কলকাতা, 16 এপ্রিল: মুর্শিদাবাদের, জঙ্গিপুর, সুতি, সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ান-সহ একাধিক জায়গায় অশান্তির ঘটনায় এবার 9 সদস্যদের স্পেশাল ইনভেসটিগেশন টিম (সিট) গঠন করল রাজ্য পুলিশ । এই ন'জনের সদস্যে আছেন রাজ্য পুলিশের এডিজি পদের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা । তাতে আইবি, এসটিএফ, সিআইডি-সহ প্রত্যেক পদের আধিকারিকরাও আছেন ।
ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে হিংসায় উত্তেজনা ছড়ায় মুর্শিদাবাদের ওই এলাকাগুলিতে ৷ কারা ওই এলাকাগুলিতে অশান্তি পাকালো ? কারও উস্কানি ছিল কী, তাহলে কাদের উস্কানিতে অশান্তি হল ? এই ঘটনাগুলির নেপথ্যে কি কোনও রাজনৈতিক প্ররোচনা ছিল ? নাকি কোনও সংগঠন বা সংস্থা এর নেপথ্যে কাজ করেছিল, এখন সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখবে এই নয় সদস্যের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম।
পাশাপাশি ভবানী ভবন সূত্রের খবর, এই ঘটনার সঙ্গে একই সঙ্গে মুর্শিদাবাদের জাফরাবাদে বাবা-ছেলে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসকে খুনের অভিযোগ ওঠে । সেই ঘটনায়ও বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠিত হয়েছে । এই সিটে রয়েছেন স্থানীয় পুলিশ, জেলা পুলিশের ৷ পাশাপাশি সিআইডি, এসটিএফ এবং আইবি'র অভিজ্ঞ পুলিশ আধিকারিকরা থাকছেন সিটে । ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দু'জনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ । ধৃতদের নাম হল কালু নাদাব এবং দিলদার নাদাব । তাঁরা সম্পর্কে ভাই বলে জানিয়েছে পুলিশ ।
এই ঘটনার নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, "অভিযুক্ত দিলদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে সুতি থানা এলাকার বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা থেকে । পাশাপাশি কালুকে গ্রেফতার করা হয়েছে বীরভূমের মুরারই থেকে । ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান, শামসেরগঞ্জ-সহ একাধিক এলাকায় আধাসেনা মোতায়েন রয়েছে এবং নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে এলাকায় এলাকায় তারা টহলদারি করছে ।"
হিংসা কবলিত এলাকায় দায়িত্বে থাকা রাজ্য পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, "মূলত ওই এলাকা থেকে যারা ঘর ছাড়া হয়েছে তাদের ঘরে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে । এলাকায় প্রচুর গুজব রটছে কিংবা ইচ্ছাকৃতভাবে তা রটানো হচ্ছে । তার জন্য আইনের পথে হাটা হবে ৷"