ETV Bharat / state

রামনবমীর উৎসবে সামিল হচ্ছেন ইসলাম ধর্মের মানুষজন, সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত মালদায় - RAM NAVAMI 2025

বৃহস্পতিবার রাতে মালদা শহরের সুভাষপল্লি ঈদগাহ ময়দানে বিশেষ বৈঠকে রামনবমীর উৎসবে সামিলের চূড়ান্ত রূপরেখা ঠিক হবে ৷ পার্থ দাসের প্রতিবেদন ৷

Ram Navami
রামনবমীর উৎসবে সামিল হচ্ছেন ইসলাম ধর্মের মানুষজন (নিজস্ব ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : April 3, 2025 at 3:31 PM IST

Updated : April 3, 2025 at 10:24 PM IST

5 Min Read

মালদা, 3 এপ্রিল: 6 এপ্রিল রামনবমী উৎসব ৷ আর তাতে সামিল হতে চলেছেন ইসলাম ধর্মের মানুষজনও ৷ গোটা দেশে সম্প্রীতির উদাহরণ তৈরি করতে চলেছে মালদা শহর ৷

দু'দিন আগেই পেরিয়েছে ঈদ-উল-ফিতর ৷ খুশির ঈদে মালদা শহরে ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে অংশ নিয়েছিল মানুষ ৷ তার ক'দিন আগেই উত্তেজনা ছড়িয়েছিল মোথাবাড়িতে ৷ কিন্তু ঈদের খুশি সেই উত্তেজনায় জল ঢেলে চাঁদনি আলোয় ঢেকে দিয়েছিল মালদা শহরকে ৷ প্রমাণ করে দিয়েছিল, মালদার মানুষ সেই পুরনো দিনের মতোই একে অন্যের সঙ্গে রয়েছে ৷

রামনবমীর উৎসবে সামিল হচ্ছেন ইসলাম ধর্মের মানুষজন (নিজস্ব ছবি)

এবার সামনে রামনবমী ৷ এই উৎসবেও সম্প্রীতির বার্তা দিতে তৈরি মালদার মুসলিম সমাজ ৷ রামের জন্মতিথির উৎসবে সামিল হতে চলেছেন এই শহরের মুসলমানরাও ৷ শহরের রাজমহল রোডে টেন্ট তৈরি করে রবিবারের ধর্মীয় শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করা মানুষজনকে পানীয় জল দেবেন ইসলাম ধর্মের মানুষজন ৷ বিলি করবেন চকোলেট ৷ সঙ্গে থাকছে মিষ্টিমুখের ব্যবস্থাও ৷ সবচেয়ে বড় বিষয়, এবার সনাতনীদের ধর্মীয় মিছিলে পা মেলাতে পারেন তাকিয়া (মুসলিমদের টুপি) পরা মানুষজনও ৷ যদিও এ'বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি ৷

Ram Navami
সম্প্রীতির নজির গড়তে চলেছে মালদা (নিজস্ব ছবি)

কীভাবে মালদা শহরের মুসলমানরা হিন্দুদের আরাধ্য রামচন্দ্রের জন্মদিবস পালনে সামিল হবেন, তার চূড়ান্ত রূপরেখা ঠিক করতে বৃহস্পতিবার রাতে মালদা শহরের সুভাষপল্লি ঈদগাহ ময়দানে একটি বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ৷ শহরের 31টি মুসলিম মহল্লার প্রতিনিধিদের নিয়ে সেই বৈঠক করবে মালদা শহর মুসলিম কমিটি, আটকোশি আঞ্জুমান আকবরিয়া ইসলামিয়া ৷ ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছে মালদার বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতৃত্বও ৷

আটকোশি আঞ্জুমান আকবরিয়া ইসলামিয়ার সম্পাদক মহম্মদ আসিফ হোসেন এদিন ইটিভি ভারতকে বলেন, "শহরের ঈদগাহ ময়দানে আমরা হিন্দু-মুসলমান একসঙ্গে ঈদ পালন করেছি ৷ বিভিন্ন মহল্লাতেও সেদিন দুই ধর্মের মানুষের সহাবস্থান লক্ষ্য করা গিয়েছে ৷ রামনবমীর উৎসবে আমরা প্রতি বছরই অংশগ্রহণ করি ৷ আমরা এবারও অংশগ্রহণ করব ৷ রামনবমীর দিন আমরা আটকোশিয়া আঞ্জুমান আকবরিয়া ইসলামিয়ার সদস্যরা শহরের রাজমহল রোডে থাকি ৷ এবারও থাকব ৷"

