কাটোয়া, 23 মে: প্রশাসনের হলোগ্রাম ছাড়া রাস্তায় টোটো চালানো যাবে না ৷ এই নির্দেশ আগেই দিয়েছিল কাটোয়া প্রশাসন। সেই মতো শুক্রবার মহকুমাজুড়ে শুরু হয় টোটো ধরপাকড় অভিযান। কংগ্রেসের অভিযোগ, শুধুমাত্র কংগ্রেস করার অভিযোগে বেছে বেছে কংগ্রেস সমর্থক টোটো চালকদের হলোগ্রাম দেওয়া হয়নি। প্রতিবাদ জানিয়ে কাটোয়া শহর জাতীয়তাবাদী টোটো ইউনিয়নের 230 জন টোটো চালক ও তাদের পরিবার কাটোয়া আরটিও অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। তাদের অভিযোগ, কংগ্রেস করার কারণে বেছে বেছে তাদের হলোগ্রাম দেওয়া হয়নি।
যদিও প্রশাসন জানিয়েছে, যাদের হলোগ্রাম নেই তাদের তিনটে নিয়ম মেনে দরখাস্ত দিতে হবে। প্রশাসন তদন্ত করে দেখবে তারা আগে থেকে টোটো চালাতো কি না, সবকিছু বিচার বিবেচনা করে তবেই হলোগ্রাম দেওয়া হবে। পরে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পরে তারা অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেয়।
এক গৃহবধূ সোমা বৈরাগ্য বলেন, "আমার স্বামী কংগ্রেস করে সেই কারণে প্রশাসন আমাদের টোটো চালানো বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে সেই সব পরিবারগুলো আর্থিক সমস্যার মুখে পড়েছে। তাহলে আমরা কী করব ? ফলে আমরা ঘরের বউয়েরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছি। প্রতিটা পরিবার রাস্তায় বসে আছি।"
অন্যদিকে, রণজিৎ চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, "কাটোয়া শহরের 783 জন টোটো চালককে হলোগ্রাম দেওয়া হয়েছে। আমাদের ইউনিয়নের 230 জনকে হলোগ্রাম দেওয়া হয়নি। পুলিশ ও আরটিও'র সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। যে কোনও কারণেই হোক এই লিস্টের মধ্যে আমাদের নাম ছিল না। আমরা ওনাদের কথামতো দরখাস্ত জমা দেবো। প্রশাসন খতিয়ে দেখবেন যে তারা গরিব মানুষ কি না, কিংবা টোটো চালায় কি না। যদি দেখা যায় আগে থেকেই তারা টোটো চালান তাহলে তাদের হলোগ্রাম দেওয়া হবে বলে কথা দিয়েছেন তারা। প্রশাসনের তরফে টোটো চালানোর অনুমতি নেই। আমরা অনুরোধ করেছি এরা গরিব মানুষ। টোটো না চালালে খেতে পাবে না। তাই দরখাস্ত দেওয়া থাক তবে তাদের টোটো চালানোর অনুমতি দেওয়া হোক। কিন্তু যতদিন না তা তদন্ত হচ্ছে ততদিন তাদের চালানোর পারমিশন দিক প্রশাসন।"
আরটিও আধিকারিক অরুনাভ শর্মা বলেন, "ওনাদের বক্তব্য শোনা হয়েছে। তাদের দরখাস্ত দিতে বলা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও ইউনিয়নকে ডাকা হয়নি বা কোনও ইউনিয়নের বক্তব্য শোনা প্রয়োজন হয়নি। এটা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত। সেই অনুযায়ী কাজ হয়েছে।"