কলকাতা, 16 এপ্রিল: ওয়াকফ সংশোধিত আইনের বিরোধিতায় অশান্ত মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকা। এই পরিস্থিতিতে ধুলিয়ানে যেতে চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একইসঙ্গে মুর্শিদাবাদে হিংসার ঘটনায় NIA তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করলেন দুই আইনজীবী।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্যর বক্তব্য, এই সময়ের মধ্যে অন্য রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা সেখানে গিয়েছেন । শুভেন্দু অধিকারীও যাওয়ার জন্য পুলিশের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন গত 13 এপ্রিল । কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। জানা গিয়েছে, বুধবার দ্বিতীয়ার্ধ্বে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বিরোধী দলনেতার আবেদন শুনবেন বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদের ঘটনায় NIA তদন্তের আর্জি জানিয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল এবং আইনজীবী সংযুক্তা সামন্ত ৷ তাঁরা এদিন জানিয়েছেন, মুর্শিদাবাদের ঘটনায় 300 পরিবার ঘরছাড়া তাদের অবিলম্বে ঘরে ফেরাতে হবে। পাশাপাশি ঘটনার এনাইএ তদন্ত করতে হবে । আলাদা আলাদা দু'টি আবেদন ও মামলা দায়ের করার অনুমতি চেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবাজ্ঞানম ও বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্য়ায় দাসের ডিভিশন বেঞ্চ । এই মামলার শুনানি হতে পারে বৃহস্পতিবার ।
মুর্শিদাবাদে ত্রাণ শিবির খুলতে চায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সেই নিয়েও হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে মামলা। মুর্শিদাবাদে অশান্তির ঘটনার পর সেখানে ত্রাণ শিবির খুলতে চাইছে একটি সমাজসেবী সংগঠন। তারা মূলত বাচ্চাদের খাবার, ওষুধ, জামাকাপড় তুলে দিতে চায় আক্রান্তদের হাতে। অভিযোগ, অনুমতি চাইলেও, অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ। ওই এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্যরা যাচ্ছেন, কিন্তু ওই সমাজসেবী সংগঠনকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ।
ঘরছাড়াদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে কাজ করতে চাইলেও তাতে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ জানিয়ে প্রথমে এই মামলা দায়ের নিয়ে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে অনুমতি চাওয়া হয়। তবে এই মামলায় জেলাশাসকের অনুমতির প্রয়োজন আছে বলে জানিয়ে এই মামলাটি বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে পাঠিয়ে দেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। সেই মামলা দায়েরের অনুমতি দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আগামিকাল এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।