ETV Bharat / state

নদী থেকে বেআইনিভাবে বালি তুলে মজুত করার অভিযোগ, কাঠগড়ায় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান - ILLEGAL SAND MINING

টাঙন নদী থেকে বেআইনিভাবে বালি তোলার বিরুদ্ধে অভিযান বংশীহারী ও কুশমণ্ডিতে । স্তূপাকৃতি বালি নিজেদের হেফাজতে নিল ভূমি দফতর ।

Illegal sand mining
বেআইনিভাবে বালি তুলে এলাকায় স্তূপ করার অভিযোগ (নিজস্ব ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : April 10, 2025 at 2:01 PM IST

3 Min Read

বংশীহারী (দক্ষিণ দিনাজপুর), 10 এপ্রিল: টাঙন নদী থেকে বেআইনিভাবে বালি তুলে এলাকায় মজুত করার অভিযোগ ৷ কাঠগড়ায় তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ৷ বুধবার ভূমি দফতরের বিভিন্ন আধিকারিক, এসডিএলআরও এবং বিএলআরও নিজে দাঁড়িয়ে থেকে অবৈধভাবে মজুত করে রাখা ওই বালি উদ্ধার করে নিয়ে আসেন ।

ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরে ৷ কুশমণ্ডির কালিকামোড়া ও বংশীহারীর জোরদিঘি শীতলা মন্দির সংলগ্ন এলাকা থেকে বালি ডাম্পার ও আর্থ মুভার দিয়ে তুলে নিয়ে যায় ভূমি দফতর । এলাকার এক স্থানীয় শ্রমিকের দাবি, আতাউর রহমান বিভিন্ন জায়গায় নিজের প্রভাব খাটিয়ে এই বালিগুলো রেখেছেন । যদিও এই সম্পূর্ণভাবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এলাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান । তাঁর কথায়, "আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না ৷ ওখানে কার বালি রাখা, তাও আমার জানা নেই ৷"

তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে নদী থেকে বেআইনিভাবে বালি তুলে মজুত করার অভিযোগ (ইটিভি ভারত)

এই বিষয়ে তোফিজুর রহমান নামে ওই শ্রমিক বলেন, "আমাকে এখানে বালি তোলার জন্য আনা হয়েছে । বালি তুলে দিলে পরে আমাকে 200 টাকা করে দেবে বলেছে । এই বালিগুলো রেখেছে এলাহাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আতাউর রহমান ।"

মহকুমা ভূমি দফতরের আধিকারিক নরবু ইয়লোম বলেন, "আজকে বংশীহারী ও কালিকামোরা এলাকা থেকে অবৈধ বালির স্টক উদ্ধার করলাম । এদের কাছে যে কাগজপত্র আছে, তা শুধু ট্রান্সপোর্টের অনুমতি হিলি পর্যন্ত । বালি মাইনিং-এর কোনও অনুমতি নেই । এরা অবৈধভাবে নদী থেকে বালি তুলে স্টক করছে । যেখানে বৈধ কাগজ ছাড়া এ ধরনের বালির স্টক রাখা আছে । এই বালিগুলো স্টক করেছে শুনলাম এলাহাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান । এই বালির মালিক না থাকায় আমরা এই বালিগুলোকে তুলে নিয়ে যাচ্ছি । বৈধ কাগজ ছাড়াই এই বালিগুলো জমায়েত করা হয়েছে বলে আমার কাছে খবর ছিল ।"

Illegal sand mining
স্তূপাকৃতি বালি বাজেয়াপ্ত করল ভূমি দফতর (নিজস্ব ছবি)

উল্লেখ্য, বংশীহারী টাঙন নদী থেকে অবাধে অবৈধ ভাবে বালি তুলে ডাম্পিং করার অভিযোগ উঠছিল দীর্ঘদিন থেকে । টাঙন নদীর বেশ কয়েকটি ঘাটে এই অবৈধ কাজ চলছিল বলে অভিযোগ । আর সেই অভিযোগের তীর এলাহাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে । সেই খবর জানতে পেরে নড়েচড়ে বসে ভূমি দফতর ।

বুধবার ভূমি দফতরের আধিকারিকরা ডাম্পার ও আর্থ মুভার নিয়ে জোরদীঘি শীতলা মন্দির সংলগ্ন ও কালিকামোরা টাঙন নদীর ঘাটে গিয়ে লক্ষ্য করেন বেশ কয়েক জায়গায় বালি তুলে রাখা আছে । বালি গুলি তুলতেই এলাকার বালি ব্যবসায়ীরা এসডিএলআরও'র সঙ্গে কথা বলেন । মজুত করা বালির বৈধ চালান দেখতে চাইলে তারা এমটিডিটিসিএল-এর ই-চালান দেখান । যে চালানটি মেটেরিয়াল ট্রান্সপোর্টের অনুমতিপত্র । যদিও সেই অনুমতিপত্রের নীচে কোনও এক আব্দুস সাত্তারের নাম রয়েছে ।

Illegal sand mining
বংশীহারী ও কুশমণ্ডিতে ভূমি দফতরের অভিযান (নিজস্ব ছবি)

