মহেশতলা (দক্ষিণ 24 পরগনা), 5 জুন: মহেশতলায় নাবালককে উলটো করে ঝুলিয়ে নারকীয় অত্যাচারের ঘটনায় অবশেষে পুলিশের জালে অভিযুক্ত শাহেনশাহ । তাঁকে ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ বুধবার রাতে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করেছে । ইতিমধ্যেই শাহেনশাহকে মুম্বই থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসছে পুলিশ ।
তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করবেন তদন্তকারীরা ৷ পুলিশ সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা শাহেনশাহকে জেরা করে মূলত জানতে চাইবেন, ওই নাবালককে কোথায় লুকিয়ে রাখা হয়েছে । কিংবা ওই নাবালক কী অবস্থায় রয়েছে ।
কারণ, এখনও পর্যন্ত ওই নাবালকের খোঁজ পাওয়া যায়নি ৷ তাকে খুঁজছে পুলিশ । এই ঘটনায় আগে মোস্তফা কালাম ও তৌহিদ আলম নামে দু'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । ধৃত এই দু'জনের বয়ানে বিস্তর অসঙ্গতি আছে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর । ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, "এখন আমাদের সব থেকে প্রাথমিক কাজ হল নিখোঁজ নাবালককে খুঁজে বের করা । আর সেই কাজই আমরা করছি ৷"
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ 24 পরগনার মহেশতলার ওই কারখানায় হাজির হয় পুলিশ । এই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া দু'জনকে এদিন কারখানায় নিয়ে গিয়ে গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করেন তদন্তকারীরা । এছাড়াও তাদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়, ওই নাবালক বর্তমানে কোথায় রয়েছে ? তা জানার জন্যই ইতিমধ্যেই পার্শ্ববর্তী থানা এবং ওয়েবসাইটে নাবালকের ছবি দিয়েছে ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ ।
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থেকে ওই নাবালককে মাসে দশ হাজার টাকার প্রলোভন দেখিয়ে সঙ্গে করে কাজে নিয়ে আসেন শাহেনশাহ । পরে শাহেনশাহ তাঁকে দক্ষিণ 24 পরগনার মহেশতলায় একটি কারখানায় কাজে ঢোকান । অভিযোগ, ওই নাবালক কারখানা থেকে ফোন চুরি করেছে এই অপবাদ দিয়ে চলতি সপ্তাহে তাকে উলটো করে ঝুলিয়ে নারকীয়ভাবে অত্যাচার করা হয় । তাকে ইলেকট্রিক শক পর্যন্ত দেওয়া হয় বলে অভিযোগ । আরও অভিযোগ, সেই সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ধৃত প্রত্যেক অভিযুক্তই ৷
এদিকে ইতিমধ্যেই নাবালকের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, নাবালক দক্ষিণ 24 পরগনার মহেশতলায় জিন্সের প্যান্ট রং করার কাজ করত । সে কখনই মোবাইল চুরির মতো কাজে লিপ্ত থাকতে পারে না । পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, কারখানার মালিক তাকে মাসের টাকা না-দেওয়ার জন্যই তার বিরুদ্ধে চুরির অপবাদ দিয়ে নারকীয় অত্যাচার করে ।