রিষড়া, 6 এপ্রিল: রাম নবমীর মিছিলে সম্প্রীতির বার্তা রিষড়ায়। গত কয়েক বছর আগেই এই রিষড়ায় উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এ বছর অন্য ছবি দেখা গেল সেখানে । যে রামনবমী মিছিল ঘিরে অশান্তি আশঙ্কা ছিল, সেখানেই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরা গরমে জলের ব্যবস্থা করল। আর সেই মিছিল থেকেই প্রসাদ হাতে তুলে দেওয়া হল মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের হাতে। সেটাও হাঁসি মুখে গ্রহণ করলেন তারা ।
এই মানবিক উদ্দেশ্যে এগিয়ে আসেন রিষড়া পৌরসভার 4 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সাকির আলী। তিনি নিজের হাতে জল দান করেন রাম ভক্তদের। এতেই সাধুবাদ জানাল সনাতনী হিন্দুরা। প্রত্যেকেরই দাবি, ধর্মী অনুষ্ঠানে কোনও রাজনীতি নেই। এটাই সম্প্রীতি। রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যেও অন্য বার্তা দিলেন রিষড়া পৌরসভার 4 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর।

রামনবমীতে সম্প্রীতির ছবি রিষড়ায়। সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকায় রামনবমীর জন্য কড়া নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলেছিল পুলিশ। রিষড়া সন্ধ্যা বাজার-সহ জিটি রোড চত্ত্বরে দোকান পাঠ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বিকাল হতেই শুরু হয় রামনবমীর শোভাযাত্রা। কোনও জলের ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তার ধারে পানীয় জল ও বোতলের ব্যবস্থা করা হয়। আর সেখানেই তৃণমূল কাউন্সিলর সাকির আলী জল দেন। পাল্টা রাম ভক্তরাও তাদের জন্য প্রসাদ দেন।
উল্লেখ্য, গত দুবছর আগেই এখানেই রাম নবমীর মিছিলকে ঘিরে বিশৃখলা সৃষ্টি হয়েছিল। এ বছর এক অন্য চিত্র দেখা গেল রিষড়ায়। কাউন্সিলর সাকির আলী বলেন, "রিষড়া রামনবমীর শোভাযাত্রা বেরিয়েছে। আমরা হিন্দু-মুসলমান সবাই সমান। একজন নাগরিক হিসাবে জল তুলে দিচ্ছে। গরমে অনেকেই কষ্ট পাচ্ছেন। তাই আমি তাদেরকে জল এগিয়ে দিয়েছি। আমি তৃণমূলের কাউন্সিলর হলেও, আগে আমি একজন সাধারণ নাগরিক। ধর্ম আলাদা হতে পারে, কিন্তু উৎসব সবার। মানুষ ভালবেশে প্রসাদ দিয়েছে। আমি সেটা গ্রহণ করেছি। এটাই ভালবাসা।"
রিষড়া রাম নবমীর শোভাযাত্রার কমিটির মধ্যে এক সদস্য হরিশ আগরওয়াল বলেন, "এটা কোনও রাজনৈতিক মিছিল নয়। এটা ধর্মীয় র্যালি। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের ব্যবস্থাপনা দেখে খুব খুশি হয়েছি। এই রকম ব্যবস্থা যদি আগে থাকত, তাহলে কোনও বিশৃঙ্খলা হতো? সাকির আলী আমাদের জল খাওয়াচ্ছেন, এটা দেখে খুব আনন্দিত হলাম। এটাই সম্প্রীতি।"
'রামনবমীতে গুন্ডামি করলেই মার', শুভেন্দুকে অশালীন ভাষায় হুঁশিয়ারি কল্যাণের