সল্টলেক, 18 অগস্ট: ডার্বি বাতিলের প্রশাসনিক সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন দুই প্রধানের সমর্থকরা ৷ বিএনএসএস-এর 163 ধারা উপেক্ষা করে যুবভারতীর সামনে শ'য়ে শ'য়ে সমর্থক জমায়েত করেন ৷ আজ যুবভারতীর সামনে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের সমর্থকরা জমায়েত করতে শুরু করলে বাধা দেয় বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ ৷ কিন্তু, দুই দলের সমর্থকরা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ৷ এরপরেই পুলিশের তরফে লাঠিচার্জ করা হয় ৷
এদিন প্রচুর পরিমাণে পুলিশ ও ব়্যাফ নামানো হয় বাইপাসের রাস্তায় ৷ সেখানে ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করতে ইস্ট-মোহন সমর্থকদের ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ ৷ তাঁদের আটক করে প্রিজন ভ্যানেও তোলা হয় ৷ সব মিলিয়ে ডার্বি বাতিল ও আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে এই মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে যুবভারতীর সামনের রাস্তা ৷ বিভিন্ন ফ্যান ক্লাব আরজি কর-কাণ্ডকে হাতিয়ার করে ডার্বি বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করছে ৷ এদিন ইস্ট-মোহন সমর্থকদের কয়েকজনকে 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' পোস্টার নিয়েও প্রতিবাদে সামিল হতে দেখা যায় ৷
তবে, দুই প্রধানের সমর্থকরা যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণের মূল গেটের সামনে পর্যন্ত যেতে পারেননি ৷ সকলকেই বেঙ্গল কেমিক্যালের সামনে পুলিশ ব্যারিকেড করে আটকে দেয় ৷ যে সময় পুলিশ ইস্ট-মোহন সমর্থকদের বাধা দেয়, তখন সেখানে পাঁচশোর কাছাকাছি লোকজনের জমায়েত ছিল ৷ বিক্ষোভকারী ফুটবল সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ ৷ বেশকয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে ৷
কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ার ব্যবস্থাও রেখেছিল পুলিশ ৷ কিন্তু, তাতে প্রতিবাদের স্বর বেঁধে দেওয়া যায়নি ৷ পরবর্তী সময়ে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের প্রচুর সমর্থক বেঙ্গল কেমিক্যালের সামনে জমায়েত করেন ৷ কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে আরজি করের মৃত নির্যাতিতা চিকিৎসকের সমর্থনে দুই প্রধানের সমর্থকরা স্লোগান তোলেন ৷ পুলিশের প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় ৷ একসময় পুলিশ ও ডার্বি বাতিলের প্রতিবাদে রাস্তায় নামা সমর্থকরা মুখোমুখি অবস্থান করেন ৷ পুলিশের তরফে সেই সময় বেঙ্গল কেমিক্যাল থেকে বাইপাসের দু’ধারে ব্যারিকেড করে রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় পুলিশ ৷ এই পরিস্থিতিতে হাডকো মোড় থেকে সব গাড়ি বেলগাছিয়ার দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয় ৷