জলপাইগুড়ি, 12 এপ্রিল: উত্তরবঙ্গের চা বাগান শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির বৈঠকের আশায় চা শ্রমিকরা। শনিবার শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গের কয়েক লক্ষ চা শ্রমিকদের নুন্যতম মজুরি নিয়ে বৈঠক করতে চলেছেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক ৷
বৈঠকে শ্রমমন্ত্রী ছাড়াও থাকবেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মালিকপক্ষ-সহ শ্রমিক সংগঠনগুলি। উত্তরবঙ্গের চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির নির্ধারণ ও তা চালুর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করছে চা শ্রমিকদের যৌথ মঞ্চ জয়েন্ট ফোরাম। 2017 সাল থেকে উত্তরবঙ্গের চা শ্রমিকদের নুন্যতম মজুরির দাবি করে আসছে শ্রমিক সংগঠনগুলিও । চা শ্রমিকদের নুন্যতম মজুরি নিয়ে শনিবার শিলিগুড়িতে বৈঠক বসতে চলেছে রাজ্য সরকার। সেই সর্বদলীয় বৈঠকে উত্তরবঙ্গের চা শ্রমিকদের নুন্যতম মজুরি নিয়ে কী সিদ্ধান্ত হয়, সেই দিকে তাকিয়ে রয়েছে চা বলয়।
চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ কমিটি ইতিমধ্যেই 20টি বৈঠক করেছে ৷ কিন্তু ন্যুনতম মজুরি বাস্তবায়িত হয়নি। শনিবার ফের বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে উত্তরবঙ্গের শ্রমিকমহল। একাংশ চাইছে কমপক্ষে 350 টাকা হোক নুন্যতম মজুরি । 2022 সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাসিমারার সুভাষিনি চা বাগানের মাঠে প্রশাসনিক সভা থেকে চা শ্রমিকদের 15 শতাংশ করে অন্তর্বর্তীকালিন মজুরি বৃদ্ধি কথা ঘোষণা করেছিলেন। বর্তমানে 250 টাকা মজুরি পাচ্ছেন চা শ্রমিকরা। উত্তরবঙ্গের সর্ব বৃহৎ এই চা শিল্প। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর জেলায় প্রায় 300টি চা বাগান রয়েছে । যার স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিক প্রায় চার লক্ষ ৷
রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক জানান, শনিবার শিলিগুড়িতে চা শ্রমিকদের নুন্যতম মজুরি নিয়ে তিনি সবাইকে নিয়ে আলোচনায় বসবেন। এর আগে একাধিক বৈঠক হলেও নুন্যতম মজুরি নিয়ে কোনও সুফল পাওয়া যায়নি। তাঁর কথায়, "আশা করছি এবার আমরা একটা ভালো রেজাল্ট পাব। সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হবে । 2011 সালে রাজ্যে পালাবদলের সময়ে চা শ্রমিকদের মজুরি ছিল 67 টাকা। আমরা বার বার মালিকপক্ষের সঙ্গে লড়াই করে মজুরি বাড়িয়ে 250 টাকা করেছি । কয়েক বছর থেকেই নুন্যতম মজুরি নিয়ে বারবার বৈঠক হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি।" পাশাপাশি শনিবারই টি অ্যাডভাইজরি কমিটির বৈঠকও হবে শিলিগুড়িতে।