কলকাতা, 10 এপ্রিল: তামিলনাড়ুর রাজভবনের প্রসঙ্গ টেনে বুধবারই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনের দিকে আঙুল তুলেছিলেন। রাজভবনে বিল পড়ে থাকার 'যৌক্তিকতা' নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। সেই খবরকে ভুল বলে পাল্টা দাবি করল রাজভবন।
2016 থেকে 2025 সাল পর্যন্ত রাজ্য বিধানসভায় পাশ হওয়া একাধিক বিলের মধ্যে 23টি বিল রাজভবনে আটকে রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন বিধানসভার স্পিকার । সেই খবর সংবাদমাধ্যমে সম্প্রচারিত হয় ও প্রকাশিত হয়। বুধবার সেই খবরকে ভুল বলে পাল্টা দাবি করল রাজভবন। সূত্রের দাবি, রাজভবনের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত এক অফিসার রাজভবনে কর্মীদের জন্য বেশ কিছু তথ্য সরবরাহ করেছেন। তাতে ওই বিশেষ আধিকারিক দাবি করেছেন, গণমাধ্যমের একাংশে প্রকাশিত একটি ভ্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, কিছু বিল রাজভবনে পড়ে রয়েছে । এ বিষয়ে রাজভবন বারবার রাজ্য সরকার, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা এবং সংবাদমাধ্যমকে প্রকৃত অবস্থা জানিয়ে এসেছে । তথাকথিত ‘বিল অনিষ্পন্ন’ সংক্রান্ত বর্তমান আপডেট ফের দেওয়া হল ৷
রাজভবনের ওই পদাধিকারী দাবি করেছেন যে, রাজ্যপাল সব সময় সংবিধান অনুযায়ী শিষ্টাচার মেনে চলেছেন, বিশেষ করে বিল পাশের বিষয়ে। 2023 সালে রাজভবনকে জানানো হয়েছিল যে, মোট 23টি বিল নাকি রাজভবনে অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে । এই খবর প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যপাল বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। সেই বিলগুলির মধ্যে পাঁচটি বিলে তিনি সম্মতি (Assent) দিয়েছেন বলেও জানা যায়। দু'টি বিল রাজ্য সরকারের কাছে ফেরত পাঠানো হয়েছে, প্রয়োজনীয় তথ্যের অভাবে।
অবশিষ্ট বিলগুলির (যার মধ্যে কিছুতে সম্মতি দেওয়া হয়েছে) বর্তমান অবস্থাও বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে। 2024 এবং 2025 সালে রাজ্যপাল মোট 11টি বিল রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য সংরক্ষিত রেখেছেন। এই বিলগুলির মধ্যে 10টি বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত এবং একটি হল ‘অপরাজিতা বিল’, যা রাজ্য সরকারের সুপারিশ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে রাজভবনের তরফে জানানো হয়েছে।