ETV Bharat / state

বড়বাজার হোটেলের অগ্নিকাণ্ডে মৃত 15, শোকপ্রকাশ মোদি-মমতার - KOLKATA FIRE

সূত্রের দাবি, এখনও পর্যন্ত মোট 15 জনের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে দুজন শিশুও আছে। শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Mechua Bazar Fire
মেছুয়া ফলপট্টির অগ্নিকাণ্ড (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : April 30, 2025 at 8:25 AM IST

4 Min Read

কলকাতা, 30 এপ্রিল: বড়বাজারের মেছুয়ার ফলপট্টি এলাকার অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে 15 হয়েছে। এই ঘটনায় মৃতদের মধ্যে সঞ্জয় পাসোয়ান যিনি আগুন বাঁচতে বহুতল থেকে ঝাঁপ দেন, গতকালই তাঁর মৃত্যু হয়েছে ৷

এই অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দমকলের 10টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায় এবং প্রায় 8 ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে ৷ তবে এখনও আগুন পুরোপুরি নেভাতে পারেনি দমকল বাহিনী। উদ্ধারকাজ এখনও চলছে।

বড়বাজারের হোটেলে অগ্নিকাণ্ড (ইটিভি ভারত)

বড়বাজার হোটেলের অগ্নিকাণ্ডে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ তিনি তাঁর এক্স পোস্টে লিখেছেন, "কলকাতায় অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় আমি শোকাহত। যাঁরা তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন তাদের প্রতি সমবেদনা জানাই। আহতরা শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠুক। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় তহবিল থেকে নিহতদের প্রত্যেকের নিকটাত্মীয়কে 2 লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। আহতদের 50,000 টাকা দেওয়া হবে ৷"

এই অগ্নিকাণ্ডে নিজের শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, "বড়বাজার এলাকার একটি বেসরকারি হোটেলে (ঋতুরাজ) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আমার হৃদয় ব্যথিত। আমি সারা রাত ধরে উদ্ধার ও অগ্নিনির্বাপণ অভিযান পর্যবেক্ষণ করেছি এবং এলাকায় সর্বাধিক দমকল বাহিনীকে মোতায়েন করেছি। ভেতরে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকার কারণে শেষ পর্যন্ত মোট 14 জন মারা গেছেন। তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা এবং ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি আমার একাত্মতা রয়েছে।"

বড়বাজারের অগ্নিকাণ্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এক্স পোস্টে লিখেছেন, "মেছুয়ার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় আমি মর্মাহত এবং গভীরভাবে শোকাহত। শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। রাজ্য প্রশাসন, বিভিন্ন সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে মিলে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা এবং কার্যকর ত্রাণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এই কঠিন সময়ে, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত সকলের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি।"

মঙ্গলবার বড়বাজার মেছুয়া ফলপট্টি এলাকার একটি হোটেলে আগুন লাগে ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা সাড়ে 7টা থেকে পৌনে 8টা নাগাদ আগুন লাগে। প্রবল ধোঁয়ার জেরে হোটেলের ভিতরে ঢুকতে পারছিলেন না দমকল কর্মীরা। ফলে ফলপট্টির অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয় একাধিক মানুষের৷ গতকাল রাতে জোড়াসাঁকো থানা এলাকার রবীন্দ্র সরণীর বড়বাজার মেছুয়া ফলপট্টিতে আগুন লাগে। ঋতুরাজ নামে এক হোটেলে আগুন লাগে। আতঙ্কে হোটেল থেকে ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়। তেমনি প্রবল ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্টে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে। সূত্রের দাবি, এখনও পর্যন্ত মোট 15 জনের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে দুজন শিশুও আছে।

গুরুতর আহত হয়েছেন 13 জন। যদিও পুলিশ সূত্রের দাবি, মোট 15 জনের মৃত্যু হয়েছে। 8 জনের দেহ ইতিমধ্যে চিহ্নিত হয়েছে। কিন্তু, তাদের নামের তালিকা এখনও প্রস্তুত করা হয়নি। যে 13 জন গুরুতর আহত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে 12 জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এখনও একজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

যে হোটেলটিতে এই দম বন্ধকর পরিস্থিতিতে এত মানুষের মৃত্যু হল সেই তালিকায় হোটেলের কর্মচারীরাও রয়েছেন। হোটেলের 42টি ঘরে মোট 88 জন ছিলেন। এছাড়াও তাদের দেখভাল এবং পরিচর্যার জন্য 60 কর্মচারী নিযুক্ত ছিল। মৃতদের মধ্যে 11 জন পুরুষ, একজন মহিলা, এবং একজন বালক ও একজন বালিকা।

Firhad Hakim
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (ইটিভি ভারত)

গতকালের অগ্নিকাণ্ডে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, শশী পাজা-সহ একাধিক নেতৃত্ব। কী কারণে আগুন লাগল,তা জানতে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কলকাতার নগরপাল মনোজ বর্মা। এই ঘটনা প্রসঙ্গে কলকাতার নগরপাল বলেন, "রাত 8টা 15 মিনিটে ঋতুরাজ হোটেলে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। 14টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে, উদ্ধারকাজ চলছে। তদন্ত চলছে। তদন্তের জন্য একটি বিশেষ দলও গঠন করা হয়েছে।"

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রাজ্য প্রশাসনকে অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারের আহ্বান জানিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা রোধে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থায় "কঠোর নজরদারি"র আহ্বান জানিয়েছেন।

সুকান্ত মজুমদার তাঁর এক্স পোস্টে লেখেন, "আমি রাজ্য প্রশাসনকে অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও মানবিক সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানাচ্ছি। এছাড়াও, ভবিষ্যতে এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা রোধ করার জন্য অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা এবং কঠোর নজরদারির আবেদন করছি ৷"

Mechua Bazar Fire
মেছুয়ার ফলপট্টি এলাকায় আগুন তখনও জ্বলছে (ইটিভি ভারত)

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন। কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে প্রকাশ করে তিনি বলেন, "কলকাতার বড়বাজার মেছুয়া ফলপট্টিতে হয়ে যাওয়া বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যে, খোদ মহানগরী কোলকাতা জতুগৃহ হয়ে আছে। এর আগেও কয়েকমাস ধরে বিভিন্ন সময়ে কোলকাতায় ঘটে যাওয়া উপর্যুপরি অগ্নিকাণ্ডের পর আমরা বারম্বার এই রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের ব্যর্থতা এবং কোলকাতা কর্পোরেশনের উদাসীনতার কথা উল্লেখ করে এসেছি। বড়বাজারের ঘটনাতেও সেই একই ব্যাপার। স্থানীয় কাউন্সিলরও এই ঘটনায় দায় এড়াতে পারেন না।"

মেছুয়ার ফলপট্টিতে ভয়াবহ আগুন, মৃত 1 ; ঘটনাস্থলে দমকলের 10টি ইঞ্জিন

কলকাতা, 30 এপ্রিল: বড়বাজারের মেছুয়ার ফলপট্টি এলাকার অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে 15 হয়েছে। এই ঘটনায় মৃতদের মধ্যে সঞ্জয় পাসোয়ান যিনি আগুন বাঁচতে বহুতল থেকে ঝাঁপ দেন, গতকালই তাঁর মৃত্যু হয়েছে ৷

এই অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দমকলের 10টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায় এবং প্রায় 8 ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে ৷ তবে এখনও আগুন পুরোপুরি নেভাতে পারেনি দমকল বাহিনী। উদ্ধারকাজ এখনও চলছে।

বড়বাজারের হোটেলে অগ্নিকাণ্ড (ইটিভি ভারত)

বড়বাজার হোটেলের অগ্নিকাণ্ডে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ তিনি তাঁর এক্স পোস্টে লিখেছেন, "কলকাতায় অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় আমি শোকাহত। যাঁরা তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন তাদের প্রতি সমবেদনা জানাই। আহতরা শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠুক। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় তহবিল থেকে নিহতদের প্রত্যেকের নিকটাত্মীয়কে 2 লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। আহতদের 50,000 টাকা দেওয়া হবে ৷"

এই অগ্নিকাণ্ডে নিজের শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, "বড়বাজার এলাকার একটি বেসরকারি হোটেলে (ঋতুরাজ) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আমার হৃদয় ব্যথিত। আমি সারা রাত ধরে উদ্ধার ও অগ্নিনির্বাপণ অভিযান পর্যবেক্ষণ করেছি এবং এলাকায় সর্বাধিক দমকল বাহিনীকে মোতায়েন করেছি। ভেতরে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকার কারণে শেষ পর্যন্ত মোট 14 জন মারা গেছেন। তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা এবং ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি আমার একাত্মতা রয়েছে।"

