ETV Bharat / state

পাক গুপ্তচর সন্দেহে ধৃত জ্যোতির আসানসোল-যোগ, 'ঘনিষ্ঠ' সৌমিত থাকতেন এখানে - JYOTI MALHOTRA

জ্যোতি মালহোত্রাকে নিয়ে কাশ্মীর ঘুরতে গিয়েছিলেন আসানসোলের সৌমিত ভট্টাচার্য ৷ সূত্রের খবর, তাঁকে কলকাতাও নিয়ে এসেছিলেন তিনিই ।

Jyoti Malhotra
পাক গুপ্তচর সন্দেহে ধৃত জ্যোতির আসানসোল-যোগ (নিজস্ব ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : May 19, 2025 at 6:35 PM IST

3 Min Read

আসানসোল, 19 মে: পাকিস্তানের গুপ্তচর সন্দেহে গ্রেফতার জ্যোতি মালহোত্রার আসানসোল-যোগ ৷ একসময়ে এখানেই থাকতেন সৌমিত ভট্টাচার্য ৷ এই ভ্লগারের সঙ্গেই যোগসূত্র পাওয়া গেল জ্যোতির । শুধু তাই নয়, জ্যোতিকে নিয়ে কাশ্মীর ঘুরতে গিয়েছিলেন আসানসোলের সেই ভ্লগার ৷ এমনকি তাঁকে কলকাতাও নিয়ে এসেছিলেন সৌমিতই ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবার কর্মসূত্রে একদা আসানসোলে থাকতেন সৌমিত ভট্টাচার্য । আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন তাঁর বাবা পার্থপ্রতিম ভট্টাচার্য । বর্তমানে তিনি উলুবেড়িয়ার একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে কর্মরত । যদিও সৌমিতের বর্তমান অবস্থান জানা যায়নি । পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দারাও সৌমিতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে ।

জ্যোতির 'ঘনিষ্ঠ' সৌমিত থাকতেন আসানসোলে (ইটিভি ভারত)

সূত্রের খবর, জ্যোতির মতোই ট্রাভেল ভ্লগ করেন একদা আসানসোলের বাসিন্দা সৌমিত । এমনকি কাশ্মীরের দুধপাথরিতেও জ্যোতির সফরসঙ্গী ছিলেন তিনি । এছাড়াও সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, হরিয়ানার বাসিন্দা জ্যোতি মালহোত্রা গত বছর কলকাতায় এসেছিলেন । সেইসময়ও সৌমিত তাঁর সঙ্গে নাকি ছিলেন । ঘোরার পাশাপাশি নামীদামি রেস্তরাঁয় তাঁদের খাওয়ার ছবিও সোশাল মিডিয়ায় ঘুরছে ।

বাবার কর্মসূত্রে এই সৌমিত পরিবারের সঙ্গে একসময় আসানসোলের নব অনন্যা হাউসিং কমপ্লেক্সে ভাড়ায় থাকতেন । সেই কমপ্লেক্সের বর্তমান বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন বছর আসানসোল সেনর‍্যাল রোডে ওই হাউজিং কমপ্লেক্সে ভাড়া থাকতেন তাঁরা । 11 মাস আগেই তাঁরা আসানসোল ছেড়ে চলে যান । প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, সৌমিত ও তাঁর এক মেয়েকে নিয়ে পার্থপ্রতিম ভট্টাচার্য আসানসোলে থাকতেন । তাঁর স্ত্রীকে আসানসোলে কখনও দেখেননি প্রতিবেশীরা । প্রতিবেশীদের মতে, সম্ভবত দিল্লিতে কোনও কলেজে কর্তব্যরত রয়েছেন পার্থপ্রতিমের স্ত্রী ।

ETV BHARAT
জ্যোতির 'ঘনিষ্ঠ' সৌমিত ভট্টাচার্য (নিজস্ব চিত্র)

হাউসিং কমপ্লেক্সের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ পুইতণ্ডী বলেন, "পাকিস্তানের গুপ্তচরবৃত্তির বিষয়ে আমরা কিছুই জানতাম না ৷ পার্থবাবু ও তাঁর ছেলে মেয়েরা এখানে থাকাকালীন কারও সঙ্গে সেভাবে মেলামেশা করতেন না । পথ সারমেয়রদের সেবা করতেন সৌমিত এবং তাঁর বাবা ও বোন । তাদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, এমনকি পথ সারমেয়দের নিয়ে কলকাতা পর্যন্ত ছুটে গিয়েছেন চিকিৎসা করাতে । তিন বছর এখানে ছিল ওরা ৷ ভাড়া থাকত এখানে ৷ বাবাকেই দেখতাম বেশি ৷ ছেলেকে কেবল দেখতাম ব্যাগ নিয়ে যেতে মাঝেমধ্যে ৷"

আপাতদৃষ্টিতে সমাজসেবী এই সৌমিত দেশদ্রোহিতার কাজে যুক্ত থাকতে পারে বলে অনুমান করতেও পারছেন না বাসিন্দারা । সোস্যাইটির চেয়ারম্যান কাজী জয়নাল আবসর বলেন, "আমাদের সঙ্গে সোমিতের পরিবারের খুব একটা ভালো সম্পর্ক ছিল না ৷ ওরা নিজেদের মতোই থাকত ৷ পুজোতে খুব একটা অংশও নিত না ৷ ছেলেটাকে মাঝেমধ্যে দেখতাম পথ কুকুরকে খাওয়াতো ৷ অনেকদিন আগেই তারা এখান থেকে চলে গিয়েছিল ৷"

