শিলিগুড়ি, 28 মে: ইটিভি ভারতের খবরের জের । উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পরপর প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় সরানো হল প্রসূতি বিভাগের ফেসিলিটি নোডাল অফিসারকে । অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যু অব্যাহত । গত দশদিনে আরও চার প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে । চলতি মাসে এখনও পর্যন্ত 14 জন প্রসূতি প্রাণ হারিয়েছেন ।
মাসের প্রথম 15 দিনে দশজনের মৃত্যুতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল । প্রশ্ন উঠছিল হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে । বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই প্রসূতি বিভাগকে ঢেলে সাজাতে ফেসিলিটি নোডাল অফিসারের পদে রদবদল করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । প্রসূতি বিভাগের প্রধান গৌতম মুখোপাধ্যায়ের হাত থেকে সেই দায়িত্ব নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ডিন ও প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক সন্দীপ সেনগুপ্তর হাতে দেওয়া হয় । জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয় । 16 এবং 18 মে আরও দু'জন প্রসূতির মৃত্যু হয় ।
5 দিনে 10 প্রসূতির মৃত্যু, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ঘটনায় রিপোর্ট তলব স্বাস্থ্য দফতরের
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে বিভিন্ন অনিয়ম, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার । যদিও 16 এবং 18 মে দু'জন প্রসূতির মৃত্যুর ক্ষেত্রে চিকিৎসায় গাফিলতি ছিল না বলে জানিয়েছেন নোডাল অফিসার সন্দীপ সেনগুপ্ত ।
তাঁর বক্তব্য, "16 মে বাইরে থেকে রেফার হয়ে আসা এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে । তিনি মেডিসিন বিভাগে ভর্তি ছিলেন । তাঁর হৃদরোগের সমস্যা ছিল । 18 মে মৃত্যু হওয়া প্রসূতি প্রথম থেকে মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন ছিলেন । তাঁর লিভার ও কিডনির জটিল সমস্যা ছিল । প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়েও তাঁকে বাঁচানো যায়নি । স্বাভাবিক অবস্থায় অনেকেরই কিডনি, হার্ট ও লিভারের সামান্য সমস্যা থাকে । কিন্তু গর্ভবতী অবস্থায় সেই সমস্যা ব্যাপক আকার নেয় । তাই এখন থেকে আমরা প্রসূতিদের চিকিৎসায় শুরু থেকেই প্রয়োজনীয় পরীক্ষায় জোর দিয়েছি । এখনও কয়েকজন গুরুতর অবস্থায় প্রসূতি বিভাগে ভর্তি । নিয়মিত প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে বিভিন্ন অঙ্গের অবস্থা দেখে চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছি । বিভাগের পরিকাঠামোগত কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে । এই মাসে কেন এত প্রসূতির মৃত্যু হল, সেটাও আমরা খতিয়ে দেখছি ।"