ETV Bharat / state

রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, সকালে 500 মিটার দূর থেকে উদ্ধার রোগীর দেহ - MALDA MEDICAL COLLEGE HOSPITAL

খোঁজাখুঁজির পর চিকিৎসাধীন রোগীর দেহ উদ্ধার হল প্রায় 500 মিটার দূরে কনস্ট্রাকশন সাইটে। ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে ওই রোগীর।

MALDA MEDICAL COLLEGE HOSPITAL
500 মিটার দূর থেকে উদ্ধার চিকিৎসাধীন রোগীর দেহ (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : June 5, 2025 at 5:24 PM IST

2 Min Read

মালদা, 5 জুন: রাতে ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন রোগী। সকাল হতেই নিখোঁজ। অনেক খোঁজাখুঁজির পর চিকিৎসাধীন রোগীর দেহ উদ্ধার হল প্রায় 500 মিটার দূরে কনস্ট্রাকশন সাইটে। ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে ওই রোগীর। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদা মেডিক্যাল চত্বরে।

এনিয়ে পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মৃত রোগীর নাম দুখু আহেরি। বাড়ি মালদা থানার অন্তর্গত ঝাড়পুকুরিয়া এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার রাত 10টা নাগাদ কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে দুখুর ৷ এরপর তাকে মালদা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল ভবনের মেল মেডিক্যাল-1 বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। অভিযোগ, গতকাল রাতে রোগীর সঙ্গে কাউকে থাকতে দেওয়া হয়নি। তাঁর স্ত্রী চিন্তামণি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছিলেন, তাঁর স্বামী একা শৌচালয়ে পর্যন্ত যেতে পারছেন না। সেকথা বিবেচনা করে তাঁকে রাতে সেখানে থাকতে দেওয়া হোক। কিন্তু অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাতে তাঁকে ওয়ার্ড থেকে বের করে দেয়।

এদিন সকালে ওয়ার্ড থেকে নিখোঁজ হয়ে যান দুখু। অনেক খোঁজাখুজির পর প্রায় 500 মিটার দূরে মেডিক্যালের নতুন পিজি ভবন তৈরির কনস্ট্রাকশন সাইটে দুখুর দেহ উদ্ধার হয়। তড়িঘড়ি তাঁকে ওয়ার্ডে ফিরিয়ে আনে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ ততক্ষণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃত রোগীর স্ত্রী চিন্তামণি আহেরি বলেন, “স্বামী অসুস্থ হওয়ায় মঙ্গলবার রাতে মালদা মেডিক্যালে ভর্তি করেছিলাম। বুধবার রাতে আমাকে স্বামীর সঙ্গে থাকতে দেওয়া হয়নি। রাত 11টা নাগাদ আমাকে বের করে দেওয়া হয়। অনেক অনুরোধ করার পরেও আমাকে যেতে দেওয়া হয়নি। সকাল ছ'টা নাগাদ ওয়ার্ডে ঢুকে দেখি স্বামী নেই। কর্তব্যরত সিস্টারদের কাছে স্বামীর কথা জানতে চাইলে, ওনারা শৌচালয়ে দেখতে বলেন। কিন্তু সেখানেও স্বামীকে পাওয়া যায়নি। অবশেষে হাসপাতালের শেষ মাথায় কনস্ট্রাকশন সাইটে স্বামী পড়ে রয়েছেন দেখি। ততক্ষণে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। যেখানে স্বামী নিজে শৌচালয়ে পর্যন্ত যেতে পারছিলেন না সেখানে স্বামী অতদূরে গেলেন কীভাবে ? এই ঘটনার সঙ্গে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের যোগ রয়েছে বলে মনে করছি। আমরা সমস্ত ঘটনা জানিয়ে সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।”

হাসপাতালের সুপার প্রসেনজিৎ বর বলেন, “শুনতে পেলাম হাসপাতালের একজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ওই রোগী বেডে ছিলেন না। পরে ওই রোগীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। হয়তো রাতে কোনো সময় নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ওই রোগী ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। ওই এলাকাতে সিসি ক্যামেরাও রয়েছে, সেসব খতিয়ে দেখা হবে। এনিয়ে এখনও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি।”

মালদা, 5 জুন: রাতে ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন রোগী। সকাল হতেই নিখোঁজ। অনেক খোঁজাখুঁজির পর চিকিৎসাধীন রোগীর দেহ উদ্ধার হল প্রায় 500 মিটার দূরে কনস্ট্রাকশন সাইটে। ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে ওই রোগীর। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদা মেডিক্যাল চত্বরে।

এনিয়ে পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মৃত রোগীর নাম দুখু আহেরি। বাড়ি মালদা থানার অন্তর্গত ঝাড়পুকুরিয়া এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার রাত 10টা নাগাদ কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে দুখুর ৷ এরপর তাকে মালদা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল ভবনের মেল মেডিক্যাল-1 বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। অভিযোগ, গতকাল রাতে রোগীর সঙ্গে কাউকে থাকতে দেওয়া হয়নি। তাঁর স্ত্রী চিন্তামণি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছিলেন, তাঁর স্বামী একা শৌচালয়ে পর্যন্ত যেতে পারছেন না। সেকথা বিবেচনা করে তাঁকে রাতে সেখানে থাকতে দেওয়া হোক। কিন্তু অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাতে তাঁকে ওয়ার্ড থেকে বের করে দেয়।

এদিন সকালে ওয়ার্ড থেকে নিখোঁজ হয়ে যান দুখু। অনেক খোঁজাখুজির পর প্রায় 500 মিটার দূরে মেডিক্যালের নতুন পিজি ভবন তৈরির কনস্ট্রাকশন সাইটে দুখুর দেহ উদ্ধার হয়। তড়িঘড়ি তাঁকে ওয়ার্ডে ফিরিয়ে আনে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ ততক্ষণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃত রোগীর স্ত্রী চিন্তামণি আহেরি বলেন, “স্বামী অসুস্থ হওয়ায় মঙ্গলবার রাতে মালদা মেডিক্যালে ভর্তি করেছিলাম। বুধবার রাতে আমাকে স্বামীর সঙ্গে থাকতে দেওয়া হয়নি। রাত 11টা নাগাদ আমাকে বের করে দেওয়া হয়। অনেক অনুরোধ করার পরেও আমাকে যেতে দেওয়া হয়নি। সকাল ছ'টা নাগাদ ওয়ার্ডে ঢুকে দেখি স্বামী নেই। কর্তব্যরত সিস্টারদের কাছে স্বামীর কথা জানতে চাইলে, ওনারা শৌচালয়ে দেখতে বলেন। কিন্তু সেখানেও স্বামীকে পাওয়া যায়নি। অবশেষে হাসপাতালের শেষ মাথায় কনস্ট্রাকশন সাইটে স্বামী পড়ে রয়েছেন দেখি। ততক্ষণে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। যেখানে স্বামী নিজে শৌচালয়ে পর্যন্ত যেতে পারছিলেন না সেখানে স্বামী অতদূরে গেলেন কীভাবে ? এই ঘটনার সঙ্গে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের যোগ রয়েছে বলে মনে করছি। আমরা সমস্ত ঘটনা জানিয়ে সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।”

হাসপাতালের সুপার প্রসেনজিৎ বর বলেন, “শুনতে পেলাম হাসপাতালের একজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ওই রোগী বেডে ছিলেন না। পরে ওই রোগীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। হয়তো রাতে কোনো সময় নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ওই রোগী ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। ওই এলাকাতে সিসি ক্যামেরাও রয়েছে, সেসব খতিয়ে দেখা হবে। এনিয়ে এখনও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি।”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.