তাঁর কথায়, "এ'বছর আমরা কীভাবে রামনবমী তিথি পালন করব তা চূড়ান্ত করতে আজ রাতে শহরের সমস্ত মুসলিম মহল্লার প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসছি ৷ তবে সেদিনের ধর্মীয় মিছিলে অংশ নেওয়া ভাইদের মধ্যে জল-সরবত থেকে শুরু করে মিষ্টিমুখের ব্যবস্থা থাকবে ৷ মালদার মাটি সম্প্রীতির মাটি ৷ এখানে কোনও অশুভ সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া দিতে পারবে না ৷ তার জন্য আমরা সবাই সজাগ রয়েছি ৷"

তিনি আরও বলেন, "হিন্দু ও মুসলমান একে অন্যের পরিপূরক ৷ আমরা সেই সহাবস্থান বজায় রেখে এই শহরে বাস করি ৷ এখানে কোনও সাম্প্রদায়িক শক্তি কিছু করতে পারবে না ৷ আর সব সম্প্রদায়ের মধ্যেই কিছু দুষ্কৃতী রয়েছে ৷ মোথাবাড়িতে ক'দিন আগে যেটা ঘটেছে সেটা বিক্ষিপ্ত ঘটনা ৷ এর কোনও প্রভাব মালদার মাটিতে পড়েনি, পড়বেও না ৷ আমরা হিন্দু-মুসলমান এতদিন যেভাবে থেকে এসেছি, সেভাবেই থাকতে চাই ৷"

Ram Navami
ঈদগাহ ময়দানে বিশেষ বৈঠকে হবে রামনবমীর উৎসবে সামিল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত (নিজস্ব ছবি)

শহরের মুসলিম কমিটির এই মনোভাবকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ৷ সংগঠনের নেতা তথা রামনবমী উদযাপন কমিটির কার্যকরী সভাপতি কাজল গোস্বামী বলছেন, "রামচন্দ্র আমাদের ইষ্টদেব ৷ পরমারাধ্য ৷ প্রতি বছর রামনবমীর দিন শহরে একটি ভব্য শোভাযাত্রা বেরোয় ৷ সেই শোভাযাত্রায় লাখ লাখ সনাতনী হিন্দু অংশগ্রহণ করেন ৷ সেই সময় রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন ধর্ম ও বর্ণের মানুষ জল দিয়ে, ফল দিয়ে, বিভিন্নভাবে মিছিলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করে ৷ আমরা স্বপ্ন দেখি, সুপ্রশাসক ৷ মানে রাজা রাম ৷ আদর্শ রাজ্য মানেই রামরাজ্য ৷ সেই রামে যদি সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষ মিশে যেতে পারে তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই ৷"

তিনি আরও বলেন, "তবে এর সঙ্গে মাথায় রাখতে হবে, সেদিন যে ভব্য শোভাযাত্রা বেরোয় সেটা কিন্তু শুধু সনাতনী হিন্দুদের ৷ শুধুমাত্র হিন্দুরাই এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে ৷ রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে যদি অন্যও ধর্ম বা বর্ণের মানুষ রাজা রামের নামে স্লোগান দেয় সেটা তো ভালোই ৷ আর সমস্ত ধর্মই তো সৃষ্টি হয়েছে সনাতনী ধর্ম থেকে ৷ যদি অন্য ধর্মের মানুষ ফের সনাতন ধর্মে মিশে যেতে পারে তবে তাতে আপত্তি কোথায়? এই শোভাযাত্রা রাজা রামের শোভাযাত্রা ৷"

কাজল গোস্বামীর সংযোজন, "এটা শুধুমাত্র সনাতনী হিন্দুদের শোভাযাত্রা ৷ অন্য ধর্ম কিংবা বর্ণের মানুষ শোভাযাত্রায় পা মেলাতেই পারেন ৷ তবে আমরা তাঁদের কোনও আহ্বান করছি না ৷ এতে সমাজে ভুল বার্তা যেতে পারে ৷ সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরি হতে পারে ৷ আমরা এই বিভেদ তৈরি করতে চাইছি না ৷ আমরা তো বলেছি, যে কোনও রাজনৈতিক দল এই মিছিলে অংশ নিতে পারে ৷ হিন্দুধর্মের এই শোভাযাত্রায় অন্য ধর্মের মানুষ যদি প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেন, তাঁদের স্বাগতম ৷"

