বারাসত, 26 অগস্ট: আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে পুজো কমিটির সরকারি অনুদান 'না' নেওয়া প্রসঙ্গে মুখ খুললেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ ৷ এই সরকারি অনুদান নিয়ে তাঁর মতো করে যুক্তিও খাড়া করলেন । রথীনের কথায়, "ওটা পুজো অনুদান নয় । সমাজ সেবার জন্য আর্থিক অনুদান । সামাজিক ক্ষেত্রকে সুরক্ষিত করতেই সরকার এই অনুদান দিয়ে থাকে পুজো কমিটিগুলিকে । ওই অনুদান পুজো করার জন্য নয় ।" যদিও খাদ্যমন্ত্রীর এই যুক্তি মানতে নারাজ বারাসতের অধিকাংশ পুজো কমিটি । এই নিয়ে পালটা মন্ত্রীকে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি তাঁরা ।
প্রতি বছর এই আর্থিক অনুদান ছোট-বড় সমস্ত ক্লাব নিলেও এবছর আরজি কর-কাণ্ড পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে । ইতিমধ্যে এই নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে সামিল হয়েছে বেশ কিছু পুজো কমিটি । প্রতিবাদস্বরূপ সরকারের দেওয়া পুজো অনুদান প্রত্যাখ্যান করছেন অনেকে । এই পরিস্থিতিতে এবার সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যান করা নিয়ে মুখ খুললেন মমতার মন্ত্রিসভার এই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ।
সোমবার এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "এখনও পুজোর অনুদান দেওয়া শুরু হয়নি । যারা অনুদান প্রত্যাখ্যান করছেন, তারা আদৌও অনুদান পাওয়ার যোগ্য কি না, সেটাও আমি জানি না । ওঁর অনুদান কার কাছে থেকে নেবেন না তা তো বুঝতে পারছি না। জেলাশাসক নিজে তো আর অনুদান দেন না । ক্লাবগুলো এই সরকারি অনুদান পেয়ে থাকে পুলিশের সমন্বয় কমিটির থেকে। সেখানে এই অনুদান প্রত্যাখ্যান করার কথা আসছে কী করে ! তাছাড়া পুজোর দামামা বাজতে এখনও বেশ কিছুটা সময় রয়েছে । অনুদান না নিলে যদি প্রতিবাদ হয়, তাহলে এই নিয়ে আমার কিছু বলার নেই । তবে এটুকু বলব, যারা এসব বলছেন তাঁরা যেন সামাজিক ক্ষেত্রে টাকা খরচ করেন। সেই জন্যই তো সরকার ওই টাকা দিয়ে থাকে ।"
যদিও, খাদ্যমন্ত্রীর এই যুক্তি উড়িয়ে দিয়েছে বারাসতের কলোনি মোড় অ্যাসোসিয়েশন । আরজি কর-কাণ্ডে প্রতিবাদ জানাতে এদিনই দুর্গাপুজোর অনুদানে 'না' করে দিয়েছেন কমিটির সদস্যরা। সেই পুজো কমিটির সদস্য আবদুল জলিল বলেন, "মন্ত্রী রথীন ঘোষ সঠিক কথা বলছেন না। সরকার পুজোর জন্যই এই আর্থিক অনুদান দিয়ে থাকে ক্লাবগুলিকে । সামাজিক ক্ষেত্রের বিষয়টি কোথা থেকে আসছে সেটাই তো বুঝতে পারছি না । আসলে উনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এসব আজগুবি কথা বলছেন ।"