বংশীহারী, 13 এপ্রিল: দীর্ঘ 10 বছর ধরে বন্ধ স্টেডিয়ামের কাজ ৷ তার জেরে বন্ধ মাঠে সব ধরনের খেলাধূলাও ৷ যার ফলে সমস্যায় পড়েছেন এলাকার খেলোয়াড়রা ৷ রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র ফের স্টেডিয়াম তৈরির কাজ শুরুর উদ্যোগ নিয়েছেন ৷ ঘটনাটি দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর শহরের 9 নম্বর ওয়ার্ডের ।
বাধ্য হয়ে খেলোয়াড়দের অন্য মাঠে গিয়ে বিভিন্ন খেলাধূলা অনুশীলন করতে হচ্ছে । অনুশীলন করার সেই মাঠগুলো তুলনামূলক ছোট ৷ আর সেখানে আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধার অভাবও রয়েছে । এতে খেলোয়াড়রা সেখানে যেতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন বলে দাবি ক্রীড়াপ্রেমীদের । সম্প্রতি স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজ নিয়ে অভিযোগ ওঠে, ঠিকাদার নিম্নমানের মাটি দিয়ে মাঠের সংস্কার করছেন । পরে জানাজানি হওয়ার পর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সেই কাজ বন্ধ হয়ে যায় ।
খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, 2014 সালে বুনিয়াদপুর শহরের টাঙন নদীর ধারে প্রায় আড়াই একর জমির উপর স্টেডিয়ামটি নির্মাণ হওয়ার জন্য কাজ শুরু হয় । ওই অর্থবছরে হরিরামপুর বিধানসভার বিধায়ক বিপ্লব মিত্র স্টেডিয়ামের মাঠ, প্যাভিলিয়ন ও স্বল্প আসনের গ্যালারি সংস্কারের জন্য 9 লাখ টাকা বরাদ্দ করেন । আর এই সংস্কার কাজের দায়িত্ব পান কলকাতার ত্রিবেণী নামে একটি ঠিকাদারি সংস্থা ।

অভিযোগ, সেই সংস্থা ঠিকমতো কাজ না-করার কারণেই এখনও অচল অবস্থায় পড়ে আছে বুনিয়াদপুর স্টেডিয়ামের কাজ । বুনিয়াদপুর স্টেডিয়ামের কাজ আবার নতুন করে শুরু করার উদ্যোগ নিচ্ছেন ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র । আর তাঁর এই উদ্যোগ নেওয়ার খবর জানাজানি হতেই খুবই খুশি বুনিয়াদপুর পুরসভা-সহ বংশীহারী ব্লকের বিভিন্ন খেলোয়াড় থেকে ক্রীড়াপ্রেমী মানুষরা ।

এই বিষয়ে কাজল সরকার নামে এক ক্রীড়াপ্রেমী বলেন, "দীর্ঘ 10 বছর ধরে টাঙন নদীর ধারে বুনিয়াদপুর পুরসভা এলাকায় স্টেডিয়ামের কাজ শুরু হয়েছিল । কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে সেই কাজ বন্ধ হয়ে যায় । তবে আমরা খুবই খুশি আবার নতুন করে কাজ শুরুর উদ্যোগ নিচ্ছেন ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র । তবে এখন কত দিনে কাজ শুরু হবে এবং শেষ কবে হবে সেই আশায় রয়েছি আমরা ।"

রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলেন, "আমি হরিরামপুরের বিধায়ক থাকাকালীন 9 লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছিলাম স্টেডিয়ামের কাজের জন্য । কিন্তু পরে কলকাতার একটি সংস্থা ঠিকমতো কাজ না-করার কারণে ওই কাজ বন্ধ হয়ে যায় । পরবর্তীতে আমি ভোটে হেরে যাই ৷ সেই সময় যিনি বিধায়ক ছিলেন তিনি কোনও উদ্যোগ নেননি স্টেডিয়াম তৈরির জন্য । আমি আবার উদ্যোগ নিচ্ছি নতুনভাবে বুনিয়াদপুরে স্টেডিয়ামের কাজ শুরু করার জন্য ।"