরিণতিতে মানুষের অভাবের সীমা থাকে না । সে সময় অনেকে পালিয়ে গেল পরিবার পরিজন ছেড়ে । অনেকে মারা গেলেন । আমরা চাইছি, মৌলবাদী শক্তি যা করছে, তা অবিলম্বে বন্ধ হোক ৷ আলোচনার মাধ্যমে একটা সমাধান করে যাতে যুদ্ধ বন্ধ করা যায়, সেটাই তাঁদের বোঝানো উচিত । সেটাই কাম্য ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.