কলকাতা, 10 সেপ্টেম্বর: কলকাতা কর্পোরেশন ইতিমধ্যে নিকাশি বিভাগের ডিজিটাল ম্যাপ তৈরি করেছে । পানীয় জল সরবরাহ সংক্রান্ত ম্যাপ তৈরির কাজও শেষের মুখে। এবার তৈরি হচ্ছে আলোক বিভাগের ডিজিটাল ম্যাপ। বলা ভালো 'ডিজিটাল ডেটাবেস'। কম্পিউটারে ক্লিক করলেই চলে আসবে সব তথ্য। সমস্যা হলে দ্রুত সুরাহা মিলবে। পরিষেবার মানও ভালো হবে বলে মনে করছেন ছোট পুরনিগমের কর্তারা।
কিছুদিন আগেই বেহালা এলাকার 121 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রূপক গঙ্গোপাধ্যায় অভিযোগ করেন তাঁর ওয়ার্ডে কমবেশি হাজার চারেক আলোক স্তম্ভ আছে। মাঝেমধ্যে বেশকিছু আলোক স্তম্ভ নানা ধরনের সমস্যা হয়। কাউন্সিলরের কথায়, "নির্দিষ্ট ডেটা থাকলে আমাদের কাজ করতে সুবিধা হয়। যেমন আলো কবে লাগানো হল এবং তার মেয়াদ কতদিন হতে পারে তা জানা থাকা ভালো। তাছাডা় কোন আলোকস্তম্ভে কী সমস্যা আছে তা আগে থেকে জানা থাকলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে পারি।"
এই প্রসঙ্গে কলকাতা কর্পোরেশনের আলোক বিভাগের মেয়র পরিষদ সন্দীপ রঞ্জন বক্সী বলেন, "তৈরি হচ্ছে আলোক বিভাগের ডিজিটাল ম্যাপ। তাতে আলোক স্তম্ভের অবস্থান থেকে শুরু করে খুঁটিনাটি সব তথ্য থাকবে। থাকবে আলোক স্তম্ভের ছবিও। বছর তিন লাগছে সমস্ত কাজ শেষ করতে। কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে খবর, প্রতিটা আলোক স্তম্ভের নির্দিষ্ট নম্বর আছে । আলোর নম্বরও আছে। সেগুলো সঙ্গেই থাকছে ছবি। কোন আলোকস্তম্ভ কবে পরীক্ষা হয়েছিল, কবে রং করা হয়েছে, কবে মেরামত করা হয়েছে সব তথ্য খুঁটিনাটি থাকবে। কবে আলো বদল করতে হবে তাও জানা যাবে সহজেই। কী ধরনের আলো লাগানো সব থাকছে ডিজিটাল ম্যাপ বা ডেটাবেসে।" উল্লেখ্য, শহরে নিকাশি ও জলের ব্যবস্থার উন্নতি জন্য তৈরি হয়েছে ডিজিটাল ম্যাপ। সেই ম্যাপেও ঠিক এভাবেই থাকছে সব তথ্য ।