ETV Bharat / state

5 মিনিটের ঝড়ের তাণ্ডবে ভাঙল বাড়ি, উপড়াল গাছ-বিদ্যুতের খুঁটি ! দ্রুত ত্রাণের আশ্বাস প্রশাসনের - STORM IN HARISHCHANDRAPUR

রাতের ঝড়ে উড়ে গিয়েছে বহু বাড়ির চাল ৷ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে অসংখ্য গ্রাম ৷ ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ দেওয়ার ব্যবস্থা বিডিও’র ৷

Storm in Harishchandrapur
5 মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড হরিশ্চন্দ্রপুর, ভাঙল বাড়ি, উপড়াল গাছ-বিদ্যুতের খুঁটি ৷ (নিজস্ব ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : June 3, 2025 at 7:43 PM IST

4 Min Read

মালদা, 3 জুন: মাত্র কয়েক মিনিটের ঝড়, আর তাতেই লন্ডভন্ড হয়ে গেল হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রাম ৷ উড়ে গিয়েছে অসংখ্য বাড়ির চাল, ভেঙে পড়েছে প্রচুর গাছ, উপড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি ৷ সোমবার রাতের এই ঝড়ের পর মঙ্গলবারেও আতঙ্কে রয়েছেন ব্লকের মানুষজন ৷ এদিনও পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে রয়েছে জনজীবন ৷ বিধ্বস্ত মানুষজনের কাছে দ্রুত ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও ৷ তবে, ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ হিসাব এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি ৷

সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের বরই, কুশিদা ও রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয় ৷ তার কিছুক্ষণের মধ্যে হঠাৎ বাতাসের গোঁ-গোঁ শব্দে চমকে ওঠেন মানুষজন ৷ বুঝতে পারেন ঝড় আসছে ৷ কিন্তু, কিছুক্ষণের মধ্যে ঝড়ের দাপটে সব লন্ডভন্ড হয়ে যায় ৷ মিনিট পাঁচেক সেই ঝড় স্থায়ী ছিল ৷ তাতেই তছনছ হয়ে যায় বরই পঞ্চায়েতের পেমা, রানিটোলা, মল্লিকপুর, মিঠাপুকুর, বাকুপাড়া ও গিধিনপুকুর গ্রাম ৷ কুশিদা পঞ্চায়েতের বালুভরাট গ্রামেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ৷ ক্ষতি হয়েছে রশিদাবাদ অঞ্চলের কয়েকটি গ্রামেও ৷

5 মিনিটের ঝড়ের তাণ্ডবে ভাঙল বাড়ি, উপড়াল গাছ-বিদ্যুতের খুঁটি ৷ (ইটিভি ভারত)

পেমা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসী জামশেদ আলি বলেন, “ঝড়ে ঘরের চালার টিন পড়ে গিয়েছে ৷ ভাগ্য ভালো টিন ঘরের পাশেই পড়েছে ৷ বেশিদূর উড়ে যায়নি ৷ আমার দু’টি বাড়ির ক্ষতি হয়েছে ৷ আমরা গরিব মানুষ, দিনমজুরি করে সংসার চালাই ৷ এখন কীভাবে ঘর ঠিক করব, জানি না ৷ দুর্যোগে কেউ জখম না-হলেও ঘরের সবকিছুর ক্ষতি হয়েছে ৷ এখন সরকার কিছুটা সাহায্য করলে বেঁচে যাই ৷”

Storm in Harishchandrapur
হরিশ্চন্দ্রপুরে 5 মিনিটের ঝড়ে উপড়ে গেছে গাছ ৷ (নিজস্ব ছবি)

মল্লিকপুর গ্রামের মঞ্জুর আলম বলছেন, “ঝড়ে ঘরের চালা উড়ে চলে গিয়েছে ৷ ঘরে থাকা সমস্ত খাবার নষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ ছাদের টিন চাষের মাঠে গিয়ে পড়েছে ৷ কয়েকটা টিন কোনওরকমে উদ্ধার করেছি ৷ অন্যগুলো খুঁজে পাচ্ছি না ৷ সবেমাত্র ঘর তৈরি করেছিলাম ৷ যখন দুর্যোগ হয় তখন আমরা বাড়িতেই ছিলাম ৷ কিন্তু, এত দ্রুত সব ঘটে গিয়েছে, আমরা সামাল দিতে পারিনি ৷ ঘরে খাবারটুকুও এখন নেই ৷”

Storm in Harishchandrapur
5 মিনিটের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত আমবাগান ৷ (নিজস্ব ছবি)

