কোচবিহার, 19 মে: ভারত সরকারের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী, নির্দিষ্ট বেশ কয়েকটি বাংলাদেশি পণ্য আর সীমান্তের স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ঢুকতে পারবে না ৷ সরকারের এই সিদ্ধান্তে সমস্যায় পড়েছে সীমান্তের স্থলবন্দরে মুটে বা মালবহনের কাজ করা শ্রমিকরা ৷ সোমবার সকাল থেকে কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দরের প্রায় 1200 শ্রমিকের কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷
ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের ফল ভুগতে হচ্ছে দৈনিক খেটে খাওয়া শ্রমিকদের ৷ লুতফর রহমান নামে এক শ্রমিক বলেন, "সরকার যে পণ্যগুলি বন্দর দিয়ে আমনদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, সেই সব পণ্য এই চ্যাংড়াবান্ধা দিয়েই আসে ৷ এখন এখানে যদি, গাড়ি আসা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে আমাদের কয়েক হাজার শ্রমিক আছে ৷ তাঁরা সবাই পথে বসে যাবেন ৷ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত এই শ্রমিকরা না-খেয়ে মরবে ৷"
চ্যাংড়াবান্ধা তথা মেখলিগঞ্জ ব্লকের শিল্প ও কাজের সংস্থান সম্পর্কে ওই শ্রমিক নেতা বলেন, "চ্যাংড়াবান্ধায় কোনও শিল্প নেই ৷ শুধু চ্যাংড়াবান্ধা নয় এই মেখলিগঞ্জ ব্লকে কর্মসংস্থান বলে কিছুই নেই, কেবলমাত্র এই সীমান্ত বন্দরে শ্রমিকদের দৈনিক কাজ ছাড়া ৷ সেই কাজটাও বন্ধ হতে বসেছে ৷ আজকে কাজ বন্ধ হয়ে গেলে, কাল থেকে বাড়িতে চুলো জ্বলবে না ৷ আমরা সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে আছি ৷ ভারতবাসী হিসেবে সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছি ৷ কিন্তু, সরকারকে আমাদেরটা-ও দেখতে হবে ৷"

এ বিষয়ে কোচবিহার জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, "এটা কেন্দ্রীয় সরকারের ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড ডিপার্টমেন্টের সিদ্ধান্ত ৷ এ নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই ৷"

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেডের তরফে একটি নির্দেশিকায় রেডিমেড পোশাক, প্যাকেটজাত খাদ্যদ্রব্য, কার্বনেটেড পানীয়, তুলা, সুতো-সহ নানান পণ্য পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয় ও অসমের স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে ৷ কেবলমাত্র কলকাতার বন্দর ও মুম্বইয়ের সমুদ্র বন্দর দিয়ে এই পণ্যগুলি ভারতে রফতানি করতে পারবে বাংলাদেশ ৷ তবে, বাংলাদেশের মাছ-সহ বেশকিছু পণ্য স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশে ছাড়পত্র রয়েছে ৷