ETV Bharat / state

কলকাতার খাদ্যমেলায় মিলছে সন্দেশখালির মহিলাদের হাতের রান্নার স্বাদ - Food Fair

varieties Of Rice: বাংলায় একাধিক চালের চাষ হলেও তার সন্ধান অনেকেই রাখেন না ৷ বিশেষ করে সন্দেশখালিতেই শুধু চাষ হয় 10 রকমের চাল ৷ সেই চালের স্বাদ পাওয়া যাবে এবার কলকাতাতে বসেই ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 22, 2024, 4:46 PM IST

SANDESHKHALI CHAWL KATHA
সন্দেশখালির মহিলাদের হাতে রান্নার স্বাদ কলকাতায়
সন্দেশখালির মহিলাদের হাতে রান্নার স্বাদ কলকাতার খাদ্যমেলায়

কলকাতা, 22 এপ্রিল: যে সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্য এত উত্তাল হয়েছে সেই এলাকা মা-বোনেরা এবার পা রাখলেন কলকাতায় ৷ থুড়ি তাঁদের হাতে তৈরি রান্নার স্বাদ পাচ্ছে কলকাতাবাসী ৷ টালা পার্ক, সার্কাস ময়দানে চলছে 'সন্দেশখালি চাউল কথা' খাদ্য মেলা । সেখানেই আগমন ঘটেছে সন্দেশখালির মা-বোনেদের ৷ প্রায় হারিয়ে যেতে বসা নানান লোভনীয় পদ তাঁরা রেঁধে খাওয়াচ্ছেন কলকাতাবাসীকে।

মজার বিষয় হাতের রান্নার স্বাদ পেলেও মা-বোনেরা মুখ ঢেকেছেন কাপড়ে ৷ ক্যামেরার সামনে তো আর নয়ই। ওদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই ব্যবস্থা বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তা রবিন বন্দ্যোপাধ্যায়। হরেক প্রকার চালের ভাত পাওয়া যাচ্ছে এই খাদ্যমেলায়। পদেও আছে একাধিক চমক।

কেন এই উদ্যোগ? রবিন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বিগত কুড়ি বছর ধরে চাষবাস করি। এখানকার চাষবাসের সঙ্গে আমাদের বিস্তর ফারাক। এখানে যে ভাবে চাষ হয় তাতে জৈব চাষের আন্দোলনের যে উদ্দেশ্য ছিল তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে । পশ্চিমবঙ্গে হাজারের বেশি ধরনের চাল আছে। তার মধ্যে সন্দেশখালির মাটিতে তৈরি দশ রকমের চাল আমরা নিয়ে এসেছি। এগুলি ওরা মন দিয়ে চাষ করলে ভালো লাভ হবে। কিন্তু কিনবে কে? তাই এখানে এই চালগুলি রেঁধে খাওয়ানো হচ্ছে। যাতে লোকে চালগুলোর ব্যাপারে জানতে পারে।"

সন্দেশখালি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "সন্দেশখালির বহু মানুষের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলে তাঁরা বলবেন ওদের সঙ্গে ওরকম ঘটনা ঘটেনি। কারোর কারোর সঙ্গে তো ঘটেছেই। সব জায়গাতেই শেখ শাহাজানের মতো লোক আছে ৷ একটা শাহাজানের জন্য গোটা সন্দেশখালিকে দাগিয়ে দেওয়া ঠিক নয়।" এই ব্যাপারে আর কোনও মতামত পেশ করতে রাজি হননি তিনি। তবে, খাদ্যমেলার মূল কারণ সন্দেশখালির মাটিতে উৎপাদিত চাল এখানের মানুষের কাছে নিয়ে আসা। এখানকার মানুষকে তার রস আস্বাদন করানোই আসল উদ্দেশ্য বলে জানা গিয়েছে ৷

আরও পড়ুন

1. গরমেও মেকআপ রচনার, ফিট থাকতে পরামর্শ 'দই খান'

2. গেরুয়ায় রাঙল দূরদর্শনের লোগো, ক্ষোভ উগড়ে দিলেন জহর সরকার

3. বারাসত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে 'না' উচ্চশিক্ষা দফতরের

সন্দেশখালির মহিলাদের হাতে রান্নার স্বাদ কলকাতার খাদ্যমেলায়

কলকাতা, 22 এপ্রিল: যে সন্দেশখালি নিয়ে রাজ্য এত উত্তাল হয়েছে সেই এলাকা মা-বোনেরা এবার পা রাখলেন কলকাতায় ৷ থুড়ি তাঁদের হাতে তৈরি রান্নার স্বাদ পাচ্ছে কলকাতাবাসী ৷ টালা পার্ক, সার্কাস ময়দানে চলছে 'সন্দেশখালি চাউল কথা' খাদ্য মেলা । সেখানেই আগমন ঘটেছে সন্দেশখালির মা-বোনেদের ৷ প্রায় হারিয়ে যেতে বসা নানান লোভনীয় পদ তাঁরা রেঁধে খাওয়াচ্ছেন কলকাতাবাসীকে।

মজার বিষয় হাতের রান্নার স্বাদ পেলেও মা-বোনেরা মুখ ঢেকেছেন কাপড়ে ৷ ক্যামেরার সামনে তো আর নয়ই। ওদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই ব্যবস্থা বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তা রবিন বন্দ্যোপাধ্যায়। হরেক প্রকার চালের ভাত পাওয়া যাচ্ছে এই খাদ্যমেলায়। পদেও আছে একাধিক চমক।

কেন এই উদ্যোগ? রবিন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বিগত কুড়ি বছর ধরে চাষবাস করি। এখানকার চাষবাসের সঙ্গে আমাদের বিস্তর ফারাক। এখানে যে ভাবে চাষ হয় তাতে জৈব চাষের আন্দোলনের যে উদ্দেশ্য ছিল তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে । পশ্চিমবঙ্গে হাজারের বেশি ধরনের চাল আছে। তার মধ্যে সন্দেশখালির মাটিতে তৈরি দশ রকমের চাল আমরা নিয়ে এসেছি। এগুলি ওরা মন দিয়ে চাষ করলে ভালো লাভ হবে। কিন্তু কিনবে কে? তাই এখানে এই চালগুলি রেঁধে খাওয়ানো হচ্ছে। যাতে লোকে চালগুলোর ব্যাপারে জানতে পারে।"

সন্দেশখালি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "সন্দেশখালির বহু মানুষের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলে তাঁরা বলবেন ওদের সঙ্গে ওরকম ঘটনা ঘটেনি। কারোর কারোর সঙ্গে তো ঘটেছেই। সব জায়গাতেই শেখ শাহাজানের মতো লোক আছে ৷ একটা শাহাজানের জন্য গোটা সন্দেশখালিকে দাগিয়ে দেওয়া ঠিক নয়।" এই ব্যাপারে আর কোনও মতামত পেশ করতে রাজি হননি তিনি। তবে, খাদ্যমেলার মূল কারণ সন্দেশখালির মাটিতে উৎপাদিত চাল এখানের মানুষের কাছে নিয়ে আসা। এখানকার মানুষকে তার রস আস্বাদন করানোই আসল উদ্দেশ্য বলে জানা গিয়েছে ৷

আরও পড়ুন

1. গরমেও মেকআপ রচনার, ফিট থাকতে পরামর্শ 'দই খান'

2. গেরুয়ায় রাঙল দূরদর্শনের লোগো, ক্ষোভ উগড়ে দিলেন জহর সরকার

3. বারাসত বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে 'না' উচ্চশিক্ষা দফতরের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.