এলাকার এক পঞ্চায়েত সদস্যের প্রতিনিধি শামিম আখতার বলেন, “গতকাল রাতের ঝড়ে আমাদের বুথে 70 থেকে 80টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ গতকাল রাত থেকেই আমরা এলাকায় ঘুরে বেরাচ্ছি ৷ দুর্গতরা কোথায় রাত কাটাবেন, তার ব্যবস্থা করেছি ৷ আজ সকালে বিডিও’র সঙ্গে কথা বলেছি ৷ তিনি টিম পাঠিয়েছেন ৷ টিমের সদস্যদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে ৷ ঝড়ের দাপটে এখানে প্রচুর ইলেকট্রিক পোল, গাছ পড়ে গিয়েছে ৷ এখনও রাস্তা বন্ধ হয়ে রয়েছে ৷ পুলিশের তরফে গাছ কাটার এখনও ব্যবস্থা করা হয়নি ৷ দ্রুত যাতে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় তার জন্য আবেদন জানাচ্ছি ৷”

Storm in Harishchandrapur
ঝড়ে উপড়ে গেছে গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি ৷ (নিজস্ব ছবি)

জেলা পরিষদ সদস্য তথা মালদা জেলা পরিষদের কৃষি, সেচ ও সমবায় কর্মাধ্যক্ষ রবিউল ইসলামের দাবি, “গতকাল রাতে হঠাৎ ঝড় শুরু হয় ৷ তাতে হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের বরই গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশকিছু গ্রামে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ৷ ক্ষতি হয়েছে কুশিদা ও রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও ৷ অনেক মানুষের বাড়ির চালা উড়ে গিয়েছে ৷ ঘরবাড়িও নষ্ট হয়েছে ৷ আমি রাতেই বিডিও-র সঙ্গে যোগাযোগ করেছি ৷ আজ বিডিওর প্রতিনিধি দল পরিস্থিতি পরিদর্শন শুরু করেছে ৷ ঝড়ের জন্য বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে ৷ ইলেকট্রিক পোল উপড়ে গিয়েছে ৷ এনিয়ে বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেছি ৷ তিনি কথা দিয়েছেন, আজ গোটা দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ ঠিক করে দেওয়া হবে ৷ বিডিও-র প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলিতে গিয়ে সবকিছু তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেবেন ৷ তার ভিত্তিতে প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্তকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে ৷ প্রশাসন মানুষের সঙ্গে রয়েছে ৷”

হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের বিডিও সৌমেন মণ্ডল জানিয়েছেন, “ঝড়ে ভেঙে পড়া গাছ সরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ নতুন করে খুঁটি বসিয়ে যাতে আজকের মধ্যেই বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যায়, তার ব্যবস্থা করার জন্য বিদ্যুৎ দফতরকে বলা হয়েছে ৷ যেসব বাড়ির চালা উড়ে গিয়েছে বা যেসব ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ৷ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির তালিকা তৈরি হলে, প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্তকে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হবে ৷ ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ হিসাব এখনও তৈরি করা সম্ভব হয়নি ৷”

মালদা, 3 জুন: মাত্র কয়েক মিনিটের ঝড়, আর তাতেই লন্ডভন্ড হয়ে গেল হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রাম ৷ উড়ে গিয়েছে অসংখ্য বাড়ির চাল, ভেঙে পড়েছে প্রচুর গাছ, উপড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি ৷ সোমবার রাতের এই ঝড়ের পর মঙ্গলবারেও আতঙ্কে রয়েছেন ব্লকের মানুষজন ৷ এদিনও পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে রয়েছে জনজীবন ৷ বিধ্বস্ত মানুষজনের কাছে দ্রুত ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও ৷ তবে, ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ হিসাব এখনও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি ৷

সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের বরই, কুশিদা ও রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয় ৷ তার কিছুক্ষণের মধ্যে হঠাৎ বাতাসের গোঁ-গোঁ শব্দে চমকে ওঠেন মানুষজন ৷ বুঝতে পারেন ঝড় আসছে ৷ কিন্তু, কিছুক্ষণের মধ্যে ঝড়ের দাপটে সব লন্ডভন্ড হয়ে যায় ৷ মিনিট পাঁচেক সেই ঝড় স্থায়ী ছিল ৷ তাতেই তছনছ হয়ে যায় বরই পঞ্চায়েতের পেমা, রানিটোলা, মল্লিকপুর, মিঠাপুকুর, বাকুপাড়া ও গিধিনপুকুর গ্রাম ৷ কুশিদা পঞ্চায়েতের বালুভরাট গ্রামেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ৷ ক্ষতি হয়েছে রশিদাবাদ অঞ্চলের কয়েকটি গ্রামেও ৷

5 মিনিটের ঝড়ের তাণ্ডবে ভাঙল বাড়ি, উপড়াল গাছ-বিদ্যুতের খুঁটি ৷ (ইটিভি ভারত)

