ETV Bharat / state

মুর্শিদাবাদে অশান্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত 109টি বাড়ি, ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে পদক্ষেপের নির্দেশ মুখ্যসচিবের - MURSHIDABAD UNREST

পর্যালোচনা বৈঠকে মুর্শিদাবাদ নিয়ে যে রিপোর্ট জমা পড়েছে তাতে জানা গিয়েছে, সূতি এবং ধুলিয়ান মিলে অশান্তির কারণে 109 টি বাড়ির ক্ষতি হয়েছে।

109 houses damaged in Murshidabad
মুর্শিদাবাদে অশান্তিতে 109 বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : April 19, 2025 at 8:19 PM IST

Updated : April 19, 2025 at 8:34 PM IST

2 Min Read

কলকাতা, 19 এপ্রিল: মুর্শিদাবাদের ক্ষয়ক্ষতি সমীক্ষা শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন। শনিবার নবান্নে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি পর্যালোচনা বৈঠক হয়। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই নিয়ে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে।

সেই বৈঠকে মুর্শিদাবাদ নিয়ে যে রিপোর্ট জমা পড়েছে, তাতে জানা গিয়েছে, সূতি এবং ধুলিয়ান মিলে অশান্তির কারণে 109টি বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছেন, মুর্শিদাবাদের অশান্তিতে মৃতদের পরিবার কিছু 10 লক্ষ টাকা করে অর্থ সাহায্য দেওয়া হবে। একই সঙ্গে, যে সমস্ত বাড়ি ভেঙে গিয়েছে সেগুলি তৈরি করে দেওয়া হবে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের মাধ্যমে। এমনকী যেখানে যেখানে দোকানের ক্ষতি হয়েছে সেখানেও সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই মুর্শিদাবাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সমীক্ষা শুরু করে নবান্ন।

এই সমীক্ষায় জেলাশাসকের তরফ থেকে মুখ্যসচিবকে যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা এই ঘটনায় 109টি বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রসঙ্গত, এদিন নবান্নের দুপুর আড়াইটা থেকে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। এই বৈঠকে মুর্শিদাবাদ জেলার তরফ থেকে জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক উপস্থিত ছিলেন। তিনি এই বৈঠকে জেলার কয়েকটি জায়গায় যে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে মুখ্যসচিবকে বিস্তারিত রিপোর্ট দিয়েছেন বলে খবর। সেখানেই বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে যে সমীক্ষা করা হয়েছে তাতে এখনো পর্যন্ত 109টি বাড়ির ক্ষতি হয়েছে বলে তথ্য রয়েছে।

জানা গিয়েছে, রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ নির্দেশ দিয়েছেন, যারা বিভিন্ন ক্যাম্পে রয়েছেন তারা বাড়ি ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই যেন বাংলার বাড়ি প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ তাদের দিয়ে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে, এই বৈঠকে এদিন উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত দফতরের সচিবও। তাঁকে মুখ্যসচিব নির্দেশ দিয়েছেন, বিভিন্ন ক্যাম্পে থাকা মানুষজন যখনই বাড়ি ফিরবেন তখনই তারা যাতে টাকা পায় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে পঞ্চায়েত দফতরকে। একই সঙ্গে, এদিন জেলা প্রশাসন এবং পঞ্চায়েত দফতরকে মিলিতভাবে যে দোকানগুলি ক্ষতি হয়েছে সেগুলির সমীক্ষা করে দ্রুত রিপোর্ট নবান্নকে জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

এদিন দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা ধরে নবান্নে এই পর্যালোচনা বৈঠক চলে। এদিন আগে থেকে মুর্শিদাবাদ এর জেলা প্রশাসনকে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। তবে জেলাশাসকের অন্য ব্যস্ততা থাকার কারণে তিনি এই বইটাকে উপস্থিত থাকতে পারেননি। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক। তার মাধ্যমেই জেলা প্রশাসনকে স্পষ্ট নির্দেশ দিল নবান্ন।

কলকাতা, 19 এপ্রিল: মুর্শিদাবাদের ক্ষয়ক্ষতি সমীক্ষা শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন। শনিবার নবান্নে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি পর্যালোচনা বৈঠক হয়। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই নিয়ে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে।

সেই বৈঠকে মুর্শিদাবাদ নিয়ে যে রিপোর্ট জমা পড়েছে, তাতে জানা গিয়েছে, সূতি এবং ধুলিয়ান মিলে অশান্তির কারণে 109টি বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছেন, মুর্শিদাবাদের অশান্তিতে মৃতদের পরিবার কিছু 10 লক্ষ টাকা করে অর্থ সাহায্য দেওয়া হবে। একই সঙ্গে, যে সমস্ত বাড়ি ভেঙে গিয়েছে সেগুলি তৈরি করে দেওয়া হবে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের মাধ্যমে। এমনকী যেখানে যেখানে দোকানের ক্ষতি হয়েছে সেখানেও সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই মুর্শিদাবাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সমীক্ষা শুরু করে নবান্ন।

এই সমীক্ষায় জেলাশাসকের তরফ থেকে মুখ্যসচিবকে যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা এই ঘটনায় 109টি বাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রসঙ্গত, এদিন নবান্নের দুপুর আড়াইটা থেকে বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক এবং বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। এই বৈঠকে মুর্শিদাবাদ জেলার তরফ থেকে জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক উপস্থিত ছিলেন। তিনি এই বৈঠকে জেলার কয়েকটি জায়গায় যে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে মুখ্যসচিবকে বিস্তারিত রিপোর্ট দিয়েছেন বলে খবর। সেখানেই বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে যে সমীক্ষা করা হয়েছে তাতে এখনো পর্যন্ত 109টি বাড়ির ক্ষতি হয়েছে বলে তথ্য রয়েছে।

জানা গিয়েছে, রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ নির্দেশ দিয়েছেন, যারা বিভিন্ন ক্যাম্পে রয়েছেন তারা বাড়ি ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই যেন বাংলার বাড়ি প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ তাদের দিয়ে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে, এই বৈঠকে এদিন উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত দফতরের সচিবও। তাঁকে মুখ্যসচিব নির্দেশ দিয়েছেন, বিভিন্ন ক্যাম্পে থাকা মানুষজন যখনই বাড়ি ফিরবেন তখনই তারা যাতে টাকা পায় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে পঞ্চায়েত দফতরকে। একই সঙ্গে, এদিন জেলা প্রশাসন এবং পঞ্চায়েত দফতরকে মিলিতভাবে যে দোকানগুলি ক্ষতি হয়েছে সেগুলির সমীক্ষা করে দ্রুত রিপোর্ট নবান্নকে জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

এদিন দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা ধরে নবান্নে এই পর্যালোচনা বৈঠক চলে। এদিন আগে থেকে মুর্শিদাবাদ এর জেলা প্রশাসনকে এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। তবে জেলাশাসকের অন্য ব্যস্ততা থাকার কারণে তিনি এই বইটাকে উপস্থিত থাকতে পারেননি। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক। তার মাধ্যমেই জেলা প্রশাসনকে স্পষ্ট নির্দেশ দিল নবান্ন।

Last Updated : April 19, 2025 at 8:34 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.