এই শহরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে দুই ধর্মের মানুষজনের এই প্রচেষ্টা ছুঁয়ে গিয়েছে জেলা প্রশাসনিক কর্তাদের মনও ৷ জেলাশাসক নিতীন সিংহানিয়া বলেন, "এমনটাই তো হওয়া উচিত ৷ এবারের রামনবমী উৎসবে মালদার মানুষের এই প্রচেষ্টা গোটা বিশ্বে উদাহরণ হয়ে উঠুক ৷ আমরা সবাই সেটাই চাই ৷"

মালদা, 3 এপ্রিল: 6 এপ্রিল রামনবমী উৎসব ৷ আর তাতে সামিল হতে চলেছেন ইসলাম ধর্মের মানুষজনও ৷ গোটা দেশে সম্প্রীতির উদাহরণ তৈরি করতে চলেছে মালদা শহর ৷

দু'দিন আগেই পেরিয়েছে ঈদ-উল-ফিতর ৷ খুশির ঈদে মালদা শহরে ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে অংশ নিয়েছিল মানুষ ৷ তার ক'দিন আগেই উত্তেজনা ছড়িয়েছিল মোথাবাড়িতে ৷ কিন্তু ঈদের খুশি সেই উত্তেজনায় জল ঢেলে চাঁদনি আলোয় ঢেকে দিয়েছিল মালদা শহরকে ৷ প্রমাণ করে দিয়েছিল, মালদার মানুষ সেই পুরনো দিনের মতোই একে অন্যের সঙ্গে রয়েছে ৷

রামনবমীর উৎসবে সামিল হচ্ছেন ইসলাম ধর্মের মানুষজন (নিজস্ব ছবি)

এবার সামনে রামনবমী ৷ এই উৎসবেও সম্প্রীতির বার্তা দিতে তৈরি মালদার মুসলিম সমাজ ৷ রামের জন্মতিথির উৎসবে সামিল হতে চলেছেন এই শহরের মুসলমানরাও ৷ শহরের রাজমহল রোডে টেন্ট তৈরি করে রবিবারের ধর্মীয় শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করা মানুষজনকে পানীয় জল দেবেন ইসলাম ধর্মের মানুষজন ৷ বিলি করবেন চকোলেট ৷ সঙ্গে থাকছে মিষ্টিমুখের ব্যবস্থাও ৷ সবচেয়ে বড় বিষয়, এবার সনাতনীদের ধর্মীয় মিছিলে পা মেলাতে পারেন তাকিয়া (মুসলিমদের টুপি) পরা মানুষজনও ৷ যদিও এ'বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি ৷

Ram Navami
সম্প্রীতির নজির গড়তে চলেছে মালদা (নিজস্ব ছবি)

কীভাবে মালদা শহরের মুসলমানরা হিন্দুদের আরাধ্য রামচন্দ্রের জন্মদিবস পালনে সামিল হবেন, তার চূড়ান্ত রূপরেখা ঠিক করতে বৃহস্পতিবার রাতে মালদা শহরের সুভাষপল্লি ঈদগাহ ময়দানে একটি বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ৷ শহরের 31টি মুসলিম মহল্লার প্রতিনিধিদের নিয়ে সেই বৈঠক করবে মালদা শহর মুসলিম কমিটি, আটকোশি আঞ্জুমান আকবরিয়া ইসলামিয়া ৷ ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছে মালদার বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতৃত্বও ৷

আটকোশি আঞ্জুমান আকবরিয়া ইসলামিয়ার সম্পাদক মহম্মদ আসিফ হোসেন এদিন ইটিভি ভারতকে বলেন, "শহরের ঈদগাহ ময়দানে আমরা হিন্দু-মুসলমান একসঙ্গে ঈদ পালন করেছি ৷ বিভিন্ন মহল্লাতেও সেদিন দুই ধর্মের মানুষের সহাবস্থান লক্ষ্য করা গিয়েছে ৷ রামনবমীর উৎসবে আমরা প্রতি বছরই অংশগ্রহণ করি ৷ আমরা এবারও অংশগ্রহণ করব ৷ রামনবমীর দিন আমরা আটকোশিয়া আঞ্জুমান আকবরিয়া ইসলামিয়ার সদস্যরা শহরের রাজমহল রোডে থাকি ৷ এবারও থাকব ৷"

তাঁর কথায়, "এ'বছর আমরা কীভাবে রামনবমী তিথি পালন করব তা চূড়ান্ত করতে আজ রাতে শহরের সমস্ত মুসলিম মহল্লার প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকে বসছি ৷ তবে সেদিনের ধর্মীয় মিছিলে অংশ নেওয়া ভাইদের মধ্যে জল-সরবত থেকে শুরু করে মিষ্টিমুখের ব্যবস্থা থাকবে ৷ মালদার মাটি সম্প্রীতির মাটি ৷ এখানে কোনও অশুভ সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া দিতে পারবে না ৷ তার জন্য আমরা সবাই সজাগ রয়েছি ৷"