পেমা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসী জামশেদ আলি বলেন, “ঝড়ে ঘরের চালার টিন পড়ে গিয়েছে ৷ ভাগ্য ভালো টিন ঘরের পাশেই পড়েছে ৷ বেশিদূর উড়ে যায়নি ৷ আমার দু’টি বাড়ির ক্ষতি হয়েছে ৷ আমরা গরিব মানুষ, দিনমজুরি করে সংসার চালাই ৷ এখন কীভাবে ঘর ঠিক করব, জানি না ৷ দুর্যোগে কেউ জখম না-হলেও ঘরের সবকিছুর ক্ষতি হয়েছে ৷ এখন সরকার কিছুটা সাহায্য করলে বেঁচে যাই ৷”

Storm in Harishchandrapur
হরিশ্চন্দ্রপুরে 5 মিনিটের ঝড়ে উপড়ে গেছে গাছ ৷ (নিজস্ব ছবি)

মল্লিকপুর গ্রামের মঞ্জুর আলম বলছেন, “ঝড়ে ঘরের চালা উড়ে চলে গিয়েছে ৷ ঘরে থাকা সমস্ত খাবার নষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ ছাদের টিন চাষের মাঠে গিয়ে পড়েছে ৷ কয়েকটা টিন কোনওরকমে উদ্ধার করেছি ৷ অন্যগুলো খুঁজে পাচ্ছি না ৷ সবেমাত্র ঘর তৈরি করেছিলাম ৷ যখন দুর্যোগ হয় তখন আমরা বাড়িতেই ছিলাম ৷ কিন্তু, এত দ্রুত সব ঘটে গিয়েছে, আমরা সামাল দিতে পারিনি ৷ ঘরে খাবারটুকুও এখন নেই ৷”

Storm in Harishchandrapur
5 মিনিটের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত আমবাগান ৷ (নিজস্ব ছবি)

এলাকার এক পঞ্চায়েত সদস্যের প্রতিনিধি শামিম আখতার বলেন, “গতকাল রাতের ঝড়ে আমাদের বুথে 70 থেকে 80টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ গতকাল রাত থেকেই আমরা এলাকায় ঘুরে বেরাচ্ছি ৷ দুর্গতরা কোথায় রাত কাটাবেন, তার ব্যবস্থা করেছি ৷ আজ সকালে বিডিও’র সঙ্গে কথা বলেছি ৷ তিনি টিম পাঠিয়েছেন ৷ টিমের সদস্যদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে ৷ ঝড়ের দাপটে এখানে প্রচুর ইলেকট্রিক পোল, গাছ পড়ে গিয়েছে ৷ এখনও রাস্তা বন্ধ হয়ে রয়েছে ৷ পুলিশের তরফে গাছ কাটার এখনও ব্যবস্থা করা হয়নি ৷ দ্রুত যাতে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় তার জন্য আবেদন জানাচ্ছি ৷”

Storm in Harishchandrapur
ঝড়ে উপড়ে গেছে গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি ৷ (নিজস্ব ছবি)

জেলা পরিষদ সদস্য তথা মালদা জেলা পরিষদের কৃষি, সেচ ও সমবায় কর্মাধ্যক্ষ রবিউল ইসলামের দাবি, “গতকাল রাতে হঠাৎ ঝড় শুরু হয় ৷ তাতে হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের বরই গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশকিছু গ্রামে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ৷ ক্ষতি হয়েছে কুশিদা ও রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেও ৷ অনেক মানুষের বাড়ির চালা উড়ে গিয়েছে ৷ ঘরবাড়িও নষ্ট হয়েছে ৷ আমি রাতেই বিডিও-র সঙ্গে যোগাযোগ করেছি ৷ আজ বিডিওর প্রতিনিধি দল পরিস্থিতি পরিদর্শন শুরু করেছে ৷ ঝড়ের জন্য বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে ৷ ইলেকট্রিক পোল উপড়ে গিয়েছে ৷ এনিয়ে বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেছি ৷ তিনি কথা দিয়েছেন, আজ গোটা দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ ঠিক করে দেওয়া হবে ৷ বিডিও-র প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলিতে গিয়ে সবকিছু তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেবেন ৷ তার ভিত্তিতে প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্তকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে ৷ প্রশাসন মানুষের সঙ্গে রয়েছে ৷”

হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের বিডিও সৌমেন মণ্ডল জানিয়েছেন, “ঝড়ে ভেঙে পড়া গাছ সরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ নতুন করে খুঁটি বসিয়ে যাতে আজকের মধ্যেই বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া যায়, তার ব্যবস্থা করার জন্য বিদ্যুৎ দফতরকে বলা হয়েছে ৷ যেসব বাড়ির চালা উড়ে গিয়েছে বা যেসব ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ৷ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির তালিকা তৈরি হলে, প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্তকে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হবে ৷ ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ হিসাব এখনও তৈরি করা সম্ভব হয়নি ৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.