জলপাইগুড়ি, 19 এপ্রিল: নেওড়াভ্যালি জাতীয় উদ্যানকে বাড়তি গুরুত্ব। নেওড়াভ্যালি জাতীয় উদ্যানের জন্য তৈরি করা হচ্ছে AWLW (অ্যাসিস্ট্যান্ট ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন) অফিস ৷
উত্তরবঙ্গের অ্যামাজন বলে পরিচিত নেওড়াভ্যালি জাতীয় উদ্যান। জলপাইগুড়ি গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের তত্বাবধানে নেওড়াভ্যালি জাতীয় উদ্যানকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে । লাভাতে পৃথক ADFO পদমর্যাদার অ্যাসিস্ট্যান্ট ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেনের অফিস চালু করতে চলেছে বন্যপ্রাণী বিভাগ। লাভাতে অ্যাসিস্ট্যান্ট ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন অফিস খুলতে চলেছে। সেখানে AWLW-এর পাশাপাশি একজন ফরেস্ট রেঞ্জার-সহ আরও 6 জন বনকর্মীকে রাখা হবে সেই অফিসের তত্বাবধানে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় 10 হাজার ফুট উচ্চতায় নেওড়াভ্যালি জাতীয় উদ্যান অবস্থিত।
গভীর জঙ্গলে রেডপাণ্ডা, ভাল্লুক থেকে শুরু করে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার-সহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর বাস এই জাতীয় উদ্যানে। ফলে জলপাইগুড়িস্থিত গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগ থেকে নেওড়াভ্যালি জাতীয় উদ্যানের দুরত্ব অনেকটাই বেশি। ফলে জলপাইগুড়ি থেকে এই জাতীয় উদ্যানের দেখাশোনা করা একটু কষ্টসাপেক্ষ । তাই জাতীয় উদ্যানের পাশে লাভাতে একজন অতিরিক্ত বনাধিকারিক পদমর্যাদায় অফিসারকে নিয়োগ করা হচ্ছে । তাতে করে একদিকে যেমন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের কাজ ভালো হবে ৷ অন্যদিকে প্রত্যন্ত নেওড়াভ্যালি জাতীয় উদ্যানের বন্যপ্রাণ বা জঙ্গলের কোনও সমস্যা দেখা দিলে ঐ অফিসার চট জলদি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
জলপাইগুড়ি গরুমারা বন্যপ্রান বিভাগের অধীনে থাকা কালিম্পং পাহাড়ের নেওড়াভ্যালি জাতীয় উদ্যানকে বার্তি গুরুত্ব দিয়ে কালিম্পং-এর লাভাতে অফিস হলে দফতরের কাজের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। ভারত ভুটান ও চিন সীমান্তের কালিম্পং পাহাড়ের 10 হাজার ফুটের বেশী উচ্চতায় 88 বর্গকিলোমিটার এলাকায় বিস্তির্ণ নেওড়াভ্যালি জাতীয় উদ্যান। মাঝেমধ্যেই ট্র্যাপ ক্যামেরায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ছবি বেশ কয়েকবার ধরা পড়েছে। এই জাতীয় উদ্যানের জঙ্গল এতটাই ঘন যে, সেখানে বনকর্মীরাও যেতে পারে না। 2016 সাল থেকে বাঘের উপস্থিতির প্রমাণ পায় বনদফতর। এরপরে একটি গাড়ির ড্রাইভার আনমোল ছেত্রী লাভাতে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ছবি মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করে। এরপর ট্র্যাপ ক্যামেরা 2017 সালে বাঘের ছবি ধরা পরে।
গোরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের বিভাগীয় বনাধিকারিক দ্বিজপ্রতীম সেন জানান, নেওড়াভ্যালি জাতীয় উদ্যান গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের তত্বাবধানে থাকলেও অনেকটাই দূর। এখানে বাঘের অস্বস্তি মেলায় কাজের গুরুত্বও বেড়েছে। তাই লাভায় এই অফিস করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেখানে অ্যাসিস্ট্যান্ট ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেনের পদে থাকবেন তিনি ডিভিশনাল অফিসারকে রিপোর্ট করবেন।
