কলকাতা, 14 অগস্ট: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এবার চাবি রহস্য ! ঘটনার দিন সেমিনার হলের চাবি কে বা কারা নিয়েছিলেন ? আজ নার্সিং সুপার জানিয়েছেন, একটি বাক্সতে চাবি রাখা হয় ৷ সেই চাবি নেন শুধুমাত্র চিকিৎসকরাই ৷
ফলে প্রশ্ন উঠছে, ঘটনার রাতে তাহলে চাবি কে বা কারা নিয়েছিলেন ? কারণ, বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চেস্ট মেডিসিনের প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরী বলেন, "ওই দিন চাবি কে নিয়েছিলেন, সেটা আমার জানার কথা নয় ৷ আমরা যখন আসি পিওন আমাদের ঘরের চাবি খুলে দেন ৷ ফলে ওইদিন চাবি কে নিয়েছিলেন, তা আমার জানা নেই ৷" ফলে আরও একটি প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি সেমিনার হলের এই চাবি দেওয়া-নেওয়ার রেকর্ড রাখার রেজিস্ট্রার নেই আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ?
স্বাভাবিকভাবে যে কেউ চাবি নিয়ে সেমিনার হলে ঢুকে যেতে পারেন ৷ যা আরও একবার আরজি করের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার গাফিলতি তুলে ধরল বলে অভিযোগ উঠছে ৷ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ঘটনার মাত্র আটদিন আগে চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধান হিসাবে দায়িত্বগ্রহণ করেছিলেন অরুণাভ দত্ত চৌধুরী ৷ তাঁর কথায়, "ওইদিন আমি সকাল 9টা 35 মিনিট নাগাদ জানতে পারি ৷ আমি আঁতকে উঠেছিলাম প্রথমে ৷ লিফট না পেয়ে সিঁড়ি দিয়ে উঠেছিলাম ৷ তবে, ঘটনাস্থলে সেই সময় পুলিশ ছিল ৷ তাই অনেকদূর থেকে আমি মৃতদেহটা দেখেছিলাম ৷"
আরও একটি প্রশ্ন উঠছে, নার্সিং-সুপার কৃষ্ণা সাহার বক্তব্যের পর ৷ আর তা হল, সেদিন প্রথম ওই নির্যাতিত ডাক্তারি পড়ুয়ার দেহ কে প্রথম দেখেছিলেন ? কারণ, চেস্ট মেডিসিনের প্রধানের কথায়, নির্যাতিতার দেহ প্রথম দেখতে পান দু’জন পিজিটি-র ছাত্র ৷ তারপর ঘটনাটি ইউনিট ইনচার্জে থাকা চিকিৎসক জানান চেস্ট মেডিসিনের প্রধানকে ৷ তিনি বিষয়টা জানতে পেরে ফোন করেন হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষকে ৷ পরিবারকে খবরটা দেওয়ার জন্য, তাঁর কাছে ওই সময় অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার পরিবারের নম্বর চান ৷ তিনি পরিবারের লোককে জানান বিষয়টি ৷ ফলে চেস্ট মেডিসিনের প্রধানের কথা অনুযায়ী, সেদিন প্রথম দেহ দেখেছিলেন পিজিটি-র দুই ছাত্র ৷ অন্যদিকে, নার্সিং সুপারের আজকের দাবি অনুযায়ী, ওইদিন প্রথম দেহ দেখেছিলেন গ্রুপ-ডির একজন কর্মী ৷
এছাড়াও, মৃত নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, ঘটনাস্থলে তাঁরা পৌঁছানোর পর প্রায় তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করানো হয়েছিল ৷ এই বিষয়ে চেস্ট মেডিসিনের প্রধান বলেন, "যখন ওর মা-বাবা এসেছিল, তখন পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্ত করছিল ৷ আমরা ঘরে ওঁরা বসেছিলেন ৷ আমি দু’বার ওখানে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম ৷ কিন্তু, তখন পুলিশের কাজ চলছিল ৷ তাই ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করা হয়নি ৷"