ETV Bharat / state

টালা থানায় বসেই তথ্যপ্রমাণ লোপাটের ষড়যন্ত্র ! সোম পর্যন্ত জেল হেফাজতে সন্দীপ-অভিজিৎ - RG Kar Doctor Rape and Murder

RG Kar Doctor Rape and Murder Case: আরজি কর-কাণ্ডে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে ধৃত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে আজ ফের শিয়ালদা আদালতে পেশ করা হয় ৷ সেখানেই আরজি করের তথ্যপ্রমাণ লোপাট নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করল সিবিআই ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 25, 2024, 4:29 PM IST

Updated : Sep 25, 2024, 7:45 PM IST

RG Kar Doctor Rape and Murder Case
সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলকে আদালতে পেশ ৷ (ইটিভি ভারত)

কলকাতা, 25 সেপ্টেম্বর: শিয়ালদা আদালতে বিস্ফোরক তথ্য পেশ করল সিবিআই ৷ আরজি কর-কাণ্ডে প্রমাণ লোপাটের ষড়যন্ত্র হয়েছিল টালা থানার ভিতরেই ৷ আজ শুনানিতে আদালতকে এমনটাই জানালেন সিবিআইয়ের আইনজীবী ৷ এদিন সন্দীপ ও অভিজিৎকে 6 দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত ৷

বুধবার টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল এবং আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে শিয়ালদা আদালতে পেশ করে সিবিআই ৷ তবে, তাঁদের নিজেদের হেফাজতে চায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ বদলে আপাতত তাঁদের জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন করা হয় ৷ পরবর্তী সময়ে আরজি কর-কাণ্ডে দু’জনকে ফের হেফাজতে নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে সিবিআই ৷ সেই মতো আদালত দু’জনকে 30 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ৷

এদিন আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, "সিবিআইয়ের হাতে কোনও জাদুকাঠি নেই যে, তারা এখনই প্রমাণ করে দিতে পারবেন পুরো ঘটনা ৷ হাতে একাধিক নথিপত্র ও ডিজিটাল প্রমাণ এসেছে ৷ সেইগুলি ভালোভাবে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন ৷ রহস্য লুকিয়ে রয়েছে টালা থানার সিসিটিভি ক্যামেরায় ৷ আর সেটা আমরা ল্যাবে পাঠিয়েছি ৷ টালা থানায় বসেই তথ্যপ্রমাণ লোপাটের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল ৷ ল্যাবের রিপোর্ট আসার পরেই আমরা সন্দীপ এবং অভিজিৎকে জেরা করব ৷"

গত 14 সেপ্টেম্বর রাতে সিজিও কমপ্লেক্সের জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন টালা থানার প্রাক্তন ওসি-কে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই ৷ আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ উল্লেখ্য, সন্দীপ ঘোষ আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় আগেই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন ৷ তবে, সেই মামলায় তিনি বিচারবিভাগীয় হেফাজতে ছিলেন ৷ পরে আরজি করের ঘটনায় প্রমাণ লোপাটে সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগে সিবিআই সন্দীপ ঘোষকেও গ্রেফতার করে ৷

উল্লেখ্য, গত 9 অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের পিজিটি পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য তথা দেশ ৷ এই ঘটনায় শুরু থেকেই আরজি করের জুনিয়র ডাক্তাররা তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগ করেছিলেন ৷ এমনকি, তাঁর গ্রেফতারি-সহ একাধিক দাবিতে লম্বা কর্মবিরতি ও আন্দোলনে সামিল হন জুনিয়র ডাক্তাররা ৷ পরবর্তী সময়ে সিবিআই ঘটনার তদন্তে নামে ৷ এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে সিবিআই প্রমাণ লোপাট এবং অপরাধের জায়গা বদলের আশঙ্কা প্রকাশের কথাও জানায় ৷ আর তার পরেই গত 14 সেপ্টেম্বর রাতে সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই ৷

কলকাতা, 25 সেপ্টেম্বর: শিয়ালদা আদালতে বিস্ফোরক তথ্য পেশ করল সিবিআই ৷ আরজি কর-কাণ্ডে প্রমাণ লোপাটের ষড়যন্ত্র হয়েছিল টালা থানার ভিতরেই ৷ আজ শুনানিতে আদালতকে এমনটাই জানালেন সিবিআইয়ের আইনজীবী ৷ এদিন সন্দীপ ও অভিজিৎকে 6 দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত ৷

বুধবার টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল এবং আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে শিয়ালদা আদালতে পেশ করে সিবিআই ৷ তবে, তাঁদের নিজেদের হেফাজতে চায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ বদলে আপাতত তাঁদের জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন করা হয় ৷ পরবর্তী সময়ে আরজি কর-কাণ্ডে দু’জনকে ফের হেফাজতে নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে সিবিআই ৷ সেই মতো আদালত দু’জনকে 30 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ৷

এদিন আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, "সিবিআইয়ের হাতে কোনও জাদুকাঠি নেই যে, তারা এখনই প্রমাণ করে দিতে পারবেন পুরো ঘটনা ৷ হাতে একাধিক নথিপত্র ও ডিজিটাল প্রমাণ এসেছে ৷ সেইগুলি ভালোভাবে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন ৷ রহস্য লুকিয়ে রয়েছে টালা থানার সিসিটিভি ক্যামেরায় ৷ আর সেটা আমরা ল্যাবে পাঠিয়েছি ৷ টালা থানায় বসেই তথ্যপ্রমাণ লোপাটের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল ৷ ল্যাবের রিপোর্ট আসার পরেই আমরা সন্দীপ এবং অভিজিৎকে জেরা করব ৷"

গত 14 সেপ্টেম্বর রাতে সিজিও কমপ্লেক্সের জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন টালা থানার প্রাক্তন ওসি-কে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই ৷ আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ উল্লেখ্য, সন্দীপ ঘোষ আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় আগেই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন ৷ তবে, সেই মামলায় তিনি বিচারবিভাগীয় হেফাজতে ছিলেন ৷ পরে আরজি করের ঘটনায় প্রমাণ লোপাটে সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগে সিবিআই সন্দীপ ঘোষকেও গ্রেফতার করে ৷

উল্লেখ্য, গত 9 অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের পিজিটি পড়ুয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয় রাজ্য তথা দেশ ৷ এই ঘটনায় শুরু থেকেই আরজি করের জুনিয়র ডাক্তাররা তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সরাসরি যুক্ত থাকার অভিযোগ করেছিলেন ৷ এমনকি, তাঁর গ্রেফতারি-সহ একাধিক দাবিতে লম্বা কর্মবিরতি ও আন্দোলনে সামিল হন জুনিয়র ডাক্তাররা ৷ পরবর্তী সময়ে সিবিআই ঘটনার তদন্তে নামে ৷ এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানিতে সিবিআই প্রমাণ লোপাট এবং অপরাধের জায়গা বদলের আশঙ্কা প্রকাশের কথাও জানায় ৷ আর তার পরেই গত 14 সেপ্টেম্বর রাতে সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই ৷

Last Updated : Sep 25, 2024, 7:45 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.