তিনি আরও বলেন, "হিন্দু ও মুসলমান একে অন্যের পরিপূরক ৷ আমরা সেই সহাবস্থান বজায় রেখে এই শহরে বাস করি ৷ এখানে কোনও সাম্প্রদায়িক শক্তি কিছু করতে পারবে না ৷ আর সব সম্প্রদায়ের মধ্যেই কিছু দুষ্কৃতী রয়েছে ৷ মোথাবাড়িতে ক'দিন আগে যেটা ঘটেছে সেটা বিক্ষিপ্ত ঘটনা ৷ এর কোনও প্রভাব মালদার মাটিতে পড়েনি, পড়বেও না ৷ আমরা হিন্দু-মুসলমান এতদিন যেভাবে থেকে এসেছি, সেভাবেই থাকতে চাই ৷"

Ram Navami
ঈদগাহ ময়দানে বিশেষ বৈঠকে হবে রামনবমীর উৎসবে সামিল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত (নিজস্ব ছবি)

শহরের মুসলিম কমিটির এই মনোভাবকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ৷ সংগঠনের নেতা তথা রামনবমী উদযাপন কমিটির কার্যকরী সভাপতি কাজল গোস্বামী বলছেন, "রামচন্দ্র আমাদের ইষ্টদেব ৷ পরমারাধ্য ৷ প্রতি বছর রামনবমীর দিন শহরে একটি ভব্য শোভাযাত্রা বেরোয় ৷ সেই শোভাযাত্রায় লাখ লাখ সনাতনী হিন্দু অংশগ্রহণ করেন ৷ সেই সময় রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন ধর্ম ও বর্ণের মানুষ জল দিয়ে, ফল দিয়ে, বিভিন্নভাবে মিছিলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করে ৷ আমরা স্বপ্ন দেখি, সুপ্রশাসক ৷ মানে রাজা রাম ৷ আদর্শ রাজ্য মানেই রামরাজ্য ৷ সেই রামে যদি সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষ মিশে যেতে পারে তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই ৷"

তিনি আরও বলেন, "তবে এর সঙ্গে মাথায় রাখতে হবে, সেদিন যে ভব্য শোভাযাত্রা বেরোয় সেটা কিন্তু শুধু সনাতনী হিন্দুদের ৷ শুধুমাত্র হিন্দুরাই এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে ৷ রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে যদি অন্যও ধর্ম বা বর্ণের মানুষ রাজা রামের নামে স্লোগান দেয় সেটা তো ভালোই ৷ আর সমস্ত ধর্মই তো সৃষ্টি হয়েছে সনাতনী ধর্ম থেকে ৷ যদি অন্য ধর্মের মানুষ ফের সনাতন ধর্মে মিশে যেতে পারে তবে তাতে আপত্তি কোথায়? এই শোভাযাত্রা রাজা রামের শোভাযাত্রা ৷"

কাজল গোস্বামীর সংযোজন, "এটা শুধুমাত্র সনাতনী হিন্দুদের শোভাযাত্রা ৷ অন্য ধর্ম কিংবা বর্ণের মানুষ শোভাযাত্রায় পা মেলাতেই পারেন ৷ তবে আমরা তাঁদের কোনও আহ্বান করছি না ৷ এতে সমাজে ভুল বার্তা যেতে পারে ৷ সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরি হতে পারে ৷ আমরা এই বিভেদ তৈরি করতে চাইছি না ৷ আমরা তো বলেছি, যে কোনও রাজনৈতিক দল এই মিছিলে অংশ নিতে পারে ৷ হিন্দুধর্মের এই শোভাযাত্রায় অন্য ধর্মের মানুষ যদি প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেন, তাঁদের স্বাগতম ৷"

এই শহরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে দুই ধর্মের মানুষজনের এই প্রচেষ্টা ছুঁয়ে গিয়েছে জেলা প্রশাসনিক কর্তাদের মনও ৷ জেলাশাসক নিতীন সিংহানিয়া বলেন, "এমনটাই তো হওয়া উচিত ৷ এবারের রামনবমী উৎসবে মালদার মানুষের এই প্রচেষ্টা গোটা বিশ্বে উদাহরণ হয়ে উঠুক ৷ আমরা সবাই সেটাই চাই ৷"

Last Updated : April 3, 2025 at 10:24 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.