শালবনী, 21 এপ্রিল: জঙ্গলমহলে জিন্দলদের আরও একটি শিল্পের সূচনা হতে চলেছে ৷ শালবনিতে যার যাত্রা শুরু হয়েছিল জিন্দলদের সিমেন্ট কারখানাকে সামনে রেখে ৷ এবার দ্বিতীয় পর্যায়ে তৈরি হবে 16 হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে 1600 মেগাওয়াটের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ৷ সোমবার যার শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেখানেই মঞ্চ থেকে থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিলেন জেএসডব্লিউ-র কর্ণধার সজ্জন জিন্দল ৷
এ দিন নিজের ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি হলে 15 হাজার কর্মসংস্থান হবে স্থানীয়দের জন্য ৷ সেই প্রতিশ্রুতিকে মান্যতা দিয়ে জেএসডব্লিউ-র কর্ণধার বলেন, "দিদি বলেছিলেন, এখানে কারখানা তৈরি করলে যেন এখানকার মানুষের কথাও ভাবি ৷ আমি প্রমিস করছি, এই প্রকল্প থেকে আপনারা উপকৃত হবেন ৷ এটা আমার গ্যারান্টি ৷"
মঞ্চ থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন সজ্জন জিন্দল ৷ তিনি বলেন, "এই ধরনের নেতৃত্ব 10 লক্ষ বছরে একবার আসে ৷ ওঁর মনে দয়া আছে, ভাবনা আছে, প্রেরণা আছে ৷" উল্লেখ্য, জেএসডব্লিউ গ্রুপের উদ্যোগে শালবনিতে তৈরি হবে শিল্পপার্ক ৷ এ দিন তারও শিলান্যাস হল ৷

মমতা এবং সজ্জন জিন্দল ছাড়াও মঞ্চে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, পার্থ জিন্দল, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, বীরবাহা হাঁসদা, মানস ভুঁইয়া, অভিনেতা-সাংসদ দেব, জুন মালিয়া, বিধায়ক সুজয় হাজরা, উত্তরা সিংহ-সহ রাজ্যের প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব ৷
দু’টি ইউনিটে 800 মেগাওয়াট করে মোট 1600 মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার এই গ্রিনফিল্ড থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট হবে পরিবেশবান্ধব—এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জেএসডব্লিউ এনার্জির কর্ণধার ৷ সজ্জন জিন্দল বলেন, "এই কারখানা থেকে কোনও দূষণ হবে না ৷ জাপান, কোরিয়া থেকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আনা হবে ৷ এখান থেকে ভবিষ্যতে প্রায় দুই কোটি মানুষ বিদ্যুৎ পরিষেবা পাবেন ৷"
দীর্ঘ এক দশক পর পশ্চিম মেদিনীপুরে এসে অভিভূত জিন্দল বলেন, "এত উন্নয়ন চোখে পড়ছে, মনে হচ্ছে সবাই এখানে খুব খুশি ৷ দিদির সঙ্গে কথা বললে মনে হয় পরিবারের কারও সঙ্গে কথা বলছি ৷"
এ দিন একইসঙ্গে শালবনির 2000 একর জমিতে জেএসডব্লিউ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিলান্যাসও করা হয় ৷ মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই প্রকল্প রাজ্যের শিল্প মানচিত্রে নতুন সম্ভাবনার দিক খুলে দেবে ৷ এখান থেকেই এক নতুন কর্মযাত্রার সূচনা হবে বলেও আশাবাদী প্রশাসনিক মহল ৷ অনুষ্ঠানের শেষে সজ্জন জিন্দলকে 'জয় বাংলা' স্লোগানে তাঁর বক্তব্য শেষ করতে শোনা যায় ৷