চুঁচুড়া, 24 মার্চ: রোগা হওয়ার সেরা সময় কোনটা ? সুস্থ থাকার ডায়েট চার্টই বা কী ? জেলাশাসকের সঙ্গে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বৈঠকের পর শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে এমনই নানা টোটকা বাতলে দিলেন স্বয়ং তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তবে সর্বোপরি অভিনেত্রী-সাংসদের পরামর্শ, "আনন্দে থাকুন ৷ আনন্দে থাকলেই শরীর-মন সব ঠিক থাকবে ৷"
গত বছর এই সময়টায় লোকসভা নির্বাচনের আগে তীব্র গরম ছিল । সেই সময় প্রচারে বেরিয়ে কালঘাম ছোটাতে হয়েছিল অভিনেত্রী-প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৷ কালো হয়ে যাওয়ার ভয়ে মেক-আপ করে প্রচারে বেরোতেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি ৷ বলেছিলেন, "রাজনীতিতে এসে ভেবেছিলাম, মেক-আপ ছাড়া আরামে থাকব ৷ কিন্তু গরমে মেক-আপ না করলে পুড়ে যাব ৷ তাই মেক-আপ করছি ৷" সেই কথা স্মরণ করে এদিন গরমে ভালো থাকার টিপস দিয়েছেন রচনা ৷
তিনি বলেন, "গত বছর যখন প্রচার করেছি তখন খুব গরম ছিল । এবার এখনও সেই গরম পড়েনি । এখন অন্যরকম কাজ ৷ তবে 2026-এর নির্বাচনের সময় গরম বাড়বে । মানুষের কাছে কাছে যাওয়া, সেটা পরের বছর হতে চলেছে । আবার বিধানসভা ভোট আসছে, দেখবেন পরের বছর কী গরমটা পড়ে ।" এরপরেই গরমে সুস্থ থাকার টিপস দিয়ে সাংসদ বলেন, "গরমকাল হল সবচেয়ে ভালো সময় রোগা হওয়ার জন্য । রোজ শরবত, ফল, দই খান । আর মনে আনন্দ রাখুন ৷ আনন্দে থাকলেই শরীর-মন সব ঠিক থাকবে ।"
হুগলি জেলায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে আগেই সংশয় প্রকাশ করেছিলেন হুগলির তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় । পাণ্ডুয়ার গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে তাঁর মধ্যে ধরা পড়েছিল উদ্বেগ । বিজেপির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে আরও কাজ করা উচিত ছিল বলে দাবি করেছিলেন তিনি । সেই খামতি মেটাতে তাঁর সাংসদ পদের এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই স্বাস্থ্যে বিশেষ জোর দিয়েছেন রচনা ৷
সেই নিয়েই চুঁচুড়ায় জেলাশাসকের দফতরে আজ বৈঠক করেন তিনি । জেলা হাসপাতালগুলির চিকিৎসা পরিষেবা, সরঞ্জাম, চিকিৎসক থেকে হাসপাতালের রোগীদের অন্যান্য সুযোগ সুবিধার জন্য নানা ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানালেন হুগলির সাংসদ । তিনি জানান, আপাতত মুখ্যমন্ত্রী ও জেলাশাসক মুক্তা আর্যর সঙ্গে কথা বলে চুঁচুড়া ও ধনেখালি হাসপাতাল নিয়ে কাজ করবেন । আগামী দিনে ধীরে ধীরে হুগলি লোকসভার অন্যান্য এলাকায় স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতিতে হাত লাগাবেন ৷

হুগলির জেলাশাসকের সঙ্গে স্বাস্থ্য বিষয়ক বৈঠক থেকে বেরিয়ে এদিন রচনা বলেন, "স্বাস্থ্য আমার প্রাথমিক কাজ । আমার সংসদ এলাকার হাসপাতালগুলোর পরিকাঠামো উন্নয়ন করব । তবে চিকিৎসকের অভাব আছে । সেটা কীভাবে দূর করা যায় তা দেখা হচ্ছে । এই লোকসভা এলাকায় হাসপাতাল বাড়াব, বেড বাড়াব, হাসপাতালে যন্ত্রপাতি দেওয়া হবে, পরিকাঠামো উন্নয়ন হবে । কিন্তু ডাক্তার না থাকলে সবটাই ফিকে পড়ে যাবে ।ডাক্তারই আসল ৷"