কলকাতা, 20 জুন: বর্ষা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে তৈরি হলেও বৃষ্টির দেখা মেলেনি দক্ষিণবঙ্গে। তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি সামলে স্বস্তি পেতে বৃষ্টি একমাত্র সুরাহা। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টি হলেও, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির দেখা নেই ৷ আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণবঙ্গে শীঘ্রই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে ৷ আগামী দুই তিন দিনে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। তবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা এখনই নেই। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে । এই বৃষ্টি পুরোটাই প্রাক বর্ষার বৃষ্টি বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
গত 24 ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের বার্ণপুর এবং আসানসোলে ভারী বৃষ্টি হয়েছে । ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার মত পশ্চিমের জেলাগুলিতেও বৃষ্টি হয়েছে । কলকাতায় বুধবার ছিল মেঘলা আকাশ । আজও সেই পরিস্থিতি বজায় থাকবে বলে পূর্বাভাস মিলেছে । বুধবার বিকেলের দিকে দমকা ঝোড়ো হাওয়ায় বৃষ্টি পরিস্থিতি তৈরি হলেও তা হয়নি । হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস আগামী দু-তিন দিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায়। সেই তালিকায় কলকাতাও বাদ পড়বে না । বজ্রবিদ্যুৎ বৃষ্টির সঙ্গে হালকা দমকা বাতাস বইতে পারে ।
উত্তরবঙ্গে দুর্যোগ চলছেই ৷ উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে । আর দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে উত্তরবঙ্গের বাকি অংশ ও দক্ষিণবঙ্গে মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করবে ৷ উপরের 5 জেলা অর্থাৎ দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের সব জেলাতেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে । উত্তর-দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদাতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা ও মাঝারি বৃষ্টির সতর্কতা আছে । সেই সঙ্গে বজ্রপাতের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে ।
বুধবার, কলকাতা এবং আশেপাশের অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 34.4 ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক। দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 30.4 ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে 3.4 ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ছিল 84 শতাংশ, সর্বনিম্ন 72 শতাংশ । আজ বৃহস্পতিবার সাধারণত আকাশ মেঘলা থাকবে। বজ্রবিদ্যুত-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে কিছু অঞ্চলে ৷ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা 33 ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 27 ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকবে ।