চুঁচুড়া, 14 সেপ্টেম্বর: মানুষের সেবায় আপনারা নিযুক্ত, মানুষের সেবায় ফিরে আসুন ৷ জুনিয়র চিকিৎসকদের এইভাবেই কাজে ফেরার আবেদন জানালেন তৃণমূলের অভিনেত্রী সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক পড়ুয়া ধর্ষণ ও খুনেের বিচারে চেয়ে কর্মবিরতির পাশাপাশি চলছে আন্দোলন ৷
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও কর্মবিরতিতে অনড় রাজ্যের জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷ রাজ্য সরকারও চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আবেদন জানিয়ে ব্যর্থ ৷ তিনদিন ধরেও নবান্নের তরফে রাজ্য সরকার ও চিকিৎসকদের আলোচনার প্রস্তাব ভেস্তে যায় ৷ আন্দোলনরত চিকিৎসকরা নিজেদের দাবিতে অনড় ৷ ফলে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা পরিবেষা ৷ রাজ্য সরকারে মতে, গত কয়েকদিন বিনা চিকিৎসায় বেশ কয়েকজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে ৷ শুক্রবার এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, হাসপাতালে পরিষেবা না-পেয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে 29।
চিকিৎসকদের কর্মবিরতির পাল্টা প্রতিবাদের সরব হয়েছে তৃণমূল । বৃহস্পতিবার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবাদ মিছিলের পর শুক্রবার এ নিয়েে মুখ খুললেন হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ শুক্রবার চুঁচুড়ায় এক অনুষ্ঠানে রচনা বলেন, "আমি কখনওই বলিনি চিকিৎসকরা ভুল কাজ করছেন ৷ আমরা সব সময় ওদের সঙ্গে আছি ৷ কারণ ওরা বিচার চাইছে ৷ আমরাও বিচার চাইছি ৷ আমরা চাই, দোষীরা শাস্তি পাক । চিকিৎসকদের পাশে সকলেই আছে । এমনকি মুখ্যমন্ত্রীও আছেন ৷ কিন্তু ওদের এই আন্দোলনের জন্য এবং কর্মবিরতির জন্য অনেক মানুষ মারা যাচ্ছেন ৷ অনেক পরিবারের মানুষ চলে যাচ্ছেন ৷ তাই, আমাদের করজোড়ে অনুরোধ, আন্দোলন চলুক কিন্তু কর্মবিরতি বন্ধ হোক ৷ মানুষের সেবায় আপনারা নিযুক্ত হয়েছেন ৷ সেবায় ফিরে আসুন ৷ সিবিআই-এর উপর কথা বলার আমরা কেউ নই ৷ দিদির কাছে বিচার চেয়ে কী হবে ? মুখ্যমন্ত্রী তো বিচার করবেন না । বিচার দেবে আদালত ও সিবিআই।"
চুঁচুড়ায় 39তম শারদীয়া তাঁত বস্ত্র মেলার সূচনায় আসেন সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "পুজো অবশ্যই হওয়া দরকার ৷ পুজোর সঙ্গে বহু মানুষের উপার্জন জড়িয়ে রয়েছে ৷ পুজোয় যে প্যান্ডেল দেখতে যান, সেই প্যান্ডেলের তৈরির মধ্যে বহু মানুষের অবদান রয়েছে। মৃৎশিল্পী থেকে ডেকরেটসের লোকজন এবং পুজোয় সময় অনেক ধরনের স্টল তৈরি হয়। পুজো থেকেই এই মানুষের রুটিরুজি হয় এবং তাতেই সংসার চলে।"