হাওড়া, 18 এপ্রিল: দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ৷ বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতা থেকে পুরুলিয়াগামী একটি বাসে আচমকা আগুন লেগে যায় ৷ দ্রুত বাসে আগুন ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্কে যাত্রীরা জানালা দিয়ে লাফ দিতে শুরু করেন ৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের 4টি ইঞ্জিন ৷
যাত্রীরা জানিয়েছেন, বাবুঘাট থেকে ছাড়ার পর বাসটি যখন দ্বিতীয় হুগলি সেতুর মাঝামাঝি আসে, ঠিক তখনই চাকার কাছে গলগল করে ধোঁয়া বেরোতে থাকে। তাঁরা বলেন, প্রথমে বাসের নীচের অংশে এবং তারপর খুব দ্রুত পুরো বাসের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চালক সেতুর মাঝেই বাস থামিয়ে দেওয়ার সাথে সাথে যাত্রীরা প্রাণভয়ে জানলা দিয়ে বেরিয়ে আসেন এবং বাইরে ঝাঁপিয়ে পড়েন। চালক ও কন্ডাক্টরও দ্রুত নেমে যান বাস থেকে। পরবর্তীতে দমকলের 4টি ইঞ্জিন প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে।
দমকল সূত্রে খবর, ব্রিজের নীচে একটি কয়লার ডিপো রয়েছে। সেতুর উপরে জ্বলতে থাকা বাসটি থেকে আগুনের ফুলকি ছিঁটকে পড়ে সেখানেও আগুন লেগে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কলকাতা ও হাওড়া সিটি পুলিশ ৷ বন্ধ হয়ে যায় হাওড়ামুখী যান চলাচল। অগ্নিকাণ্ডের জেরে সেতুর ওপর সারি সারি গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। এর প্রভাবে বিদ্যাসাগর সেতুর উপরে এবং সংলগ্ন রাস্তাগুলিতে গভীর রাত অবধি তীব্র যানজট তৈরি হয়।
দমকলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, একটি ইঞ্জিন কয়লার ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে ৷ বাকি তিনটি গাড়িকে ব্রিজের উপরে বাসের আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহার করা হয় ৷ ভয়াবহ এই আগ্নিকাণ্ডে জীবনহানি না হলেও ব্রিজের ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ রাতেই ব্রিজের উপর সমস্ত যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় ৷
পুলিশ জানিয়েছে, বাসে আগুন লাগার পরেই যাত্রীরা দ্রুত নেমে যাওয়াতে কেউ আটকে পড়েননি এবং কোনও হতাহতের খবরও নেই। তবে বাসটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। দমকল ও পুলিশ যৌথভাবে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