আসানসোল, 19 মে: পাকিস্তানের গুপ্তচর সন্দেহে গ্রেফতার জ্যোতি মালহোত্রার আসানসোল-যোগ ৷ একসময়ে এখানেই থাকতেন সৌমিত ভট্টাচার্য ৷ এই ভ্লগারের সঙ্গেই যোগসূত্র পাওয়া গেল জ্যোতির । শুধু তাই নয়, জ্যোতিকে নিয়ে কাশ্মীর ঘুরতে গিয়েছিলেন আসানসোলের সেই ভ্লগার ৷ এমনকি তাঁকে কলকাতাও নিয়ে এসেছিলেন সৌমিতই ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবার কর্মসূত্রে একদা আসানসোলে থাকতেন সৌমিত ভট্টাচার্য । আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন তাঁর বাবা পার্থপ্রতিম ভট্টাচার্য । বর্তমানে তিনি উলুবেড়িয়ার একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে কর্মরত । যদিও সৌমিতের বর্তমান অবস্থান জানা যায়নি । পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দারাও সৌমিতের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে ।

জ্যোতির 'ঘনিষ্ঠ' সৌমিত থাকতেন আসানসোলে (ইটিভি ভারত)

সূত্রের খবর, জ্যোতির মতোই ট্রাভেল ভ্লগ করেন একদা আসানসোলের বাসিন্দা সৌমিত । এমনকি কাশ্মীরের দুধপাথরিতেও জ্যোতির সফরসঙ্গী ছিলেন তিনি । এছাড়াও সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, হরিয়ানার বাসিন্দা জ্যোতি মালহোত্রা গত বছর কলকাতায় এসেছিলেন । সেইসময়ও সৌমিত তাঁর সঙ্গে নাকি ছিলেন । ঘোরার পাশাপাশি নামীদামি রেস্তরাঁয় তাঁদের খাওয়ার ছবিও সোশাল মিডিয়ায় ঘুরছে ।

বাবার কর্মসূত্রে এই সৌমিত পরিবারের সঙ্গে একসময় আসানসোলের নব অনন্যা হাউসিং কমপ্লেক্সে ভাড়ায় থাকতেন । সেই কমপ্লেক্সের বর্তমান বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন বছর আসানসোল সেনর‍্যাল রোডে ওই হাউজিং কমপ্লেক্সে ভাড়া থাকতেন তাঁরা । 11 মাস আগেই তাঁরা আসানসোল ছেড়ে চলে যান । প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, সৌমিত ও তাঁর এক মেয়েকে নিয়ে পার্থপ্রতিম ভট্টাচার্য আসানসোলে থাকতেন । তাঁর স্ত্রীকে আসানসোলে কখনও দেখেননি প্রতিবেশীরা । প্রতিবেশীদের মতে, সম্ভবত দিল্লিতে কোনও কলেজে কর্তব্যরত রয়েছেন পার্থপ্রতিমের স্ত্রী ।

ETV BHARAT
জ্যোতির 'ঘনিষ্ঠ' সৌমিত ভট্টাচার্য (নিজস্ব চিত্র)

হাউসিং কমপ্লেক্সের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ পুইতণ্ডী বলেন, "পাকিস্তানের গুপ্তচরবৃত্তির বিষয়ে আমরা কিছুই জানতাম না ৷ পার্থবাবু ও তাঁর ছেলে মেয়েরা এখানে থাকাকালীন কারও সঙ্গে সেভাবে মেলামেশা করতেন না । পথ সারমেয়রদের সেবা করতেন সৌমিত এবং তাঁর বাবা ও বোন । তাদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, এমনকি পথ সারমেয়দের নিয়ে কলকাতা পর্যন্ত ছুটে গিয়েছেন চিকিৎসা করাতে । তিন বছর এখানে ছিল ওরা ৷ ভাড়া থাকত এখানে ৷ বাবাকেই দেখতাম বেশি ৷ ছেলেকে কেবল দেখতাম ব্যাগ নিয়ে যেতে মাঝেমধ্যে ৷"

আপাতদৃষ্টিতে সমাজসেবী এই সৌমিত দেশদ্রোহিতার কাজে যুক্ত থাকতে পারে বলে অনুমান করতেও পারছেন না বাসিন্দারা । সোস্যাইটির চেয়ারম্যান কাজী জয়নাল আবসর বলেন, "আমাদের সঙ্গে সোমিতের পরিবারের খুব একটা ভালো সম্পর্ক ছিল না ৷ ওরা নিজেদের মতোই থাকত ৷ পুজোতে খুব একটা অংশও নিত না ৷ ছেলেটাকে মাঝেমধ্যে দেখতাম পথ কুকুরকে খাওয়াতো ৷ অনেকদিন আগেই তারা এখান থেকে চলে গিয়েছিল ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.