খড়গপুর, 20 মার্চ: খড়গপুর পৌরসভার 15 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর বনথা মুরলীর বাড়িতে ডাকাতি। মঙ্গলবার রাতে কাউন্সিলরের স্ত্রীকে হাত-পা বেঁধে চলল লুটপাট। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ৷ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে চার দুষ্কৃতী মুখে মাস্ক বাঁধা অবস্থায় কাউন্সিলরের খোঁজ করে বাড়িতে আসে ৷ তারপরই এই কাণ্ড ঘটায় ৷ এমনই অভিযোগ কাউন্সিলরের স্ত্রী'র।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ন'টা নাগাদ 4 জন অজ্ঞাত পরিচয় যুবক মুখে মাস্ক বেঁধে খড়গপুর পৌরসভার 15 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বনথার রেল কোয়ার্টারে ঢুকে পড়ে। সেই সময় কাউন্সিলর বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর স্ত্রী বনথা বিজয়া বাড়িতে একাই ছিলেন। দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢুকেই প্রথমে কাউন্সিলরের স্ত্রী'র হাত-পা বেঁধে দেয়। এরপর তারা বাড়ির সমস্ত কিছু লুটপাট শুরু করে। কাউন্সিলরের স্ত্রী বনথা বিজয়ার গায়ের গয়না বলপূর্বক খুলে নেয়।
এরপর বাড়ির আলমারি ভেঙে সঞ্চিত থাকা গয়না এবং নগদ টাকা বের করে নেয়। কাউন্সিলরের স্ত্রী'র কথামতো দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢুকেই বনথার খোঁজ করছিল। তাদের প্রত্যেকের হাতেই আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। এই বিষয়ে আতঙ্কিত কাউন্সিলরের স্ত্রী বনথা বিজয়া বলেন, "রাত সাড়ে ন'টা নাগাদ হঠাৎই হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ে ওই চার দুষ্কৃতী। বাড়ির সামনে এবং পিছন দিয়ে তারা ঢোকে । যাদের প্রত্যেকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল ও মুখে মাস্ক ছিল। দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢুকেই বনথার খোঁজ করে।"
তিনি আরও জানান, এরপর দুষ্কৃতীরা তাঁকে গয়না খুলে দিতে বলেন ৷ কথা না-শুনলে গুলি চালানোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এরপর হাত-পা বেঁধে সমস্ত গয়না, টাকা-পয়সা দুষ্কৃতীরা নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। সেই সময় কাউন্সিলর পার্টি অফিসে ছিলেন বলে জানান তাঁর স্ত্রী। লুটপাটের পর দুষ্কৃতীরা বাড়ির পিছন দরজা দিয়ে পালিয়ে যায় বলে জানান আতঙ্কিত কাউন্সিলরের স্ত্রী ৷" এই বিষয়ে 15 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বনথা মুরলী বলেন, "এলাকায় ক্রিমিনালদের অ্যাক্টিভিটি বাড়ছে ৷ আমার বাড়িতে যা হয়েছে এর থেকেও বড় কিছু হতে পারত ৷ পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু তারপরেও ক্রিমিনালদের কার্যকলাপ কমছে না।"
আরও পড়ুন: