মালদা, 23 সেপ্টেম্বর: সাত বছরের এক শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে 55 বছরের এক প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করল কালিয়াচক থানার পুলিশ ৷ বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ৷ রবিবার দুপুরের ঘটনায় অভিযুক্তকে স্থানীয়রা মারধর করে বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ ৷
নির্যাতিতা নাবালিকার বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, রবিবার দুপুরে কয়েকটি জিনিস কিনতে তাঁর মেয়েকে বাড়ির কাছে মুদির দোকানে পাঠিয়েছিলেন ৷ কিন্তু, অনেকটা সময় গড়িয়ে গেলেও, মেয়ে বাড়ি না-ফেরায় তার মা খোঁজখবর নিতে শুরু করেন ৷ মুদির দোকানে গিয়ে খোঁজ করলে দোকানদার জানান, তাঁর মেয়ে দোকানেই আসেনি ৷ এরপর বাড়ির লোকজনও নাবালিকার খোঁজে বেরিয়ে পড়েন ৷
সেই সময় গ্রামেরই এক ব্যক্তি নাবালিকার মাকে জানান, তিনি রাস্তার ধারে গ্রামের এক প্রৌঢ়ের সঙ্গে তাঁর মেয়েকে কথা বলতে দেখেছেন ৷ সেকথা শুনে নাবালিকার মা ওই প্রৌঢ়ের বাড়িতে যান ৷ একাধিকবার ডাকাডাকি করেও কারও সাড়া না-পাওয়ায়, তিনি বাড়ির জানালা দিয়ে ভিতরে উঁকি মারেন ৷ অভিযোগ, ঘরের ভিতরে মেয়েকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পান তিনি ৷ এরপরেই তিনি চিৎকার করে লোকজনকে ডাকেন ৷ এরপর গ্রামবাসীরা অভিযুক্ত প্রৌঢ়কে বাড়ি থেকে বের করে মারধর করেন বলে অভিযোগ ৷
খবর দেওয়া হয় পুলিশেও ৷ কালিয়াচকের এসডিপিও-র নেতৃত্বে পুলিশের বাহিনী এলাকায় যায় ৷ তারা অভিযুক্তকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় ৷ এরপর নাবালিকার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ এসডিপিও জানিয়েছেন, "নির্যাতিতা নাবালিকার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে ৷ অভিযুক্তকে মালদা জেলা আদালতে পেশ করেছে পুলিশ ৷ নির্যাতিতা নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে ৷" অভিযুক্তের জামিনের আর্জি খারিজ করে 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য দায়রা বিচারক ৷