হাওড়া, 11 জুন: ডোমজুড় পর্ন-কাণ্ডে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দিল জাতীয় মহিলা কমিশন ৷ একইসঙ্গে তিন দিনের মধ্যে 'অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট' জমা দিতে বলা হয়েছে ৷
পর্ন-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত শ্বেতা খান ও তাঁর ছেলের এখনও খোঁজ মেলেনি ৷ মঙ্গলবার জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে—“এই বর্বর ও পশুসুলভ আচরণ কোনও সভ্য সমাজে সহ্য করা যায় না। আমরা ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছি ।”
জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজিপি (DGP) রাজীব কুমারকে চিঠি দিয়ে দিয়েছেন ৷ চিঠিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় উপযুক্ত ধারায় দ্রুত মামলা রুজু করে গ্রেফতার করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে ৷ পাশাপাশি নির্যাতিতাকে অবিলম্বে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও মানসিক পরামর্শ পরিষেবা দিতে হবে ।
The National Commission for Women has taken suo motu cognizance of a disturbing media report titled “Bengal woman confined for 6 months, beaten with iron rods for refusing porn work”, wherein a woman from North 24 Parganas, West Bengal, was brutally tortured and held captive for…
— NCW (@NCWIndia) June 10, 2025
এই ঘটনায় কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তার বিস্তারিত ‘অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট’তিন দিনের মধ্যে কমিশনে জমা দিতে হবে। এদিকে, নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে সাগর দত্ত হাসপাতালের সার্জিকাল ওয়ার্ড থেকে আইসিসিইউ-তে স্থানান্তর করানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, হাওড়ার বাঁকড়ায় পর্নোগ্রাফি এবং ডান্স বারে কাজ করতে অস্বীকার করায় ছ’মাস ধরে আটকে রেখে ওই তরুণীর উপর নৃশংসভাবে অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ ৷ কিন্তু গত শুক্রবার হাওড়ার বাঁকড়ায় শ্বেতা খান এবং তাঁর পুত্র আরিয়ান খানের ফ্ল্যাট থেকে পালিয়ে সোদপুরের বাড়ি ফেরেন ওই নির্যাতিতা তরুণী।
এই ভয়াবহ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ নিল জাতীয় মহিলা কমিশন। নির্যাতিতার শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণার বিবরণ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজি-কে অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে নির্দেশ দিলেন কমিশনের চেয়ারপার্সন। দীর্ঘ ছ’মাস ধরে এক মহিলাকে আটকে রাখা হয় শুধু এই কারণে যে, তিনি পর্ন ভিডিও বা বারে ডান্স করতে রাজি হননি।
অমানবিক বন্দিদশায় রেখে তাঁকে নিয়মিত লোহার রড দিয়ে পেটানো, খেতে না-দেওয়া এবং হাত-পা ও দাঁত ভেঙে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। নির্মম এই অত্যাচারের ঘটনায় স্তম্ভিত সমাজ ।