বড়বাজারের অগ্নিকাণ্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এক্স পোস্টে লিখেছেন, "মেছুয়ার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় আমি মর্মাহত এবং গভীরভাবে শোকাহত। শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। রাজ্য প্রশাসন, বিভিন্ন সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে মিলে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা এবং কার্যকর ত্রাণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এই কঠিন সময়ে, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত সকলের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি।"

মঙ্গলবার বড়বাজার মেছুয়া ফলপট্টি এলাকার একটি হোটেলে আগুন লাগে ৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা সাড়ে 7টা থেকে পৌনে 8টা নাগাদ আগুন লাগে। প্রবল ধোঁয়ার জেরে হোটেলের ভিতরে ঢুকতে পারছিলেন না দমকল কর্মীরা। ফলে ফলপট্টির অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয় একাধিক মানুষের৷ গতকাল রাতে জোড়াসাঁকো থানা এলাকার রবীন্দ্র সরণীর বড়বাজার মেছুয়া ফলপট্টিতে আগুন লাগে। ঋতুরাজ নামে এক হোটেলে আগুন লাগে। আতঙ্কে হোটেল থেকে ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়। তেমনি প্রবল ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্টে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে। সূত্রের দাবি, এখনও পর্যন্ত মোট 15 জনের মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে দুজন শিশুও আছে।

গুরুতর আহত হয়েছেন 13 জন। যদিও পুলিশ সূত্রের দাবি, মোট 15 জনের মৃত্যু হয়েছে। 8 জনের দেহ ইতিমধ্যে চিহ্নিত হয়েছে। কিন্তু, তাদের নামের তালিকা এখনও প্রস্তুত করা হয়নি। যে 13 জন গুরুতর আহত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে 12 জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এখনও একজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

যে হোটেলটিতে এই দম বন্ধকর পরিস্থিতিতে এত মানুষের মৃত্যু হল সেই তালিকায় হোটেলের কর্মচারীরাও রয়েছেন। হোটেলের 42টি ঘরে মোট 88 জন ছিলেন। এছাড়াও তাদের দেখভাল এবং পরিচর্যার জন্য 60 কর্মচারী নিযুক্ত ছিল। মৃতদের মধ্যে 11 জন পুরুষ, একজন মহিলা, এবং একজন বালক ও একজন বালিকা।

Firhad Hakim
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (ইটিভি ভারত)

গতকালের অগ্নিকাণ্ডে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, শশী পাজা-সহ একাধিক নেতৃত্ব। কী কারণে আগুন লাগল,তা জানতে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কলকাতার নগরপাল মনোজ বর্মা। এই ঘটনা প্রসঙ্গে কলকাতার নগরপাল বলেন, "রাত 8টা 15 মিনিটে ঋতুরাজ হোটেলে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। 14টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে, উদ্ধারকাজ চলছে। তদন্ত চলছে। তদন্তের জন্য একটি বিশেষ দলও গঠন করা হয়েছে।"

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রাজ্য প্রশাসনকে অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারের আহ্বান জানিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা রোধে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থায় "কঠোর নজরদারি"র আহ্বান জানিয়েছেন।

সুকান্ত মজুমদার তাঁর এক্স পোস্টে লেখেন, "আমি রাজ্য প্রশাসনকে অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও মানবিক সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানাচ্ছি। এছাড়াও, ভবিষ্যতে এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা রোধ করার জন্য অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা এবং কঠোর নজরদারির আবেদন করছি ৷"

Mechua Bazar Fire
মেছুয়ার ফলপট্টি এলাকায় আগুন তখনও জ্বলছে (ইটিভি ভারত)

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন। কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে প্রকাশ করে তিনি বলেন, "কলকাতার বড়বাজার মেছুয়া ফলপট্টিতে হয়ে যাওয়া বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যে, খোদ মহানগরী কোলকাতা জতুগৃহ হয়ে আছে। এর আগেও কয়েকমাস ধরে বিভিন্ন সময়ে কোলকাতায় ঘটে যাওয়া উপর্যুপরি অগ্নিকাণ্ডের পর আমরা বারম্বার এই রাজ্য সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের ব্যর্থতা এবং কোলকাতা কর্পোরেশনের উদাসীনতার কথা উল্লেখ করে এসেছি। বড়বাজারের ঘটনাতেও সেই একই ব্যাপার। স্থানীয় কাউন্সিলরও এই ঘটনায় দায় এড়াতে পারেন না।"

মেছুয়ার ফলপট্টিতে ভয়াবহ আগুন, মৃত 1 ; ঘটনাস্থলে দমকলের 10টি ইঞ্জিন

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.