এই কাগজের স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, একটি ট্রাক্টর মাত্র 100 সিএফটি বালি বহন করতে পারবে হিলি পর্যন্ত । সময়সীমা দেওয়া আছে সাড়ে চার ঘণ্টা । কোথাও সেই কাগজে নদী থেকে বালি তোলার অনুমতি বা রয়েলটির তথ্য নেই । তা সত্ত্বেও তাঁরা সারাদিন নদী থেকে অবাধে বালি তুলে নদীর ধারে স্টক করছেন বলে অভিযোগ ৷

বংশীহারী (দক্ষিণ দিনাজপুর), 10 এপ্রিল: টাঙন নদী থেকে বেআইনিভাবে বালি তুলে এলাকায় মজুত করার অভিযোগ ৷ কাঠগড়ায় তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ৷ বুধবার ভূমি দফতরের বিভিন্ন আধিকারিক, এসডিএলআরও এবং বিএলআরও নিজে দাঁড়িয়ে থেকে অবৈধভাবে মজুত করে রাখা ওই বালি উদ্ধার করে নিয়ে আসেন ।

ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরে ৷ কুশমণ্ডির কালিকামোড়া ও বংশীহারীর জোরদিঘি শীতলা মন্দির সংলগ্ন এলাকা থেকে বালি ডাম্পার ও আর্থ মুভার দিয়ে তুলে নিয়ে যায় ভূমি দফতর । এলাকার এক স্থানীয় শ্রমিকের দাবি, আতাউর রহমান বিভিন্ন জায়গায় নিজের প্রভাব খাটিয়ে এই বালিগুলো রেখেছেন । যদিও এই সম্পূর্ণভাবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এলাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান । তাঁর কথায়, "আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না ৷ ওখানে কার বালি রাখা, তাও আমার জানা নেই ৷"

তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে নদী থেকে বেআইনিভাবে বালি তুলে মজুত করার অভিযোগ (ইটিভি ভারত)

এই বিষয়ে তোফিজুর রহমান নামে ওই শ্রমিক বলেন, "আমাকে এখানে বালি তোলার জন্য আনা হয়েছে । বালি তুলে দিলে পরে আমাকে 200 টাকা করে দেবে বলেছে । এই বালিগুলো রেখেছে এলাহাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আতাউর রহমান ।"

মহকুমা ভূমি দফতরের আধিকারিক নরবু ইয়লোম বলেন, "আজকে বংশীহারী ও কালিকামোরা এলাকা থেকে অবৈধ বালির স্টক উদ্ধার করলাম । এদের কাছে যে কাগজপত্র আছে, তা শুধু ট্রান্সপোর্টের অনুমতি হিলি পর্যন্ত । বালি মাইনিং-এর কোনও অনুমতি নেই । এরা অবৈধভাবে নদী থেকে বালি তুলে স্টক করছে । যেখানে বৈধ কাগজ ছাড়া এ ধরনের বালির স্টক রাখা আছে । এই বালিগুলো স্টক করেছে শুনলাম এলাহাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান । এই বালির মালিক না থাকায় আমরা এই বালিগুলোকে তুলে নিয়ে যাচ্ছি । বৈধ কাগজ ছাড়াই এই বালিগুলো জমায়েত করা হয়েছে বলে আমার কাছে খবর ছিল ।"

Illegal sand mining
স্তূপাকৃতি বালি বাজেয়াপ্ত করল ভূমি দফতর (নিজস্ব ছবি)

উল্লেখ্য, বংশীহারী টাঙন নদী থেকে অবাধে অবৈধ ভাবে বালি তুলে ডাম্পিং করার অভিযোগ উঠছিল দীর্ঘদিন থেকে । টাঙন নদীর বেশ কয়েকটি ঘাটে এই অবৈধ কাজ চলছিল বলে অভিযোগ । আর সেই অভিযোগের তীর এলাহাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধানের বিরুদ্ধে । সেই খবর জানতে পেরে নড়েচড়ে বসে ভূমি দফতর ।

বুধবার ভূমি দফতরের আধিকারিকরা ডাম্পার ও আর্থ মুভার নিয়ে জোরদীঘি শীতলা মন্দির সংলগ্ন ও কালিকামোরা টাঙন নদীর ঘাটে গিয়ে লক্ষ্য করেন বেশ কয়েক জায়গায় বালি তুলে রাখা আছে । বালি গুলি তুলতেই এলাকার বালি ব্যবসায়ীরা এসডিএলআরও'র সঙ্গে কথা বলেন । মজুত করা বালির বৈধ চালান দেখতে চাইলে তারা এমটিডিটিসিএল-এর ই-চালান দেখান । যে চালানটি মেটেরিয়াল ট্রান্সপোর্টের অনুমতিপত্র । যদিও সেই অনুমতিপত্রের নীচে কোনও এক আব্দুস সাত্তারের নাম রয়েছে ।

Illegal sand mining
বংশীহারী ও কুশমণ্ডিতে ভূমি দফতরের অভিযান (নিজস্ব ছবি)

এই কাগজের স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, একটি ট্রাক্টর মাত্র 100 সিএফটি বালি বহন করতে পারবে হিলি পর্যন্ত । সময়সীমা দেওয়া আছে সাড়ে চার ঘণ্টা । কোথাও সেই কাগজে নদী থেকে বালি তোলার অনুমতি বা রয়েলটির তথ্য নেই । তা সত্ত্বেও তাঁরা সারাদিন নদী থেকে অবাধে বালি তুলে নদীর ধারে স্টক করছেন বলে অভিযোগ ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.