কলকাতা, 16 অগস্ট: সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে আরজি কর কাণ্ডে রিপোর্ট জমা দিল জাতীয় মহিলা কমিশন। এই রিপোর্টে নিরাপত্তা, পরিকাঠামো এবং মামলার তদন্তে ত্রুটির উল্লেখ করেছে । জাতীয় মহিলা কমিশনের কমিটির তদন্ত রিপোর্টে বেশ কিছু বিষয়ে ত্রুটির উল্লেখ করা হয়েছে যাতে হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসক, নার্সদের জন্য অপর্যাপ্ত সুবিধা এবং নিরাপত্তার অভাবের কথাও বলা হয়েছে।
মহিলা কমিশনের রিপোর্টে হাসপাতালে অপর্যাপ্ত শৌচাগারের কথা বলা হয়েছে । অপর্যাপ্ত আলো এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যথেষ্ট অভাবের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তদন্ত অসম্পূর্ণ বলেও জানানো হয়েছে কমিশনের রিপোর্টে। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ ছিল বলে উল্লেখ করেছে কমিশনের তদন্ত রিপোর্ট। জাতীয় মহিলা কমিশনের এই কমিটি পুঙ্খানুপুঙ্খ ও দ্রুত তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে ।
এছাড়াও, হাসপাতালে কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসক, ইন্টার্ন, নার্সদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই বলে দাবি করা হয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনের রিপোর্টে। 'প্রমাণ লোপাট'-এর গুরুতর অভিযোগও তোলা হয়েছে এই তদন্ত রিপোর্টে । এই তদন্ত রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছে, যে সেমিনার হলে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটেছিল, তার উল্টো দিকের ঘরে হঠাৎ করেই সংস্কারের কাজ শুরু হয়। এই বিষয়টিকে প্রমাণ লোপাটের সম্ভাব্য চেষ্টায় যুক্ত বলে দাবি করা হয়েছে । কমিশনের পর্যবেক্ষণ, অবিলম্বে অপরাধের জায়গা পুলিশের সিল করা উচিত ছিল । ফলে এ ক্ষেত্রে গাফিলতির ইঙ্গিত মিলেছে রিপোর্টে।
প্রসঙ্গত, আরজি করে নিরাপত্তার অভাবের কথা আগেই জানিয়েছিল জাতীয় মহিলা কমিশন ৷ চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ-খুনের তদন্তের গতিপ্রকৃতি খতিয়ে দেখেন কমিশনের দুই সদস্যের প্রতিনিধির দল ৷ সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বেশ ক্ষুব্ধ কমিশনের প্রতিনিধি দল ৷ মহিলা হস্টেলের নিরাপত্তা একটি মাত্র সিসিটিভি ছাড়া আর কোনও ব্যবস্থাই নেই ! এই বিষয়টি উল্লেখ করেন তাঁরা ৷ আরজি কর হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এমনই নানা ত্রুটি নিয়ে আলোচনা হয় কমিশনের দুই সদস্যের ৷