জলঙ্গি (মুর্শিদাবাদ), 18 জুলাই: বিবস্ত্র করে চলল বেধড়ক মারধর ৷ সঙ্গে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ৷ গোপনাঙ্গে কাঁচা লঙ্কা বেটে লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ৷ এই ঘটনায় কাঠগড়ায় জলঙ্গি থানার ওসি কৌশিক পাল ও তাঁর গাড়ির চালক ৷ মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি থানার কীর্তনীয়া পাড়া এলাকায় । আহত ব্যক্তির নাম সাবির মণ্ডল । তিনি এখন ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷
সাবির মণ্ডল বলেন, "আমাকে অন্যায়ভাবে মারধর করা হয়েছে ৷ আমি নবান্নে যাব ৷ প্রশাসনের উপর মহলের দ্বারস্থ হব ৷ আমার উপর অত্যাচারের বিচার চাই আমি ৷ আমার ভাঙা পা ৷ সেই পায়ে আবার মারধর করা হয়েছে ৷"
আহত ব্যক্তির অভিযোগ, বর্তমানে জলঙ্গি থানার পুলিশ তাঁর পরিবারের লোকজনকে হুমকি দিচ্ছে । বলা হচ্ছে, যদি তাদের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ করা হয়, তাহলে সাবিরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হবে ৷
জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার ৷ ওইদিন দুপুর 2 টো নাগাদ সাবির মণ্ডল চোয়াপাড়া ভক্তের মোড়ে প্রণব শীলের সেলুনে দাড়ি কাটতে যান ৷ সেসময় দোকানের মালিকের সঙ্গে কোনও কারণে বচসায় জড়িয়ে পড়েন সাবির ৷ দু'জনের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক চলাকালীন জলঙ্গি থানায় খবর দেওয়া হয় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জলঙ্গি থানার পুলিশ ।
সাবির মণ্ডলের দাবি, সেলুন দোকানের মালিক পুলিশকে কোনও অভিযোগ করেননি ৷ তবুও বিনা কারণে তাঁকে জোরপূর্বকভাবে ধস্তাধস্তি করে জলঙ্গি থানায় পুলিশ তুলে নিয়ে যায় । সাবিরের অভিযোগ, সেখানে নিয়ে যাওয়া পরে বিবস্ত্র করে তাঁর উপর অমানবিক অত্যাচার চলে ৷ লাঠি ও বন্দুকের বাট দিয়ে গোটা শরীরে মারধর করা হয়েছে তাঁকে । গাড়ির চালকের কথা শুনে ওসি তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ ৷
সাবির মণ্ডলের আরও অভিযোগ, এমনকী পুলিশ জোর করে সেলুন দোকানের মালিককে দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করান ৷ এরপর মঙ্গলবারই রাতে সাবিরকে ছেড়ে দেয় পুলিশ ৷ সাবিরের বাবা তাঁকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় সাদিখাঁরদিয়াড় হাসপাতালে নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য । সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা হয় তাঁর ৷ এরপর সাবিরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের নির্দেশে তাঁকে ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ৷